ত্রিশালে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় : মানববন্ধনে ছাত্রলীগের হামলা : যৌন নিপীড়নের অভিযোগ
রেজিস্ট্রারসহ তিন শিক্ষককে অপসারণের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল বাংলা বিভাগের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে হামলা করেছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ সময় তারা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয়া ছাত্রীদের বুকে লাগানো বিভিন্ন দাবিসংবলিত পোস্টার প্রকাশ্যে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের সামনে টেনে ছিঁড়ে ফেলে এবং অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। এ ঘটনা চলাকালে মানববন্ধনে অংশ নেয়া অনেক মেয়ে সংবাদকর্মীদের কাছে পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার নামে তাদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অ্যাডভোকেট রেজা আলী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর সৈয়দ গিয়াসউদ্দিন আহম্মদ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে গেলে তারা তাদের দাবি-দাওয়া এবং ছাত্রলীগ কর্মীদের দ্বারা যৌন নিপীড়িত হওয়ার বিচার দাবি করেন। সেখানেও ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। তবে যৌন নিপীড়নের ঘটনা অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি ইব্রাহিম খলিল শান্ত। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩তম সিন্ডিকেটের সভায় বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে রেজিস্ট্রার আমিনুল ইসলাম, সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রশীদুন নবী, বাংলা বিভাগের দুই শিক্ষক ড. শামসুদ্দিন চৌধুরী ও আহমেদুল বারীকে সাময়িকভাবে অপসারণ করা হয়। এ ঘটনা ক্যাম্পাসে জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রিয় স্যারকে আবারও ফিরে পেতে ফাইনাল সেমিস্টার পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন এবং অনুষদে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং চারদিনের টানা কর্মসূচিতে কার্যত অচল হয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাস।
গতকাল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত নানা কর্মসূচি পালন করার প্রস্তুতি নেয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব কর্মসূচি পণ্ড করতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শতাধিক পুলিশসহ প্রস্তুত রাখে ছাত্রলীগ কর্মীদের। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি একেবারেই নিষিদ্ধ। বেলা ১১টার সময় কলাভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মিছিল এবং মানববন্ধন করতে চাইলে ছাত্রলীগ কর্মীরা বাধা দেয়। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন শুরু করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি ইব্রাহিম খলিল শান্ত এবং সাধারণ সম্পাদক আল আমীন বাদল ও ছাত্রলীগ ক্যাডার হাফিজুর রহমান হাফিজের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে হামলা চালায়। এতে অংশ নেয়া মেয়েদের বুকে লাগানো বিভিন্ন পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে এবং ব্যানার নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় উপস্থিত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের কাছে মেয়েরা তাদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালানো হয়েছে বলে কান্নায় ভেঙে পড়ে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, ছাত্রলীগ কর্মীদের উসকে দেয়ার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. নির্মল চন্দ্র সাহার হাত রয়েছে। কারণ তিনি সম্প্রতি উপাচার্যের আস্থাভাজন হতে নানা ফন্দি-ফিকির শুরু করেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অ্যাডভোকেট রেজা আলী বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে সিন্ডিকেট সভা যে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থী বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী মিনাক্ষ্মী মজুমদার জানান, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ছাত্রলীগ যেভাবে আমাদের ওপর যৌন নিপীড়ন করেছে, তা কোনো সভ্য দেশে হতে পারে না। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩তম সিন্ডিকেটের সভায় বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে রেজিস্ট্রার আমিনুল ইসলাম, সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রশীদুন নবী, বাংলা বিভাগের দুই শিক্ষক ড. শামসুদ্দিন চৌধুরী ও আহমেদুল বারীকে সাময়িকভাবে অপসারণ করা হয়। এ ঘটনা ক্যাম্পাসে জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রিয় স্যারকে আবারও ফিরে পেতে ফাইনাল সেমিস্টার পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন এবং অনুষদে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং চারদিনের টানা কর্মসূচিতে কার্যত অচল হয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাস।
গতকাল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত নানা কর্মসূচি পালন করার প্রস্তুতি নেয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব কর্মসূচি পণ্ড করতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শতাধিক পুলিশসহ প্রস্তুত রাখে ছাত্রলীগ কর্মীদের। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি একেবারেই নিষিদ্ধ। বেলা ১১টার সময় কলাভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মিছিল এবং মানববন্ধন করতে চাইলে ছাত্রলীগ কর্মীরা বাধা দেয়। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন শুরু করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি ইব্রাহিম খলিল শান্ত এবং সাধারণ সম্পাদক আল আমীন বাদল ও ছাত্রলীগ ক্যাডার হাফিজুর রহমান হাফিজের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে হামলা চালায়। এতে অংশ নেয়া মেয়েদের বুকে লাগানো বিভিন্ন পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে এবং ব্যানার নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় উপস্থিত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের কাছে মেয়েরা তাদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালানো হয়েছে বলে কান্নায় ভেঙে পড়ে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, ছাত্রলীগ কর্মীদের উসকে দেয়ার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. নির্মল চন্দ্র সাহার হাত রয়েছে। কারণ তিনি সম্প্রতি উপাচার্যের আস্থাভাজন হতে নানা ফন্দি-ফিকির শুরু করেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অ্যাডভোকেট রেজা আলী বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে সিন্ডিকেট সভা যে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থী বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী মিনাক্ষ্মী মজুমদার জানান, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ছাত্রলীগ যেভাবে আমাদের ওপর যৌন নিপীড়ন করেছে, তা কোনো সভ্য দেশে হতে পারে না। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
No comments