মুখোমুখি প্রতিদিন-দল এবং খেলোয়াড়রা যেন পুরস্কারের টাকা নিয়ে গর্ব করতে পারে

ত্রয়োদশ জাতীয় লিগ শুরু হচ্ছে আজ। অন্য যেকোনোবারের চেয়ে এবারের টুর্নামেন্টে দলীয় এবং ব্যক্তিগত অর্থ পুরস্কারের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। দলের সংখ্যা ছয় থেকে বেড়ে হয়েছে আট। কিন্তু পিকনিক ক্রিকেটের দুর্নাম কি ঘোচাতে পারবে এবারের জাতীয় লিগ? গতকাল কালের কণ্ঠ স্পোর্টসকে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিসিবি পরিচালক এবং টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকালের কণ্ঠ স্পোর্টস : জাতীয় লিগে এবার পুরস্কারের অর্থ বাড়ানো হয়েছে। এ অনুপ্রেরণাতে কতটা কাজ হবে বলে মনে করছেন?গাজী আশরাফ হোসেন লিপু : ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্যই পুরস্কারের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।


জাতীয় লিগের পুরো বাজেটের সবচেয়ে বড় অংশ বরাদ্দ রয়েছে পুরস্কারে। যেন অনুপ্রেরণার পাশাপাশি বড় পুরস্কার জেতার গর্ব করারও সুযোগ পায় অংশগ্রহণকারী দল এবং খেলোয়াড়রা।প্রশ্ন : প্রতিদ্বন্দ্বিতার মান বাড়াতে অর্থ পুরস্কার বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এবার দলগুলোর শক্তি কি সে অর্থে বেড়েছে?
গাজী আশরাফ : ক্রিকেট মৌসুমে জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক খেলা থাকে। এবার কিছুটা সময় 'এ' দল দেশের বাইরে থাকবে। সে কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মান হয়তো কিছুটা খর্ব হবে। দলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা খেলোয়াড় সংকটও হবে। তবে শুরু হওয়ার আগে এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত করে কিছু বলতে চাই না।
প্রশ্ন : অতীতে দেখা গেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না থাকলেও বিশ্রাম কিংবা চোটের কথা বলে জাতীয় লিগের ম্যাচ খেলেননি তারকারা। এ ধারায় পরিবর্তনের ব্যাপারে আপনি কতটা আশাবাদী?
গাজী আশরাফ : টুর্নামেন্ট কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে জাতীয় দলের ফিট সব ক্রিকেটারকে জাতীয় লিগে খেলতে হবে। এ বিষয়টি ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটিতে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন : প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথম শ্রেণীর উইকেট এবং বল নিয়ে অতীতে অনেক কথা হয়েছে। এবার কি সেসব ঘাটতি দূর করা হচ্ছে?
গাজী আশরাফ : বরাবরের মতো জাতীয় লিগ শুরু হবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অনুমোদিত এসজি বল দিয়ে। পরে পাকিস্তানের একটি কম্পানি থেকে বল আনা হবে, সেটিও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অনুমোদিত। আশা করি ওটা ভালো বলই হবে। শুধু এটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি, যে বলই ব্যবহৃত হবে, সেটি সংশ্লিষ্ট দেশের ক্রিকেট বোর্ডের অনুমোদনপ্রাপ্ত। আর উইকেটে 'লাইফ' থাকবে।
প্রশ্ন : বড় বাজেটের সেরা আসর কতটা মনোযোগের সঙ্গে তদারক করবে বিসিবি?
গাজী আশরাফ : সব সময়ের দাবি নির্বাচকরা যেন জাতীয় লিগের সব ম্যাচ দেখেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থাকায় বেশির ভাগ সময় সেটা সম্ভব হয় না। তার পরও আমরা চাইব অন্তত যেন জুনিয়র নির্বাচকরা জাতীয় লিগের খেলা দেখেন। একইসঙ্গে প্রত্যেক জেলার বোর্ড ডিরেক্টরকে বলা হয়েছে একটি উপদেষ্টা কমিটি দিয়ে যেন পর্যবেক্ষণ করা হয়।
প্রশ্ন : ২০০৭ সাল থেকে জাতীয় লিগ আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত আপনি। এত দিনে ঠিক কতটা উন্নতি হয়েছে দেশের একমাত্র প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে?
গাজী আশরাফ : আরো উন্নতি হতে পারত। খেলোয়াড়দের মনোযোগ বাড়া দরকার ছিল। প্রতিটি দলের পরিপূর্ণ টিম ম্যানেজমেন্ট গড়ে ওঠা উচিত ছিল। বিশেষ করে প্রতিটি দলের ভালো কোচ দরকার। সেটা দেশের কিংবা প্রয়োজনে দেশের বাইরে থেকেও আনা যেতে পারে। এ ছাড়া পেশাদার ফিজিও-ট্রেনার প্রতিটি দলের থাকা দরকার। দল গঠনের বিষয়টি আঞ্চলিক পর্যায়ে চলে যাওয়ায় কিছু কিছু দল দুর্বল হয়ে পড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মানে। তবে আমি আশাবাদী যদি আঞ্চলিক ক্রিকেটটা শক্তিশালী হয়, সেটা জাতীয় লিগের জন্য দারুণ ব্যাপার হবে।

No comments

Powered by Blogger.