নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ
নিউইয়র্কের বিখ্যাত টাইমস স্কয়ারে শনিবার করপোরেটবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে অশ্বারোহী পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বেশকিছু লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। করপোরেট ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী গণবিক্ষোভের দিনে এ ঘটনা ঘটেছে। করপোরেট ব্যবস্থাবিরোধী সংগঠন ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিটের’ ব্যানারে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্রধান বাণিজ্যিক এলাকায় জড়ো হয়। তারা পর্যটক সেজে ওই এলাকায় আসে। কারণ পুলিশ ওই এলাকার মাঝখানে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছিল। এরপর বিক্ষোভকারীরা মিছিল শুরু করলে ৭১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়।
বাণিজ্যিক এলাকায় দিনব্যাপী মিছিল শুরু হওয়ার পর ফর্টিসিক্সথ স্ট্রিট ও সেভেনথ এভিনিউয়ে পুলিশের সঙ্গে এ সংঘর্ষ হয়। মিছিলের সময় ওই দুটি স্থানে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন ছিল। বিক্ষোভকারীরা টাইমস স্কয়ারে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছিল। তবে পুলিশি বাধার মুখে তারা পিছু হটে। এ সময় আতঙ্কগ্রস্ত লোকজন পালাতে শুরু করে এবং হুড়োহুড়ির এক পর্যায়ে এক মহিলা পড়ে যান। এতে তিনি মুখে আঘাত পান। নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের এক মুখপাত্র জানান, এর আগে সিটি ব্যাংকের একটি শাখায় প্রবেশের চেষ্টাকালে আরও ২৪ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়। সরকারের ৯ হাজার ৪৭০ কোটি ডলারের ব্যয় কাটছাঁট করতে চাকরিচ্যুত ১৪ হাজার শ্রমিকের সমর্থনে বিক্ষোভকারীরা সিটি ব্যাংকের এ শাখায় ঢোকার চেষ্টা চালায়। ছাত্র-জনতা ও শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মীরা ব্যাপক পুলিশের উপস্থিতিতে ওয়াল স্ট্রিটের দিকে অগ্রসর হয়। তারা এ সময় বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড বহন করছিল। তারা স্লোগান দিচ্ছিল, ‘আমরা ৯৯ শতাংশ জনগণ এবং মিস্টার ওবামা আমরা আপনার সমর্থন চাই।’
সিটি ব্যাংক জানায়, বিপুলসংখ্যক বিক্ষোভকারী ওয়াশিংটন স্কয়ার পার্কের কাছে ব্যাংকে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ ডাকা হয়। সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত নোবেল শান্তি বিজয়ী মার্টিন লুথার কিংয়ের স্মরণ অনুষ্ঠান উদ্বোধনের প্রাক্কালে ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল মলে দুই থেকে তিন হাজার লোক জড়ো হয়। সুশীল সমাজের জোরালো কণ্ঠস্বর রেভারেন্ড আল শার্পটন উপস্থিত জনতার সমর্থনে বলেন, ‘ওয়াল স্ট্রিট দখল কর, ওয়াশিংটন দখল কর এবং আলাবামা দখল কর। আমরা দেশের নিয়ন্ত্রণ জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে এসেছি।’ এর আগে প্রায় ২শ’ বিক্ষোভকারী ওয়াশিংটনে ব্যাংক অব আমেরিকার একটি শাখার দিকে যায়। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা তাদের ছিল। তবে তাদের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি এবং ব্যাংকটি দ্রুত বন্ধ করে দেয়া হয়। মিয়ামিতে কমপক্ষে এক হাজার লোক করপোরেটবিরোধী বিক্ষোভ করেছে। অন্যদিকে হলিউড স্টার শন পেন করপোরেটবিরোধী অকুপাই ওয়াল স্ট্রিটের প্রতি তার সমর্থন জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে ধনীদের ওপর আরও করারোপ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা বাড়ানোসহ অর্থনৈতিক সংস্কারের দাবিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’ নামে এ আন্দোলন শুরু করে মার্কিন তরুণ-তরুণীরা। শিক্ষার্থী ও সদ্য শিক্ষাজীবন শেষ করেছে—এমন বেকার যুবকরাই মূলত এ আন্দোলনের সূচনা করে। শুরুতেই লোয়ার ম্যানহাটনের জুকোট্টি পার্কে তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান নেয় তারা। গত সপ্তাহের শুরুর দিকে বেশক’টি পেশাজীবী ইউনিয়নের সমর্থন পেয়ে আন্দোলন আরও বেগবান হয়। