দলে এগিয়ে শামীম, বিএনপি ও বামের একাংশ আইভীর দিকে by অমিতোষ পাল ও দিলীপ কুমার মণ্ডল,

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের যে দুজন নেতা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সাংগঠনিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন শামীম ওসমান। স্থানীয় দুই সংসদ সদস্য, স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বেশির ভাগ নেতাই শামীম ওসমানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। অবশ্য আওয়ামী লীগের অপর প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর পক্ষেও কিছু নেতা-কর্মী আছেন। তবে দলের বাইরে তাঁর আছে বাম ঘরানার সমর্থন। বিএনপির একটি অংশও আইভীর পক্ষে।সিটি করপোরেশন এলাকার কোনো সংসদ সদস্য আইভীর পক্ষে নেই।


নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনের সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী আইভীর পক্ষে অবস্থান নিলেও কবরীর নির্বাচনী এলাকা করপোরেশনের বাইরে। ফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে শামীম ওসমানকেই মনে করছেন অনেকে। তাঁদের ধারণা, কৌশলগত কারণে দলীয় হাইকমান্ড শামীম ওসমানের নাম জোরেশোরে ঘোষণা না করলেও তিনিই আওয়ামী লীগের প্রার্থী।
সাংগঠনিকভাবে শামীম ওসমানের এগিয়ে থাকা প্রসঙ্গে বিকেএমইএর পরিচালক ও নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ফারুক বিন ইউসুফ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'শামীম ওসমানের মেজ ভাই সেলিম ওসমান বিকেএমইএর সভাপতি। বড় ভাই নাসিম ওসমান জাতীয় পার্টির এমপি। এ ছাড়া শামীম ওসমান নিজেও আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা। কিন্তু সেলিনা হায়াত আইভী দলীয় কোনো পদে নেই। কাজেই দলীয় সমর্থন বেশি পাচ্ছেন শামীম ওসমান।' ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে শামীম ওসমানকে সমর্থন দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ইউসুফ বলেন, 'ওসমান পরিবারের কারণেই নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ব্যবসা করতে পারছেন। এখানে কোনো চাঁদাবাজি নেই। ফলে ব্যবসায়িক সংগঠনগুলো শামীম ওসমানকে সমর্থন দেবে_এটাই স্বাভাবিক।'
নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'দলের তিন সাংগঠনিক সম্পাদক কয়েক দিন আগে নারায়ণগঞ্জে এসে শামীম ওসমানকে সমর্থন দিয়েছিলেন। দলীয় এমপি হিসেবে আমি তাঁদের বাইরে যেতে পারি না।'
অবশ্য সেলিনা হায়াতের সমর্থক নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আওয়ামী লীগের লোকজন আইভীর সঙ্গে নেই এমন কথা বলা যাবে না। স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক নিজামউদ্দিন, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল কাদের, যুব মহিলা লীগসহ অনেকেই আইভীর পক্ষে কাজ করছেন। আর অন্য সংগঠনগুলোর কথা বলছেন? শামীম ওসমানের এক ভাই এমপি, আরেক ভাই বড় ব্যবসায়ী নেতা। তাঁরা অনেক জায়গায় এমনভাবে লোকজন সেট করে রেখেছে যে, সেখানে অন্যদের ঢোকাই মুশকিল। এ জন্যই ওই সব সংগঠনের লোকজন প্রকাশ্যে তাঁদের সমর্থন করে। কারণ তাঁরা তো প্রকাশ্যে বিরোধিতা করতে পারেন না। ভেতরে ভেতরে আমাদের সমর্থন করছেন।'
জানা গেছে, এই জেলার দুটি সংসদীয় আসনের বেশির ভাগ অংশ নিয়ে গঠিত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের আবদুল্লাহ আল কায়সার এরই মধ্যে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন শামীম ওসমানকে। অপর সংসদ সদস্য নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয় পার্টির নাসিম ওসমান হলেন শামীম ওসমানের বড় ভাই। এরই মধ্যে সভা করে শামীম ওসমানকেই সমর্থন দিয়েছে জাতীয় পার্টি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটিরও বেশির ভাগ নেতাই শামীম ওসমানের পক্ষে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। আহ্বায়ক এস এম আকরাম নীরব থাকলেও যুগ্ম আহ্বায়ক মফিজুল ইসলাম, প্রভাবশালী সদস্য ও জেলা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দীপু, সদস্য ও জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি চন্দন শীল অবস্থান নিয়েছেন শামীম ওসমানের পক্ষে। অন্যদিকে সেলিনা হায়াত আইভীর পক্ষে জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. শহীদুল্লাহ অবস্থান নিয়েছেন। কিন্তু তিনি সিটি করপোরেশন এলাকার ভোটার নন। নারায়ণগঞ্জ শহরে তাঁর তেমন প্রভাব নেই বলে দাবি করেছে শামীম ওসমানের সমর্থকরা।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনভুক্ত তিনটি থানা_বন্দর, সিদ্ধিরগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের ছয়জনই শামীম ওসমানকে সমর্থন দিয়েছেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের আলহাজ মজিবুর রহমান ও হাজি ইয়াসিন মিয়া, বন্দর থানার আবদুর রশিদ ও খুরশিদ আলম সাগর, সদর থানার শাহাবুদ্দিন আহমেদ ও আল মামুন এবং তাঁদের অধস্তনরা শামীম ওসমানের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন।
শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আইভীর পক্ষে থাকলেও সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহাসহ অন্যরা শামীম ওসমানের পক্ষে। সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মনা সরদার (আইভীর মামা) ছাড়া অন্য ৫৩ জন ওয়ার্ড সভাপতি-সাধারণ সম্পদকই শামীম ওসমানের পক্ষে।
জানা গেছে, ২০০৪ সালে শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করার পর সেলিনা হায়াত আইভী নিজেও দলীয় কোনো পদে নেই। অপরদিকে শামীম ওসমান বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির প্রভাবশালী সদস্য। আবার আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনগুলোর বেশির ভাগ নেতাই শামীমের সমর্থক। অন্যদিকে জেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল কাদির (্আইভীর ভগি্নপতি), জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক নিজামউদ্দিন (আইভীর খালু), শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ রেজা উজ্জ্বল (আইভীর ছোট ভাই), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জি এম আরাফাত কাজ করছেন আইভীর পক্ষে। এ ছাড়া শহর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (আইভীর মামা) ও জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মেয়াজ্জেম হোসেন মন্টি (আইভীর মামাতো ভাই) বিএনপিদলীয় মেয়র পদপ্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারকে পাশ কাটিয়ে আইভীর পক্ষে কাজ করছেন। আইভীর পক্ষে আরো রয়েছেন তেল-গ্যাস-বন্দর ও বিদ্যুৎ রক্ষা কমিটির সভাপতি রফিউর রাব্বী। তিনি বামপন্থী হিসেবে পরিচিত। তাঁর কারণে বাম ঘরানার কিছু নেতা-কর্মী আইভীর পক্ষে কাজ করছেন।
অন্যদিকে পেশাজীবীদের সংগঠন জেলা বার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, নয়টি জাতীয়ভিত্তিক ব্যবসায়ী সংগঠন, স্থানীয় ৩৬টি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা শামীম ওসমানকে সমর্থন দিয়েছেন।

