বিনিয়োগকারীদের আমরণ অনশন

রপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভে-বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশের শেয়ারবাজার। গতকাল রোববার রাজধানীতে বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা আমরণ অনশন শুরু করেছেন। রাত ১২টা পর্যন্ত অন্তত চার বিনিয়োগকারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ভূত সমস্যার সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি হস্তক্ষেপ না করলে ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। তাছাড়া আজ শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ করে দেওয়ারও হুশিয়ারি দিয়েছেন অনশনরত বিনিয়োগকারীরা।


বিনিয়োগকারীদের এ আন্দোলনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ মহাজোট সরকারের প্রধান শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরাসরি উপস্থিত হয়ে একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশ এবং ভবিষ্যৎ সব কর্মসূচিতে অকুণ্ঠ সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে বিনিয়োগকারীদের আন্দোলন কর্মসূচি নতুন রূপ নেয়। এদিকে, পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারি সংস্থাগুলো আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিনিয়োগকারীদের দাবির বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সূত্র জানিয়েছে, এনবিআর চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে কর রেয়াত সুবিধা পুনর্বহাল, লেনদেনে উৎসে কর অর্ধেক করা এবং মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগের ওপর কর রেয়াত সুবিধা পুনর্বহাল রাখার বিষয়ে ইতিমধ্যে তারা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ সোমবার এনবিআর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
বিনিয়োগকারীদের
এখন প্রধান দাবি, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারে ফিরিয়ে এনে শেয়ারবাজারকে স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হবে। গতকাল রাত ১০টায় আমরণ অনশনরত বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশীদ চৌধুরী সমকালকে বলেন, 'বাজারে তারল্য সংকট নিরসনে অনতিবিলম্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়কে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করে করণীয় নির্ধারণ ও তা বাস্তবায়ন করতে হবে। বাণিজ্যিক ব্যাংক, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা, মার্চেন্ট ব্যাংক, মিউচুয়াল ফান্ডগুলোকে গত বছরের মুনাফা ফের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে বাধ্য করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। ইতিমধ্যে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়লেও রাত সাড়ে ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো আশ্বাস বা সহায়তা নিয়ে আসেনি জানিয়ে তিনি বলেন, 'পরিস্থিতি দ্রুতই খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমরা এখনও আশা করি, প্রধানমন্ত্রী আমাদের তার সন্তানের মতো দেখতে আসবেন। আমাদের নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার কথা শুনতে আসবেন এবং আমাদের কষ্ট লাঘবে নিজে উদ্যোগ নেবেন। তার হস্তক্ষেপ ছাড়া আমাদের অনশন কর্মসূচি বন্ধ হবে না।'
গতকাল বিনিয়োগকারীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা শেয়ারবাজার সমস্যা সমাধানে সরকার আন্তরিক নয় বলে অভিযোগ করেন। তারা মন্ত্রিসভার জরুরি সভা ডেকে শেয়ারবাজার সমস্যার সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায় শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের আন্দোলন শেয়ারবাজারে সীমাবদ্ধ থাকবে না_ এমন হুশিয়ারি দিয়ে তারা বলেন, বিনিয়োগকারীদের আন্দোলন জাতীয় আন্দোলনে রূপ নেবে এবং দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। গতকাল বিনিয়োগকারীদের আন্দোলনে শরিক হতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিনিয়োগকারীরা বলেছেন, সরকার কোনোভাবেই বিনিয়োগকারীদের আন্দোলন থেকে পিছু হটাতে পারবে না। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দেশব্যাপী প্রধান শহরগুলোতে বিনিয়োগকারীরা প্রতীকী অনশন, অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।
বিনিয়োগকারীদের কর্মসূচিতে বিএনপি ও জাপা ছাড়াও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা সরাসরি উপস্থিত হয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। কর্মসূচিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নাও ফোন করে বিনিয়োগকারীদের দাবি ও আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিনিয়োগকারীরা।
এদিকে, সপ্তাহের লেনদেনের প্রথম দিনে গতকালও দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ সূচক কমেছে ১৮১ পয়েন্ট বা সোয়া ৩ শতাংশেরও বেশি। লেনদেন হওয়া ২৬৩টি কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ২৫০টিরই দর কমেছে। দিনজুড়ে লেনদেন হয়েছে মাত্র ২৫৮ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার। অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৭৭টি কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ১৭০টিরই দর কমেছে।
বিক্ষোভে রাজনৈতিক দলের সংহতি :পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, গতকাল লেনদেন শুরুর পরই সকাল ১১টায় পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে শতাধিক বিনিয়োগকারী রাজধানীর ডিএসই কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। এরপর বিনিয়োগকারীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে রাজনৈতিক দলের নেতারা যোগাযোগ করলে পুরো পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি সময় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিশালতা লাভ করে। বিনিয়োগকারীরা মতিঝিলের ডিএসই কার্যালয়ের সামনে যান চলাচলে বাধা না দিলেও শেষ পর্যন্ত কয়েক হাজার বিনিয়োগকারীর বিক্ষোভে পুলিশ দুপুর দেড়টায় ইত্তেফাক মোড় থেকে শাপলা চত্বর পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।
