বিএনপির রোডমার্চে উত্তাপ : সরকারের তত্পরতায় জনসভাস্থলে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত : বাধা দিলে প্রতিহত করা হবে : বিএনপি by মাহাবুবুর রহমান,

বিএনপির উত্তরাঞ্চল অভিমুখে রোডমার্চ কর্মসূচিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সরকারি তত্পরতা। জনসভা ও পথসভার অনুমতি না দেয়া এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত সক্রিয় রাখার ঘোষণায় বিক্ষুব্ধ চারদলীয় জোটের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। সিলেটে স্বাভাবিক ছন্দে রোডমার্চের পর বগুড়া, নওগা চাঁপাইনবাবগঞ্জ অভিমুখে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে রোডমার্চে বাধা দিলে জোটের শীর্ষ নেতারাও হার্ডলাইনে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। পৃথক সংবাদ সম্মেলন ও বিবৃতিতে তারা এ সরকারকে সতর্ক করে বলেন, ‘জনরোষের আগে ষড়যন্ত্রের পথ থেকে সরে আসুন। পুলিশ ও ক্যাডার দিয়ে জনজোয়ার ঠেকানো যাবে না।


’ গতকাল বিএনপির এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, যে কোনো ধরনের বাধা প্রতিহত করে জনগণের সহযোগিতায় রোডমার্চ সফল করা হবে। বাধা দিলে নেতাকর্মীরা তা প্রতিহত করবে। চারদলীয় জোটের শরীক জামায়াতে ইসলামী নেতারা এক বিবৃতিতে এবং খেলাফত মজলিস নেতারা রোডমার্চের প্রস্তুতি সভায় জনগণের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা না দিতে সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছেন।
এদিকে রোডমার্চ সফল করতে তৃণমূলে ব্যাপক তত্পরতা চালাচ্ছে বিএনপি ও চারদলীয় জোট নেতারা। দফায় দফায় প্রস্তুতি সভার মাধ্যমে জনসভা ও পথসভার দায়িত্ব বণ্টন এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। এদিকে প্রস্তুতি কর্মসূচিতে পুলিশ প্রশাসন ও সরকারি দলের পক্ষ থেকে নানাভাবে বাধার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জনসভা ও পথসভাস্থলে সরকারি কাজে বাধাদান বা যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত রাখবে সরকার।
রাজশাহী অঞ্চলে রোডমার্চের সমন্বয়কারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিষয়ে বলেন, রোডমার্চ নিঃসন্দেহে একটি জনমুখী কর্মসূচি। সিলেটে এটা দেশবাসী দেখেছে। সেখানে সরকারের ব্যর্থতা ও জুলুমের বিরুদ্ধে জনগণ মাঠে এসে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ কর্মসূচিতে জান-মালসহ কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। এরপরও চিরাচরিত চরিত্র অনুযায়ী সরকার রোডমার্চে বাধা দিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এটা সরকারের জন্যই ভয়ঙ্কর ক্ষতির কারণ হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। চারদলীয় জোটের সহযোগী সমমনা দলগুলোর অন্যতম শীর্ষ নেতা ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেন, ‘রোডমার্চের পথে আদালত বসানোর কোনো কারণ নেই। সিলেটে আদালত ছিল না। কোনো সমস্যা হয়নি। এখন সরকারের আজ্ঞাবহ কোনো আদালত রাস্তায় বসে জনগণকে বেহুদা দণ্ড দেয়ার চেষ্টা করলে তা জনজোয়ারে ভেসে যেতে পারে। আদালতের সম্মান ও মর্যাদা টিকিয়ে রাখতে জনজোয়ারের পথে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই’।
বিএনপির হুশিয়ারি : রোডমার্চে যে কোনো ধরনের বাধা প্রতিহত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। গতকাল বিকালে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির দফতরের দায়িত্বে নিয়োজিত যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, বাধা দেয়া হলে নেতাকর্মীরা প্রতিহত করবে। এই রুটে দুই দিনের রোডমার্চের প্রস্তুতিতে চারদলীয় জোট নেতাদের সরকার নানাভাবে হয়রানি করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি জানান, উত্তরবঙ্গ অভিমুখে রোডমার্চ উত্তরা থেকে সকাল ১০টায় শুরু হবে। ১৮ অক্টোবর মঙ্গলবার ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত রোডমার্চে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গাজীপুরের কালিয়াকৈর, টাঙ্গাইলের ভূঁয়াপুর, সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুলে পথসভা করে রাতে বগুড়ায় রাতযাপন করবেন। পরের দিন ১৯ অক্টোবর বগুড়া থেকে রওনা করে নওগাঁয় সকাল ১১টায় সভা ও বিকাল ৩টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সরকারি কলেজ মাঠে জনসভা হবে।
