তবু পিটারসেন-সোয়ান সম্পর্কের অবনতি হয়নি

ত্মজীবনী কিছু বিতর্ক উসকে দেবেই। বলা হয়ে থাকে, বিক্রি বাড়াতে এটা নাকি সচেতনভাবেই করে থাকে জীবনীকার। হার্শেল গিবস বা শোয়েব আখতারদের না হয় সেই দলেই ফেলা হলো, কিন্তু গ্রায়েম সোয়ান! তিনি এমন সময়ে আত্মজীবনী লিখেছেন যখন তিনি নিজে খেলছেন এবং যাঁর ব্যাপারে অপ্রিয় সত্য কথাগুলো বলেছেন সেই কেভিন পিটারসেন তাঁর সতীর্থ। বইয়ের বিক্রি বাড়াতে দলের মধ্যে কোন্দল তৈরি করবেন তাই বলে! উদ্দেশ্য যাই থাক ইংল্যান্ড কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার মনে করছেন কাজটা মোটেও ঠিক হয়নি সোয়ানের।


বর্তমান খেলোয়াড়দের এই পথে পা না বাড়ানোরই পরামর্শ জিম্বাবুইয়ান এই কোচের, 'আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যারা এখনো খেলছে তাদের কারোই সতীর্থদের নিয়ে কথা বলা উচিত নয়।'সয়ান তাঁর আত্মজীবনী 'দ্য ব্রেকস আর অফ'-এর এক জায়গায় রাখঢাক না করেই লিখেছেন যে, ২০০৮ ও '০৯ সালে অধিনায়ক হিসেবে পিটারসেনের ভূমিকা তাঁর মোটেও ভালো লাগেনি। তাতে পিটারসেন কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখালেও ফ্লাওয়ারের ব্যাখ্যায় এর নেতিবাচক দিকটা উঠে এসেছে, 'লিখিত যেকোনো কিছু একেবারেই ভিন্নভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপিত হয়। কারণ এ ক্ষেত্রে বক্তার বলার ধরনটা ঠিক বোঝা যায় না, কথা বলার সময় গলার স্বরে যেটা ধরা পড়ে। আর সোয়ানের লেখায় তো খুব সুনির্দিষ্ট করে এবং বেশ স্পর্শকাতর একটা বিষয়ে বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে তাই ঝুঁকিটা আরো বেশি।' ইংল্যান্ড দলে তাঁর বাকি শিষ্যরা বা এই সময়ের অন্য খেলোয়াড়রা তাঁর এই উপদেশ সাদরে গ্রহণ করলেও বাস্তবতা হচ্ছে 'ঢিলটা ছোঁড়া হয়ে গেছে'। তবে এ ক্ষেত্রে ফ্লাওয়ার স্বস্তি পাচ্ছেন কারণ এখনো পর্যন্ত সোয়ান বা পিটারসেনের মধ্যে প্রকাশ্য কোনো দ্বন্দ্বের খবর পাওয়া যায়নি। ফ্লাওয়ার নিজেও তাই জানিয়েছেন, 'এসব বিষয়ে নিজেদের মধ্যেই মীমাংসা হয়ে গেছে, তেমন কোনো সমস্যাই তৈরি হয়নি। পিটারসেন এবং সোয়ানের সম্পর্কও ঠিক আছে। আমি মনে করি পিটারসেনও বেশ পরিণত আচরণই করেছে ব্যাপারটার মুখোমুখি হয়ে।' পিটিআই

No comments

Powered by Blogger.