রাজনৈতিক দলের পক্ষে বিনিয়োগকারীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করতে প্রথমে সিপিবির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাজ্জাদ জহির চন্দন দুপুর ১২টায় উপস্থিত হয়ে তার দলের সমর্থন ব্যক্ত করেন। তারপর দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে মহাজোট সরকারের প্রধান শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরাসরি হাজির হয়ে বিনিয়োগকারীদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানান। এ সময় জাতীয় পার্টির নেতা কাজী জাফর আহমেদ ও এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদারও তার সঙ্গে ছিলেন। শেয়ারবাজারের বর্তমান অবস্থার জন্য শেয়ার কারসাজির হোতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়াকে দায়ী করে এরশাদ বলেন, 'যারা শেয়ার কারসাজি করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে, তাদের সবাইকেই আমরা চিনি। তাদের খুঁজে বের করার দরকার নেই।' তিনি দোষীদের শাস্তির দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, 'আপনার অর্থমন্ত্রী এদের (কারসাজিকারীদের) ক্ষমতার কাছে হার মেনেছে। গুটিকয় ব্যক্তির স্বার্থের কাছে কোটি মানুষের স্বার্থ জলাঞ্জলি দেবেন না।' জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান শেয়ারবাজার সমস্যা সমাধানের ব্যর্থতার জন্য সরকারকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে আরও বলেন, '৩৩ লাখ বিনিয়োগকারী নিজেদের সঞ্চয় হারিয়ে সর্বস্বান্ত। এদের আর্থিকভাবে পঙ্গু করে আপনার সরকার টিকে থাকতে পারবে না। আপনি একজন মা হিসেবে এসব নিঃস্ব বিনিয়োগকারীর পাশে এসে দাঁড়ান।'
এরশাদ আন্দোলনকারী বিনিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সমালোচনা করে বলেন, 'এটা ঠিক হয়নি। অবিলম্বে বিনিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে নিন।' তিনি বিনিয়োগকারীদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আশ্বাস দেন, শেয়ারবাজার সমস্যা সমাধানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন।
এরপর জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন সংহতি প্রকাশ করে বলেন, শেয়ারবাজার ধ্বংস হলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হবে। বিনিয়োগকারীদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে এ আন্দোলন কেবল অর্থনৈতিক বা শেয়ারবাজার পতনের আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, জাতীয় আন্দোলনে রূপ নেবে।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান বিক্ষোভ ও অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আন্দোলনের প্রতি বিএনপির সমর্থন জানান। তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই শেয়ারবাজারে কারসাজি হয় এবং সে কারসাজির কোনো বিচার হয় না।' আগামীতে বিএনপি সরকার গঠন করলে শেয়ারবাজারের দরপতনে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ, জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে শেয়ারবাজারকে পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার, শেয়ার কেলেঙ্কারির হোতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করেন বিএনপির এ নেতা। তিনি বলেন, 'এ সরকার বিনিয়োগকারীদের সম্মান দেয় না, তাদের ফটকাবাজ বলে গালি দেয়। বিএনপি ক্ষমতায় এলে শেয়ারবাজার লুণ্ঠনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' তিনি অবিলম্বে শেয়ারবাজার সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। অন্যথায় বিনিয়োগকারীদের যেকোনো আন্দোলনে বিএনপি সমর্থন জোগাবে বলে সরকারকে সতর্ক করেন তিনি।
বিনিয়োগকারীদের আন্দোলনে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে হাজির হয়ে জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব শেয়ারবাজার সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতার জন্য সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, 'টানা দশ মাসের দরপতনের জন্য এ সরকারের কি কোনো দায় নেই? থাকলে কেন এতদিনেও সরকার এ সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নিচ্ছে না?' জাসদ নেতা বলেন, 'দিনবদলের ডাক দিয়ে ক্ষমতা নিয়ে যদি ৩৪ লাখ বিনিয়োগকারীর পরিবারের কয়েক কোটি মানুষ নিঃস্ব হয়ে যায়, তেমন দিনবদল, তেমন ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা চাই না।' শেয়ারবাজারকে অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড উল্লেখ করে আসম রব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, 'চাটুকারদের সরিয়ে ৩৪ লাখ বিনিয়োগকারীর দিকে তাকান। আগামী সাত দিনের মধ্যে শেয়ারবাজার সমাধান করুন। প্রয়োজনে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকুন।' আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকার এ সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ না নিলে শেয়ারবাজারের আন্দোলন কেবল শেয়ারবাজারে সীমাবদ্ধ থাকবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস না পেলে বিনিয়োগকারীরা অনশন ভাঙবেন না। তখন এ আন্দোলন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়বে। শেয়ারবাজার আন্দোলন জাতীয় আন্দোলনে রূপ নেবে।'
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ : গতকাল সন্ধ্যায় এনবিআর চেয়ারম্যান ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শেয়ারবাজার পরিস্থিতি উন্নয়নে তাদের উদ্যোগ বিষয়ে অবহিত করেন। এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, এনবিআর চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্টদের দাবি অনুযায়ী, ইতিমধ্যে এনবিআর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ওপর কর রেয়াত সুবিধা পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া শেয়ার লেনদেনের ব্রোকারেজ কমিশন দশমিক ১০ শতাংশ থেকে দশমিক শূন্য ৫ শতাংশে এবং মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগের ওপর আরোপিত ১০ শতাংশ কর সুবিধা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসইসির চেয়ারম্যান এ বিষয়ে গত বুধবার সাক্ষাৎ করলে ওইদিনই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দাপ্তরিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে আজ সোমবার এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এসইসি চেয়ারম্যানের বৈঠক : গতকালও শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খায়রুল হোসেন গতকাল বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে বসেন। চলমান অস্থিরতা কমাতে অর্থমন্ত্রী সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এসইসির চেয়ারম্যান অবিলম্বে শেয়ারে বিনিয়োগে কর রেয়াত সুবিধা পুনর্বহাল, শেয়ার লেনদেনে উৎসে কর কমানোর জন্য সরকারের ঘোষণা দাবি করেন। এছাড়া পরিস্থিতি উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পক্ষ থেকেও উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করেন তিনি।

No comments

Powered by Blogger.