নির্বাচনের দু’দিন আগে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত : ইভিএম নিয়ে ভোটার-প্রার্থীরা শঙ্কিত

নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দুদিন আগে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। গতকাল নির্বাচন কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে চিঠি দেয়া হয়েছে। কমিশন জানায়, চার কোম্পানি সেনা মোতায়েনের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। সিটি করপোরেশন নির্বাচনী আইনের ২(১) ধারার ক্ষমতাবলে কমিশন এ সিদ্ধান্ত নেয়। কমিশন সচিবালয়ের এ চিঠিতে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে ১ নভেম্বর রাত ১১টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে সেনা মোতায়েন থাকবে।


সম্ভাব্য বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাসদস্যরা স্ট্রাইকিং ও ভ্রাম্যমাণ ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটাররা যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিয়ে নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারেন এবং ভোট কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য কমিশন সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়, ভোট গ্রহণের দিন, তার আগের দিন ও পরে নির্বাচনী এলাকায় সেনা নিয়োগের বিস্তারিত পরিকল্পনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
৩০ অক্টোবর রোববার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে।
সেনা মোতায়েন নিয়ে নির্বাচন কমিশনারদের বক্তব্য : সেনা মোতায়েনের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, যারা ভোটকেন্দ্র দখল করে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন, তাদের প্রতিহত করতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কেন্দ্র ও বুথ দখল করে যে নির্বাচনে জয়ী হওয়া যাবে না—এটা কি তারা বুঝতে পারছেন? তিনি বলেন, আগেই জানানো হয়েছিল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কমিশন সব অপশনই খোলা রেখেছে। সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত তারই একটি অপশন। তিনি বলেন, নির্বিঘ্নে ভোট দিতে জনগণকে আশ্বস্ত করা এবং প্রার্থী ও সাধারণ জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে—যাতে এ নির্বাচন নিয়ে বর্তমান কমিশনকে কেউ বিতর্কিত করতে না পারে। অপর নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ; কারণ নারায়ণগঞ্জবাসী চায় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হোক। এজন্য কমিশন পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে যা যা করা প্রয়োজন কমিশন তা-ই করবে। ইভিএমের বিষয়ে তিনি বলেন, এ নির্বাচনে কমিশন ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার করবে। কোনো প্রার্থী বিরোধিতা করলে কমিশনের কিছু আসে-যায় না। নির্বাচন করতে হলে অনেক বিষয় মেনে নিতে হয়। নিশ্চয়ই প্রার্থীরা এ বিষয়টি বুঝতে পারবেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্ট্রাইকিং ও মোবাইল ফোর্সে নিয়োজিত থাকবে। এরই মধ্যে ৩৬ জন নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২৪ জন রক্ষী দায়িত্ব পালন করবেন।
নারায়ণগঞ্জে ইভিএমে ভোট ভোটার ও প্রার্থীরা শঙ্কিত : নাসিক নির্বাচনকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জে বিরাজ করছে থমথমে ভাব। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় কম নয়। সংঘাতের আতঙ্কও দেখা দিয়েছে খোদ প্রার্থী এবং ভোটারদের মধ্যে। ইভিএমে ভোট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সবখানে। হেভিওয়েট দুই মেয়র প্রার্থীসহ অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী এবং নাগরিক কমিটির দাবি ইভিএম বন্ধের। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই শঙ্কা বাড়ছে। সাধারণ ভোটারদের মতে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও বির্তকমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানই এখন নির্বাচন কমিশনের কাছে বড় দাবি।