রুহুল কবির রিজভি বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার জগদ্দল পাথরের মতো মানুষের ঘাড়ে চেপে বসেছে। দেশ বিক্রির সব আয়োজন শেষ করেছে। মানুষের ব্যয় বাড়লেও আয় বাড়েনি। তাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগে বাধ্য করতেই এই রোডমার্চকে সফল করতে হবে।
তিনি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনসভাটি সরকারি কলেজ মাঠে হবে। শনিবার দলের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছিল, জনসভাটি হরিমোহন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হবে।
তিনি বলেন, সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলজিইডি সংলগ্ন মাঠে জনসভার অনুমতি এখন পর্যন্ত দেয়নি প্রশাসন। আশা করা হচ্ছে সেখানে প্রশাসনের অনুমতি পাওয়া যাবে। রিজভী আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়ার রোডমার্চ সফল করতে আঞ্চলিক নেতারা প্রচারণা চালাচ্ছেন। জনগণের মধ্যে থেকে বেশ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি জানান, আগের মতোই এবারের রোডমার্চ ও পথসভা ইন্টারনেটে লাইভ দেখানো হবে। বিএনপি লাইভ ডটকম ওয়েবসাইটে তা দেখা যাবে। এ রোডমার্চের সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের যেন কোনো ধরনের সমস্যা না হয় তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, শিরিন সুলতানা, বেলাল আহমদ, রফিক সিকদার, আবদুল খালেক প্রমুখ।
জামায়াতে ইসলামীর আহ্বান : রোডমার্চ কর্মসূচি সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গতকাল এক বিবৃতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ বলেন, জনগণের অধিকার নিয়ে চারদলীয় জোট আয়োজিত রোডমার্চে জনজোয়ার নেমেছে। রাজশাহীতেও জনগণ এতে অংশ নেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আর এজন্যই সরকার সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুলসহ বিভিন্ন স্থানে প্রস্তুতি সভায় বাধা দিয়েছে। আশা করি, জনগণের কর্মসূচিতে বাধার স্বৈরতান্ত্রিক পথ থেকে সরকার সরে আসবে।
বাধা দিলে কঠিন খেসারত- খেলাফত মজলিস : খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন, উত্তরবঙ্গের রোড মার্চে বাধা দিলে সরকারকে কঠিন খেসারত দিতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনে অতিষ্ঠ দেশের মানুষ ব্যর্থ সরকারের পতন চায়। তাই আজ সর্বস্তরের জনগণ রাস্তায় বেরিয়ে আসতে প্রস্তুত। সিলেটের মতো ঢাকা-বগুড়া-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রোডমার্চেও জনতার ঢল নামবে ইনশাআল্লাহ। তিনি গতকাল বিকেলে রোডমার্চ প্রস্তুতি বিষয়ে মজলিসের নির্বাহী পরিষদের জরুরি বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। বিকালে বিজয়নগরের দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা সৈয়দ মজিবুর রহমান পেশোয়ারি, মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শফিক উদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, অধ্যাপক এমকে জামান, শেখ গোলাম আসগর, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম প্রমুখ।
জনসভার পাশে ভ্রাম্যমাণ আদালত : সরকারি কাজে বাধা বা অন্য কোনো অপরাধ করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়ার জন্য সভা ও এর আশপাশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। রোববার সন্ধ্যায় বগুড়ার পুলিশ সুপার মো. হুমায়ুন কবীর এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, বেগম খালেদা জিয়ার জনসভাকে ঘিরে প্রশাসনের বেশকিছু সিনিয়র অফিসার ও জুনিয়র অফিসার পদমর্যাদার ব্যক্তিসহ বিভিন্ন স্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় এক হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া র্যাব ও গোয়েন্দাবাহিনীর নিয়মিত টহল ও নজরদারি তো থাকবেই।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতিয়ার রহমান সাংবাদিকদের জানান, যানজট এড়াতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক রাখার স্বার্থে জনসভাস্থলে আসা কিছু ভিআইপি বা বিশেষ চিহ্নিত গাড়ি ছাড়া অন্য গাড়ি শহরের বাইরে বনানী, মাটিডালি, তিনমাথা ও চারমাথা এলাকায় অবস্থান করবে। রোডমার্চ ও জনসভার নামে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান তিনি।
নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, রোডমার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জ অভিমুখে যাওয়ার পথে আগামী ১৯ অক্টোবর নওগাঁ জেলাশহরে জনসভা হবে। রোডমার্চ বহর শহর নওগাঁ শহর অতিক্রম করার সময় বেলা ১১টায় নওগাঁ জেলা বিএনপি রাস্তার পাশে এটিম মাঠে ওই জনসভার আয়োজন করেছে।
