তিস্তা ইস্যুতে তথ্য চেয়ে ভারতকে পাল্টা চিঠি by আশরাফুল হক রাজীব
ভারতের কাছে এবার তিস্তার ১৫ বছরের পানিপ্রবাহের উপাত্ত চেয়েছে বাংলাদেশ। গত সপ্তাহে ভারতকে এ-সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর আগে ভারত তিস্তার পানিপ্রবাহের উপাত্ত চেয়েছিল। বাংলাদেশ এখনো এসব উপাত্ত দেয়নি। যৌথ নদী কমিশন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।এদিকে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি দ্রুত সম্পাদন নিয়ে আবারও সংশয় দেখা দিয়েছে। আগামী বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনবিঘা করিডর পরিদর্শন করবেন। ওই অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত না থাকার ঘোষণায় এমন সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন গতকাল রবিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ভারত আমাদের কাছে উপাত্ত চেয়েছে। আমরাও ভারতের কাছে উপাত্ত চেয়েছি। এসব তথ্য-উপাত্ত আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় যৌথ নদী কমিশনের স্ট্যান্ডিং কমিটির (কারিগরি পর্যায়) পরবর্তী বৈঠকে বিনিময় হবে।'
জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার গজলডোবার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ১৯৯৫ সাল থেকে পরবর্তী ১৫ বছরের পানিপ্রবাহের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত শুষ্ক মৌসুমে প্রতি ১০ দিন অন্তর গজলডোবা পয়েন্ট দিয়ে কী পরিমাণ পানি বাংলাদেশে আসে, সেই উপাত্ত চাওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মীর সাজ্জাদ হোসেন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জয়েন্ট কমিশনার-১ (গঙ্গা) টি এস মেহরার কাছে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভারতের পক্ষে টি এস মেহরা তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে বাংলাদেশ কী পরিমাণ পানি পায়, তা জানতে চেয়ে চিঠি দেন। বাংলাদেশের যৌথ নদী কমিশনের সদস্যের কাছে পাঠানো চিঠিতে তিনি ১৯৯৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রতি ১০ দিন অন্তর তিস্তার পানিপ্রবাহের তথ্য-উপাত্ত চেয়ে পাঠান। এর মধ্যে সেচ বা খালের মাধ্যমে প্রত্যাহার করা পানির হিসাবও উল্লেখ করতে বলা হয়। চিঠিতে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের উল্লেখ করে বলেন, সফর শেষে দুই দেশ যে যৌথ ঘোষণা দিয়েছে, তাতে তিস্তা ও ফেনী নদীর পানিবণ্টন চুক্তির কথা রয়েছে। চিঠিতে আরো বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকার সম্ভাব্য এ চুক্তি বাস্তবায়নের নির্বাহী অংশীদার। এ কারণে রাজ্য সরকারের আস্থা অর্জনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
যৌথ নদী কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৬ সালে প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যে তিস্তার পানিপ্রবাহ নিয়ে তথ্য-উপাত্ত বিনিময় হয়। ওই সময় বাংলাদেশের ডালিয়া ও ভারতের গজলডোবা পয়েন্টে ১৯৭৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিস্তার পানিপ্রবাহের তথ্য বিনিময় হয়। ১৯৯৭ সালে দ্বিতীয়বারের মতো এসব তথ্য-উপাত্ত বিনিময় হয়।
এদিকে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার রাজিত মিত্র গতকাল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের বলেন, তিস্তা চুক্তি নিয়ে কাজ চলছে। অগ্রগতিও আছে। পরে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'আমরা আশা করেছিলাম তাড়াতাড়িই তিস্তা চুক্তি হবে; কিন্তু হচ্ছে না। আগামী ১৯ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনবিঘা করিডরে যাচ্ছেন। সে সময়ও তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনার সুযোগ ছিল। কিন্তু তিনবিঘার সেই অনুষ্ঠানে ভারতের কয়েকজন মন্ত্রীর উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকছেন না।'
জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার গজলডোবার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ১৯৯৫ সাল থেকে পরবর্তী ১৫ বছরের পানিপ্রবাহের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত শুষ্ক মৌসুমে প্রতি ১০ দিন অন্তর গজলডোবা পয়েন্ট দিয়ে কী পরিমাণ পানি বাংলাদেশে আসে, সেই উপাত্ত চাওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মীর সাজ্জাদ হোসেন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জয়েন্ট কমিশনার-১ (গঙ্গা) টি এস মেহরার কাছে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভারতের পক্ষে টি এস মেহরা তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে বাংলাদেশ কী পরিমাণ পানি পায়, তা জানতে চেয়ে চিঠি দেন। বাংলাদেশের যৌথ নদী কমিশনের সদস্যের কাছে পাঠানো চিঠিতে তিনি ১৯৯৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রতি ১০ দিন অন্তর তিস্তার পানিপ্রবাহের তথ্য-উপাত্ত চেয়ে পাঠান। এর মধ্যে সেচ বা খালের মাধ্যমে প্রত্যাহার করা পানির হিসাবও উল্লেখ করতে বলা হয়। চিঠিতে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের উল্লেখ করে বলেন, সফর শেষে দুই দেশ যে যৌথ ঘোষণা দিয়েছে, তাতে তিস্তা ও ফেনী নদীর পানিবণ্টন চুক্তির কথা রয়েছে। চিঠিতে আরো বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকার সম্ভাব্য এ চুক্তি বাস্তবায়নের নির্বাহী অংশীদার। এ কারণে রাজ্য সরকারের আস্থা অর্জনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
যৌথ নদী কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৬ সালে প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যে তিস্তার পানিপ্রবাহ নিয়ে তথ্য-উপাত্ত বিনিময় হয়। ওই সময় বাংলাদেশের ডালিয়া ও ভারতের গজলডোবা পয়েন্টে ১৯৭৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিস্তার পানিপ্রবাহের তথ্য বিনিময় হয়। ১৯৯৭ সালে দ্বিতীয়বারের মতো এসব তথ্য-উপাত্ত বিনিময় হয়।
এদিকে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার রাজিত মিত্র গতকাল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের বলেন, তিস্তা চুক্তি নিয়ে কাজ চলছে। অগ্রগতিও আছে। পরে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'আমরা আশা করেছিলাম তাড়াতাড়িই তিস্তা চুক্তি হবে; কিন্তু হচ্ছে না। আগামী ১৯ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনবিঘা করিডরে যাচ্ছেন। সে সময়ও তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনার সুযোগ ছিল। কিন্তু তিনবিঘার সেই অনুষ্ঠানে ভারতের কয়েকজন মন্ত্রীর উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকছেন না।'
No comments