নাগরিক কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট এবি সিদ্দিক জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। এটা নবগঠিত এবং প্রথমবারের মতো নির্বাচন হচ্ছে এখানে। নির্বাচনে শান্তি-শৃঙ্খলা, কালো টাকার দৌরাত্ম্য ও পেশিশক্তির প্রভাব বন্ধ করতে হবে। এখানে যদি আর্মি থাকে তাহলে সন্ত্রাসীদের দূরে রাখা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, নাগরিক কমিটি কাউকে সমর্থনও দেবে না আবার বিরোধিতাও করবে না। কিন্তু আমরা একটি সুষ্ঠু, অবাধ এবং সুন্দর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই।
নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সহ-সভাপতি রফিউর রাব্বি বলেন, তালিকাভুক্ত চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। বাস্তবতা হচ্ছে জেলা পুলিশ সুপার ও সিটি এলাকায় সংশ্লিষ্ট ৩টি থানার ওসি নিরপেক্ষ নন। তাদের বদলি করতে হবে। এদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জের অধিবাসীদের মধ্যে একটা আশঙ্কা রয়েছে।
শহরের শহীদনগর এলাকার ১৮নং ওয়ার্ডের ভোটার বাদল মিয়া জানান, প্রার্থীদের পদচারণায় এলাকার পরিবেশ জমজমাট; কিন্তু বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে সন্ত্রাসীদের প্রকাশ্যে বিচরণ দেখে আমরা শঙ্কিত। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না, এ নিয়ে আমরা চিন্তায় আছি। সন্ত্রাসীদের অনেকের সঙ্গেই স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সখ্যতা রয়েছে। ইভিএম মেশিন দিয়ে আমাদের ওয়ার্ডে ভোট হবে। আমরা এটা বাতিল চাই। আগের নিয়মে ব্যালট দেখে আমরা ভোট দিতে চাই।
একই এলাকার ভোটার ইকবাল হোসেন ভুলু বলেন, একটি ব্যাপার আমরা বুঝতে পারছি না, যেসব এলাকা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও সাবেক মেয়র আইভীর ভোট ব্যাংক, সেসব এলাকা বেছে বেছে ইভিএম মেশিনে ভোট নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ভোটের এ হিসাবের রহস্য কী? অন্যদিকে সাবেক এমপি শামীম ওসমানের নিজ ও যেসব এলাকায় ভোট বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেসব এলাকার একটিতেও ইভিএমে ভোট হচ্ছে না। এখানে একটি ভোট চুরির ফাঁক তৈরি করা হয়েছে।
বন্দর এলাকার ২২ নং ভোটার মেহেদী হাসান বলেন, অনেক ভোট দেখেছি। এবারের মতো এত হাঁক-ডাক দেখিনি। প্রার্থীদের হাঁক-ডাকে আমরা ভয় পাচ্ছি। কী যে হয় ইলেকশনে, বুঝতে পারছি না। ইভিএমে ভোট হলে কারচুপি হবে। আমরা আগের মতো ব্যালটে ভোট দিতে চাই।
সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের ভোটার নাজনিন সুলতানা বলেন, নির্বাচন কমিশনের যদি ইভিএম চালু করার ভালো উদ্দেশ্য থাকত, তাহলে শুধু ৯টি ওয়ার্ডেই কেন এ ব্যবস্থা। ২৭টি ওয়ার্ডের পুরোটাতেই একটি করে কেন্দ্রে এ ব্যবস্থা চালু করতে পারত।
বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, শুরু থেকেই ইভিএম পদ্ধতি বাদ দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছি। ইভিএম নিয়ে বহু তথ্য ঘেঁটে দেখেছি, এটি একটি ভোট চুরির মেশিন। আমি আবারও এ পদ্ধতি ব্যবহার না করার আহ্বান জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগের সমর্থনপ্রত্যাশী অপর মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত্ আইভী বলেন, ইভিএম নিয়ে ভোটারদের মাঝে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তারা এ পদ্ধতিতে ভোট দিতে চায় না। সবাই বলছে, এ পদ্ধতির মাধ্যমে ফলাফল পাল্টে দেয়া যায়। আমি মনে করি ভোটারদের মতামতের প্রতি সম্মান জানিয়ে ইভিএমে ভোট বন্ধ করা হোক।
আওয়ামী লীগের অপর সমর্থনপ্রত্যাশী প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান বলেন, ইভিএম নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমার দ্বিমত নেই। পদ্ধতিটি নিয়ে এরই মধ্যে বির্তকের সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমি মনে করি নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে আরেকবার ভেবে দেখতে পারে।
