মুরালি নেই, তাই পেস বোলিংয়েই ভরসা

মুত্তিয়া মুরালিধরন অবসর নেওয়ার পর ১১ টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কা। জয় পায়নি এর কোনোটিতেই! তাহলেই বুঝুন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে কী ছিলেন মুরালি! ২০৪ টেস্টে শ্রীলঙ্কার ৬১ জয়ের ৫৪টিই এসেছে তাঁর হাত ধরে। মুরালির শূন্যস্থান পূরণ যে সম্ভব নয় জানেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক তিলকরত্নে দিলশানও। তাই বলে মুরালির অবসরের পর স্পিনের বদলে ফাস্ট বোলিংয়ে আস্থা রাখা শুরু করবে লঙ্কানরা?অজন্তা মেন্ডিস, সূরয রানদিভের মতো তরুণরা ধারাবাহিক সাফল্য না পাওয়ায় উপমহাদেশের দল হয়েও ফাস্ট বোলিংয়েই ভরসা রাখতে চান দিলশান।


পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট, পাঁচটি ওয়ানডে আর একটি টোয়েন্টি টোয়েন্টির সিরিজে তাই ফাস্ট বোলার রাখা হয়েছে পাঁচজন আর স্পিনার দুজন। লাসিথ মালিঙ্গার মতো পেসার টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার পরও ফাস্ট বোলারদের ওপর আস্থা রাখার ব্যাখ্যাটা দিলশান দিচ্ছেন এভাবে, 'গত ২০ বছর আমাদের সাফল্য নির্ভর করেছে মুরালির স্পিনের ওপর। ও ইনিংসে ৬-৮ উইকেট নিতে পারত। এ ধরনের কিছু ধারাবাহিকভাবে করে যাওয়ার মতো কোনো স্পিনার পাইনি আমরা। তাই আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে ফাস্ট বোলারদের ওপর। স্পিনারদের মধ্যে কেবল নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে রঙ্গনা হেরাথ। টেস্ট জিততে হলে অন্য স্পিনারদেরও সাহায্য দরকার আমাদের।'
মুরালির অবসরের পর খেলা ১১ টেস্টের মধ্যে শ্রীলঙ্কা হেরেছে দুটিতে আর ড্র করেছে ৯টি। দুটি হারের একটি কার্ডিফে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আর অন্যটি গলে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। এই ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে কি আরব আমিরাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে জয় পাবে শ্রীলঙ্কা? দিলশান যথেষ্টই আশাবাদী, 'আমরা দুটি টেস্ট হেরেছিলাম দুর্দান্ত ফর্মে থাকা দুই দলের বিপক্ষে। ইংল্যান্ডে হেরেছিলাম খারাপ ব্যাটিংয়ের জন্য আর গলে বড় ভূমিকা রেখেছিল টসটা। এই দুটো ম্যাচ বাদ দিলে দলের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের মিশেলে পাকিস্তানের দলটা ভালো। তবে ওদের হারানোর ব্যাপারে আশাবাদী আমি।'
তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি আবুধাবিতে মাঠে গড়াবে আগামীকাল। আরব আমিরাতের অপরিচিত কন্ডিশন নিয়ে অবশ্য কিছুটা উদ্বিগ্ন দিলশান, 'আমরা এখানে কোনো টেস্ট খেলিনি। তবে এখানে খেলা পাকিস্তানের টেস্টের ভিডিও দেখেছি। জানি না বছরের এ সময়ে এখানকার পিচের আচরণ কেমন হবে।' শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক হওয়ার পর এ নিয়ে তিনজন কোচের অধীনে খেলছেন দিলশান। বিশ্বকাপের পর ইংল্যান্ড সফরে খেলেছেন ভারপ্রাপ্ত কোচ স্টুয়ার্ট ল'র অধীনে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোচ ছিলেন রুমেশ রত্নায়েকে। এরপর কোচ হিসেবে দুই বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার জিওফ মার্শ। মার্শের সঙ্গে জুটিটা জমবে বলেই বিশ্বাস দিলশানের, 'আগের দুই কোচের সঙ্গে বসে দীর্ঘ মেয়াদের কোনো পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে পারিনি। মার্শ চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন দুই বছরের জন্য। এখন সেই সুযোগটা পাব। খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে তাঁকে শ্রদ্ধা করে সবাই। মনে হচ্ছে আমাদের জুটিটা ভালোই হবে।' রয়টার্স, ক্রিকইনফো

No comments

Powered by Blogger.