বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হবে তৈরি পোশাক শিল্প

স্ত্র ও পোশাক শিল্প বোর্ড' গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে। অনুমোদনের প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক কার্যক্রম শেষে আগামী সপ্তাহ থেকে তৈরি পোশাক শিল্প এ বোর্ডের অধীন পরিচালিত হবে। একই সঙ্গে বোর্ডের মাধ্যমে সুতা ও কাপড় তৈরিবিষয়ক কার্যক্রমও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র আরো জানায়, গত মাসে (২৯ তারিখ) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিল্প বোর্ডের অনুমোদন দেওয়া হয়। চলতি মাসের ৩ অক্টোবর এটি প্রশাসনিক উন্নয়নবিষয়ক সচিব কমিটিতে পাস হয়।


এ ব্যাপারে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব আশরাফুল মকবুল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তৈরি পোশাক খাত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়; কিন্তু সুতা ও কাপড় তৈরির সকল কার্যক্রম বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতায় পরিচালিত হয়। দুটি মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিচালিত হলেও এ শিল্প খাতগুলো একটি আরেকটির ওপর নির্ভরশীল।' কাজে গতি আনতে তিনটি খাতকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তা। তিনি বলেন, 'গঠিত শিল্প বোর্ড পরিচালিত হবে বস্ত্র ও পোশাক শিল্প আইন ২০১১ অনুসারে। সরকারি-বেসরকারি উভয় খাতের জন্য এ আইন প্রযোজ্য হবে।'
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বস্ত্র ও পোশাক শিল্প বোর্ডে সভাপতিত্ব করবেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী। তা ছাড়া আরো ২২ সদস্য থাকবেন এখানে। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন, বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা। এ ছাড়া বোর্ডে আরো থাকছেন বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি। এসব ব্যবসায়ী সংগঠনের মধ্যে আছে বিজিএমই, বিটিএমএ, বিকেএমইএ, বিএসটিএমপিআইএ এবং বিআইএফটি।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে শিল্প বোর্ড গঠনের উদ্যোগ সম্পর্কে মতামত জানতে চাওয়ায় বিজেএমইএর সভাপতি শফিউল আলম মহিউদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কোনো মন্ত্রণালয় বা কারা আমাদের নিয়ন্ত্রণ করবে, তা মুখ্য নয়; বরং তৈরি পোশাক খাতে বিরাজমান সমস্যার সমাধানে তা কতখানি ভূমিকা রাখছে, তা বিবেচ্য বিষয়।

No comments

Powered by Blogger.