উইন্ডিজ শিক্ষা
টানা দুটি ম্যাচে প্রতিপক্ষকে হাতুড়ির নিচে ফেলার পরও স্যামুয়েলস বলছেন বাংলাদেশ বিপজ্জনক দল। অন্যের মাঠে খেলতে এসেছেন বলেই কি ভদ্রতা দেখাচ্ছেন এই অলরাউন্ডার। এর আগে শেবাগ এসে তো মুখের ওপরই বলে দিয়েছিলেন, 'অর্ডিনারি দল বাংলাদেশ।' সে ঘটনার পর অবশ্য জলঘোলা কম হয়নি। স্যামুয়েলস অবশ্য চোখের ভদ্রতা নয়, মনের কথাটিই বলেছেন। 'আসলে বাংলাদেশ আর উইন্ডিজ অনেকটাই একই রকম। কোনোদিন খুব ভালো খেলে তো পর দিনই ভীষণ বাজে খেলে।' টি২০ ম্যাচে অমন একটি জয়ের পর টানা দুটি ওয়ানডে হারার কারণেই হয়তো স্যামুয়েলস হাসতে হাসতে কথাগুলো বলেছেন।
যদিও ক্যারিবীয়দের এই উপলব্ধির সঙ্গে একমত নন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ভিনদেশের ছেলেরা ঢাকায় এসে যেভাবে পরিকল্পিতভাবে খেলছেন তাতে মুশফিকের মনে হয়েছে এ দলটির কাছ থেকে তার দলের ব্যাটসম্যানদের অনেক কিছুই শেখার রয়েছে। 'অনেক পরিকল্পনা করে, অনেক প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকায় এসেছে ক্যারিবীয় দল। গত দুটি ওয়ানডেতেই ওদের ব্যাটসম্যানরা শুরুর দিকে ধরে খেলে পরে চালিয়েছে। ওদের বোলাররাও বেশ নিয়ন্ত্রণ রেখে বোলিং করছে। খেয়াল করলে দেখা যাবে, ওদের বোলাররা ৫০ ওভারের মধ্যে ১০ থেকে ১২টি বল বাজে করেছে।' সিরিজের বাঁচামরার দ্বিতীয় ম্যাচটি ৮ উইকেটে হেরে যাওয়ার পর মুশফিক আদর্শ ব্যাটিংয়ের উদাহরণ দাঁড় করাতে গিয়ে প্রতিপক্ষকেই সামনে এনেছেন।
সিরিজের দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের সম্মিলিত রান ৬৬। যেখানে আশরাফুল করেছেন ২ রান, তামিম ২২ আর ইমরুল ৪২। সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার সিমন্স একাই করেছেন ২০২ রান। ওয়ান ডাউনে নামা স্যামুয়েলস করেছেন ১৫৯ রান। শুধু ব্যাটিংয়ে নয়, বোলিংয়েও বাংলাদেশিদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন ক্যারিবীয় পেসাররা। রবি রামপাল একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। বাকিদের মধ্যে রাসেল, রোচ আর স্যামুয়েলস নিয়েছেন ৩টি করে। বাংলাদেশিদের মধ্যে রুবেলের শিকার কেবল ৩ উইকেট। দলের মূল বোলার শফিউল দুই ম্যাচে ১৭ ওভার বল করে ১২০ রান দিয়ে পেয়েছেন মাত্র একটি উইকেট। মুশফিক মনে করেন, শারীরিক গঠনের কারণেই ক্যারিবীয়রা পেস বোলিংয়ে কিছু অ্যাডভান্টেজ পাচ্ছেন। তবে যেভাবে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা আউট হচ্ছেন, তাতে বোলারদের কৃতিত্বের চেয়ে ব্যাটসম্যানদের ভুলই হচ্ছে বেশি। 'মিরপুরের উইকেট ব্যাটিং সহায়কই ছিল, আমরা তা কাজে লাগাতে পারিনি। অযথা উইকেটের দোষ দিয়ে লাভ নেই।'
