দুই মিলানের দুই রকম ভাগ্য

সান সিরোর এপাশ আর ওপাশ। গজ-মিটারের হিসেবে দূরত্বটা খুব বেশি নয়। কিন্তু শনিবার রাতের ইতালিয়ান সিরি এ'র ম্যাচগুলো হয়ে যাওয়ার পর মিলানের দুই ক্লাবের অনুভূতিতে কী বিস্তর ব্যবধান! এপাশে এসি মিলানে যখন জয়ের আনন্দে বিভোর সবাই অন্য পাশে ইন্টার মিলানে তখন শুনশান নীরবতা। জুভেন্টাসের বিপক্ষে আগের ম্যাচের হারের স্মৃতি ভুলিয়ে পালেরমোর বিপক্ষে মিলানকে ৩-০ গোলের দারুণ একটা জয় এনে দিয়েছেন রবিনহো-ইব্রাহিমোভিচরা। আর হারের বৃত্তে আটকে পড়া ইন্টারকে আবারও উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছেন তাঁদের কোচ ক্লাওদিও রানিয়েরি।


আগের ম্যাচে নাপোলির কাছে বড় ব্যবধানে হারা তাঁর শিষ্যরা পরশু রাতেও মাঠ ছেড়েছে কাতানিয়ার কাছে ২-১ গোলের হারের লজ্জা নিয়ে!দই মিলানের এই উত্থান-পতনের রাতে দারুণ ফর্মে থাকা নাপোলির সামনে সুযোগ ছিল নিজেদের ম্যাচটা জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানটা ধরে রাখার। কিন্তু অঘটন ঘটিয়েছে তারাও। পারমার কাছে ২-১ গোলে হেরে এত দিন ধরে শীর্ষস্থানে থাকা নাপোলি নেমে গেছে পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে। নাপোলির চেয়ে একটা করে কম ম্যাচ খেলেও শীর্ষ দুটি স্থানে এখন যথাক্রমে জুভেন্টাস ও উদিনেসে!
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের দুর্দান্ত ফর্মটা ধরে রেখেছেন ম্যানচেস্টার সিটি। ইনজুরির কারণে এরই মধ্যে দলের সেরা তারকা হয়ে ওঠা সার্জিও অ্যাগুয়েরো খেলতে পারেননি। কিন্তু তাতে বড় জয় আটকায়নি সিটিজেনদের। নিজের মাঠে তারা অ্যাস্টন ভিলাকে হারিয়েছে ৪-১ গোলে। একই দিনে তাদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নিজেদের ম্যাচে লিভারপুলের সঙ্গে ১-১ ড্র করায় পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থানেও উঠে এসেছে সিটিজেনরা। ৮ ম্যাচ পরে তাদের পয়েন্ট ২২। সমান ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ম্যানইউ। এভারটনকে ৩-১ গোলে হারিয়ে তিন নম্বর অবস্থানটা ধরে রেখেছে চেলসি। সান্ডারল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়েছে অর্সেনাল।
এস্তেবান ক্যাম্বিয়াসোর গোলে মাত্র ৬ মিনিটের সময়ে লিড নিয়েছিল ইন্টার মিলানই। বিরতির আগ পর্যন্ত ম্যাচের পাল্লাটা তাদের দিকেই ঝুঁকে ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সব হিসাব উলটে দেয় কাতানিয়া। ৪৬ মিনিটে সার্জিও অ্যালমিরনের গোলে সমতা ফেরায় তারা। এর মিনিট চারেক পরে পেনাল্টি থেকে গোল করে ইন্টার সমর্থকদের স্তব্ধ করে দেন ফ্রান্সিসকো লোদি। যদিও রেফারির দেওয়া পেনাল্টির সিদ্ধান্তটা নিয়ে বিতর্ক আছে অনেক!
সান সিরোতে পালেরমোকে একদমই সুযোগ দেয়নি এসি মিলান। তবে গোলের জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩৯ মিনিট পর্যন্ত। জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের ক্রস থেকে মিলানকে প্রথম এগিয়ে দেন অ্যান্তোনিও নোসেরিনো। রোজোনেরিদের দ্বিতীয় গোলটাও এসেছে ইব্রার পাস থেকেই। ৫৭ মিনিটে তাঁর বাড়িয়ে দেওয়া বলে ব্যবধান বাড়িয়েছেন রবিনহো। এর মিনিট সাতেক পরে অ্যান্তোনিও কাসানো মিলানের হয়ে তৃতীয় গোলটা করলে ম্যাচে ফেরার সব পথ বন্ধ হয়ে যায় পালেরমোর জন্য। এপি, সকারনেট

No comments

Powered by Blogger.