পুলিশ সুপার শেখ নাজমুল আলম জানান, সাজাপ্রাপ্ত আসামি যারা আছে, আমরা তো তাদের বাইরে বিচরণ করতে দিতে পারি না। এটা সহজ কথা। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান ৩০ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এছাড়া আমাদের কিছু পরিকল্পনা আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনার কিছু পরামর্শ দিয়েছেন, সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করব।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি এসএম আকরাম বলেন, আমি নিজেও প্রার্থী ছিলাম। দলের স্বার্থে প্রত্যাহার করেছি। ভেবেছিলাম, ভোটারদের কাছে যার গ্রহণযোগ্যতা বেশি, যার বিরুদ্ধে কোনো নেতিবাচক প্রচারণা নেই, দলের স্বার্থে তার পক্ষে অপর প্রার্থীও নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবে, কিন্তু তা হয়নি। প্রার্থিতা সম্পর্কে এখনও আমাকে কিছু বলা হয়নি। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নিয়ে নারায়ণগঞ্জে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা থেকে যে নেতারাই আসুক না কেন, এখনও আওয়ামী লীগ কাউকে সমর্থন জানায়নি। তবে নারায়ণগঞ্জের ভোটাররা এবার নীরব ভোট বিপ্লব ঘটাবে বলে মনে হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯টি ওয়ার্ডে ইলেক্ট্রোনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হচ্ছে। ওয়ার্ডগুলো হলো ৭, ৮, ৯ (সিদ্ধিরগঞ্জ) ১৬, ১৭, ১৮ (নারায়ণগঞ্জ শহর) ২২, ২৩, ও ২৪ (বন্দর)। এসব ওয়ার্ডের ৫৮টি কেন্দ্রের ৪৫০টি বুথে ইভিএম মেশিনে ভোট হবে। এসব কেন্দ্রের আওতাধীন মোট ভোটার হলো ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬২৯ জন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও ঢাকা বিভাগীয় উপ-নির্বাচন কমিশনার বিশ্বাস লুত্ফর রহমান জানান, আগামী ২-১ দিনের মধ্যেই ইভিএম বিষয়ে উন্মুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হবে।
রূপগঞ্জে আলোচনা সভা : রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নম্ন ও বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের সুস্বাস্থ্য কামনা করে গতকাল সকালে রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার যাত্রামুড়া এলাকায় ওলামা দলের উদ্যোগে এক সভা ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন তারাবো পৌর ওলামা দলের সভাপতি মো. কামাল খান।
বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ওলামা দলের সভাপতি মুন্সি সামছুর রহমান খান বেনু, সহ-সভাপতি হাজী আবদুল হাই, রূপগঞ্জ উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা মজিবুল্যাহ, সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তালুকদার, ওলামা দল নেতা আলহাজ আবদুল রউফ, আবদুল মতিন ভুঁইয়া, আলী আকবর, মাওলানা হারুনুর রশীদ, আমিরুল খান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুবেল ভুঁইয়া, আশরাফুল হক খান প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে নাসিক নির্বাচনে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনি জয়লাভ করবেন বলে বক্তারা আশাবাদী। এ সময় তৈমূরসহ দেশবাসীর জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
শামীমের পোস্টারে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনবিধি ভঙ্গ করে দলীয় স্লোগান ব্যবহার করেছেন মেয়র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। নাসিকের বিভিন্ন এলাকায় লাগানো শামীম ওসমানের পোস্টারে দেখা গেছে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান। এছাড়া শামীম ওসমানের লিফলেট, হ্যান্ডবিলেও একইভাবে দলীয় স্লোগান ব্যবহার করা হয়েছে।
এদিকে পোস্টার কিংবা লিফলেটে এ জাতীয় স্লোগান ব্যবহারকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনবিধি লঙ্ঘন বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ফরহাদ হোসাইন।
সূত্রমতে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে নির্বাচন কমিশন যেখানে বদ্ধপরিকর সেখানে নাসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী শামীম ওসমান তার পোস্টার ও লিফলেটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ ব্যবহার করেছেন।
গতকাল চাষাড়া থেকে ২নং রেলগেট পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি পোস্টারে লেখা রয়েছে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নাসিক নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ফরহাদ হোসাইন জানান, কোনো প্রার্থীর পোস্টারে রাজনৈতিক দলের স্লোগান ব্যবহার অবশ্যই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আচরণবিধি পরিপন্থী। এ ধরনের কোনো প্রমাণ পেলে আমরা অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে জানাবো।

No comments

Powered by Blogger.