এই উইকেটে যে শুরুতেই একটু ধরে খেলতে হয়, সেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল এ ক'দিনেও বুঝে নিয়েছে। আর সে কারণেই প্রথম ওয়ানডেতে প্রথম ৫ ওভারে তাদের রান ছিল মাত্র ১১। পরের ৫ ওভারে তারা তুলে ৩৬। সেখানে বাংলাদেশ প্রথম ৫ ওভারেই রান নেয় ২৩, পরের ৫ ওভারে আসে মাত্র ১৭। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও প্রথম ৫ ওভারে ক্যারিবীয়দের রান ছিল ১৮। বাংলাদেশেরও ছিল সেই একই রান, তবে ক্যারিবীয়রা যেখানে কোনো উইকেট না হারিয়ে ওই স্কোর করে, সেখানে বাংলাদেশের পড়ে যায় ৪ উইকেট। মুশফিক মনে করেন, এ জায়গাতেই ভুল হচ্ছে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যাদের। 'প্রথম দশ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ রান তোলার লক্ষ্য ছিল আমাদের, অথচ...।' ক্যারিবীয় দ্বীপ থেকে আসা ছেলেগুলো যেখানে মিরপুরের উইকেটগুলোকে পড়ে নিয়ে খেলা চালিয়ে গেছেন, সেখানে আমাদের ছেলেরা সারাবছরও মিরপুরকে বুঝতে পারেননি। সে কারণেই মুশফিক যথেষ্টই বলেছেন। 'ওদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে আমাদের।'
সিরিজের দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের সম্মিলিত রান ৬৬। যেখানে আশরাফুল করেছেন ২ রান, তামিম ২২ আর ইমরুল ৪২। সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার সিমন্স একাই করেছেন ২০২ রান। ওয়ান ডাউনে নামা স্যামুয়েলস করেছেন ১৫৯ রান। শুধু ব্যাটিংয়ে নয়, বোলিংয়েও বাংলাদেশিদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন ক্যারিবীয় পেসাররা। রবি রামপাল একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। বাকিদের মধ্যে রাসেল, রোচ আর স্যামুয়েলস নিয়েছেন ৩টি করে। বাংলাদেশিদের মধ্যে রুবেলের শিকার কেবল ৩ উইকেট। দলের মূল বোলার শফিউল দুই ম্যাচে ১৭ ওভার বল করে ১২০ রান দিয়ে পেয়েছেন মাত্র একটি উইকেট। মুশফিক মনে করেন, শারীরিক গঠনের কারণেই ক্যারিবীয়রা পেস বোলিংয়ে কিছু অ্যাডভান্টেজ পাচ্ছেন। তবে যেভাবে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা আউট হচ্ছেন, তাতে বোলারদের কৃতিত্বের চেয়ে ব্যাটসম্যানদের ভুলই হচ্ছে বেশি। 'মিরপুরের উইকেট ব্যাটিং সহায়কই ছিল, আমরা তা কাজে লাগাতে পারিনি। অযথা উইকেটের দোষ দিয়ে লাভ নেই।'
এই উইকেটে যে শুরুতেই একটু ধরে খেলতে হয়, সেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল এ ক'দিনেও বুঝে নিয়েছে। আর সে কারণেই প্রথম ওয়ানডেতে প্রথম ৫ ওভারে তাদের রান ছিল মাত্র ১১। পরের ৫ ওভারে তারা তুলে ৩৬। সেখানে বাংলাদেশ প্রথম ৫ ওভারেই রান নেয় ২৩, পরের ৫ ওভারে আসে মাত্র ১৭। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও প্রথম ৫ ওভারে ক্যারিবীয়দের রান ছিল ১৮। বাংলাদেশেরও ছিল সেই একই রান, তবে ক্যারিবীয়রা যেখানে কোনো উইকেট না হারিয়ে ওই স্কোর করে, সেখানে বাংলাদেশের পড়ে যায় ৪ উইকেট। মুশফিক মনে করেন, এ জায়গাতেই ভুল হচ্ছে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যাদের। 'প্রথম দশ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ রান তোলার লক্ষ্য ছিল আমাদের, অথচ...।' ক্যারিবীয় দ্বীপ থেকে আসা ছেলেগুলো যেখানে মিরপুরের উইকেটগুলোকে পড়ে নিয়ে খেলা চালিয়ে গেছেন, সেখানে আমাদের ছেলেরা সারাবছরও মিরপুরকে বুঝতে পারেননি। সে কারণেই মুশফিক যথেষ্টই বলেছেন। 'ওদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে আমাদের।'
No comments