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও আন্দোলনকারীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন। এরপর ফেসবুক, টুইটারসহ ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী এ বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়।
ওয়াল স্ট্রিটবিরোধী আন্দোলনকারীরা বলছেন, বিশ্বের সাধারণ মানুষের সংখ্যা ৯৯ শতাংশ হলেও বাকি ১ শতাংশ লোভী ও দুর্নীতিবাজ ধনী ব্যক্তি এবং ব্যাংকগুলো তাদের শাসন ও শোষণ করছে। তারা আরও বলছেন, রাজনীতিক এবং ব্যাংকার যারা আমাদের প্রতিনিধিত্ব করেন না, আমরা তাদের হাতের পণ্য নই। লক্ষ্যে না পৌঁছা পর্যন্ত আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করব, আলোচনা চালিয়ে যাব এবং লোকজনকে সংগঠিত করব।
সিটি ব্যাংক জানায়, বিপুলসংখ্যক বিক্ষোভকারী ওয়াশিংটন স্কয়ার পার্কের কাছে ব্যাংকে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ ডাকা হয়। সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত নোবেল শান্তি বিজয়ী মার্টিন লুথার কিংয়ের স্মরণ অনুষ্ঠান উদ্বোধনের প্রাক্কালে ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল মলে দুই থেকে তিন হাজার লোক জড়ো হয়। সুশীল সমাজের জোরালো কণ্ঠস্বর রেভারেন্ড আল শার্পটন উপস্থিত জনতার সমর্থনে বলেন, ‘ওয়াল স্ট্রিট দখল কর, ওয়াশিংটন দখল কর এবং আলাবামা দখল কর। আমরা দেশের নিয়ন্ত্রণ জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে এসেছি।’ এর আগে প্রায় ২শ’ বিক্ষোভকারী ওয়াশিংটনে ব্যাংক অব আমেরিকার একটি শাখার দিকে যায়। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা তাদের ছিল। তবে তাদের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি এবং ব্যাংকটি দ্রুত বন্ধ করে দেয়া হয়। মিয়ামিতে কমপক্ষে এক হাজার লোক করপোরেটবিরোধী বিক্ষোভ করেছে। অন্যদিকে হলিউড স্টার শন পেন করপোরেটবিরোধী অকুপাই ওয়াল স্ট্রিটের প্রতি তার সমর্থন জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে ধনীদের ওপর আরও করারোপ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা বাড়ানোসহ অর্থনৈতিক সংস্কারের দাবিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’ নামে এ আন্দোলন শুরু করে মার্কিন তরুণ-তরুণীরা। শিক্ষার্থী ও সদ্য শিক্ষাজীবন শেষ করেছে—এমন বেকার যুবকরাই মূলত এ আন্দোলনের সূচনা করে। শুরুতেই লোয়ার ম্যানহাটনের জুকোট্টি পার্কে তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান নেয় তারা। গত সপ্তাহের শুরুর দিকে বেশক’টি পেশাজীবী ইউনিয়নের সমর্থন পেয়ে আন্দোলন আরও বেগবান হয়। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও আন্দোলনকারীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন। এরপর ফেসবুক, টুইটারসহ ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী এ বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়।
ওয়াল স্ট্রিটবিরোধী আন্দোলনকারীরা বলছেন, বিশ্বের সাধারণ মানুষের সংখ্যা ৯৯ শতাংশ হলেও বাকি ১ শতাংশ লোভী ও দুর্নীতিবাজ ধনী ব্যক্তি এবং ব্যাংকগুলো তাদের শাসন ও শোষণ করছে। তারা আরও বলছেন, রাজনীতিক এবং ব্যাংকার যারা আমাদের প্রতিনিধিত্ব করেন না, আমরা তাদের হাতের পণ্য নই। লক্ষ্যে না পৌঁছা পর্যন্ত আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করব, আলোচনা চালিয়ে যাব এবং লোকজনকে সংগঠিত করব।
No comments