রোডমার্চ চলাকালে নওগাঁয় পথসভার পরিকল্পনা থাকলেও এলাকাবাসীর দাবির মুখে সেখানে জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। জনসভাকে সফল করতে ও চারদলীয় জোট নেত্রীকে নওগাঁয় স্বাগত জানাতে জোটের নেতাকর্মীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। রোডমার্চ ১৮ অক্টোবর ঢাকা থেকে বগুড়া পৌঁছে বিকালে সেখানে জনসভা শেষে রাতযাপনের পর ১৯ অক্টোবর সকালে চাঁপাইনবাবঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেবে। নওগাঁ জেলায় নেত্রীকে স্বাগত জানাতে রাস্তার মাঝে মধ্যে বিভিন্ন সংগঠন এরই মধ্যে তোরণ তৈরির প্রস্তুতি নিয়েছে।
নওগাঁ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য শামসুজ্জোহা খান, সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম ধলু জানান, স্বতঃস্ফূর্তভাবে তৈরি শতাধিক তোরণ বেগম খালেদা জিয়াকে নওগাঁয় স্বাগত জানাবে। দলনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে এটিম মাঠে আয়োজিত জনসভা ও রোডমার্চ সফল করতে এরই মধ্যে বিএনপি, সহযোগী সংগঠন, ছাত্রদলসহ চারদলীয় জোট, পেশাজীবী সংগঠন এবং সমমনা দলের নেতাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করা হয়েছে।
রাবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা : রোডমার্চ কর্মসূচির প্রস্তুতিকে ঘিরে ছাত্রদল যাতে কোনো ধরনের কর্মসূচি পালন করতে না পারে সেজন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ। আমাদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানায়, সিন্ডিকেটের আইন লঙ্ঘন করে একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করলেও বিএনপির রোর্ডমার্চ উপলক্ষে ছাত্রদলের কর্মসূচি ঠেকাতে নতুন করে রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কৌশল অবলম্বন করছে তার প্রশাসন। ভিসির নেতৃত্বে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন সব কর্মকর্তা নিজ উদ্যোগে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ছাত্রদলের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে মিছিল-মিটিংসহ তাদের সব কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ছাত্রদল।
২০০৯ সালের ১২ মে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি সিন্ডিকেট বৈঠকে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিন্ডিকেটের ওই জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত নং (ঘ)-এ বলা হয়—‘পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের মিটিং, মিছিল, সভা- সমাবেশ, মাইকিং, ব্যানার, পোস্টারিং, প্রচারপত্র প্রচার ও বিতরণ নিষিদ্ধ থাকবে। (ঙ) হলগুলোতে বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য কেউ অবস্থান করতে পারবে না। নিজের তৈরি করা সিন্ডিকেটের ওই নিয়ম লঙ্ঘন করে গত দুই বছরে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি অথবা প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে তাতে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর এম আবদুুস সোবহান। কিন্তু সম্প্রতি বিএনপির চেয়ারপার্সন ও বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজশাহীতে রোর্ডমার্চ সফল করতে রাবি ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাস ও পাশের এলাকাগুলোতে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করলে রাবি প্রশাসন নতুন করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। গত ১২ অক্টোবর রাবি প্রক্টর প্রফেসর ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া ছাত্রদল আহ্বায়ক আরাফাত রেজা আশিকের কাছে প্রেরিত এক চিঠিতে সিন্ডিকেটের ওই আইন এখনও বলবত্ আছে উল্লেখ করে ১৬ অক্টোবর থেকে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ সব ধরনের মিটিং, মিছিল, সভা, সমাবেশ, মাইকিং, ব্যানার, পোস্টারিং, প্রচারপত্র প্রচার বিতরণ কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞার আরোপ করে।
রাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শিপন আহমেদ বলেন, সোজা কথা বলতে গেলে বর্তমান রাবি প্রশাসন স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় বিশ্ববিদ্যালয় চালাচ্ছে। এটা সামরিক শাসনের মতোই। আমরা এটা মানি না। আমরা অবিলম্বে ক্যাম্পাসের জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।

No comments

Powered by Blogger.