মাইলের পর মাইল হাঁটছেন প্রার্থীরা
তাই মাইলের পর মাইল হেঁটে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থর্না করছেন প্রভাবশালী তিন মেয়র পদপ্রার্থী। তাঁদের চোখে ঘুম নেই। মাঝেমধ্যে ক্লান্তির ছাপ চোখে পড়লেও ভোটারদের সামনে হেসেই কথা বলছেন তাঁরা। গতকাল দিনভর প্রার্থীরা চালিয়েছেন গনসংযোগ। প্রার্র্থী, তাঁদের সহধর্মিণী ও সমর্থকরা কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে চালান গণসংযোগ। এ ছাড়া প্রার্থীদের পক্ষে নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ করেন লিফলেট। শহরের পাড়া-মহল্ল্লায় চলে মাইকিং।
আওয়ামী লীগ নেতা ও মেয়র পদপ্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমান সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় গেলে ভোটাররা তাঁকে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে অভিনন্দন জানান। বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা জড়িয়ে ধরে শামীম ওসমানের প্রতি তাঁদের ভালোবাসা প্রকাশ করেন। বয়োজ্যেষ্ঠদের পা ছুঁয়ে এবং ছোটদের মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া নেন শামীম ওসমান।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগের অপর প্রার্থী ডা. আইভীও ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন। ওই সময় একই দৃশ্যের অবতারণা হয়। বিএনপি নেতা ও মেয়র পদপ্রার্থী তৈমূর খন্দকার ভোটারদের ভালোবাসায় সিক্ত হন। শামীম ও আইভীর মতো তৈমূর বিভিন্ন এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠদের পা ছুঁয়ে ছোটদের মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া প্রার্থনা করেন।
শামীম ওসমান গতকাল বন্দরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় স্থানীয় থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ চালান। তাঁর সহধর্মিণী সালমা ওসমান লিপি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিদ্ধিরগঞ্জ ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার তিনটি স্থানে তিনটি এবং বিকেলে বন্দরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে চারটি উঠান-বৈঠক করেন। এ ছাড়া ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। ওই সময় তাঁর সঙ্গে স্থানীয় ওয়ার্ড মহিলা লীগের নেতা-কর্মীরা ছিলেন। এ ছাড়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুর রশীদ ভুঁইয়া ও আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ উর রউফের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক আইনজীবী শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক ও ডিআইটি এলাকায় শামীম ওসমানের পক্ষে গণসংযোগ করেন।
ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগের কয়েকটি দল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনভুক্ত ২৭টি ওয়ার্ডে শামীম ওসমানের পক্ষে গণসংযোগ চালায়।
ডা. আইভী গতকাল সকালে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ এবং বিকেলে সোনাকান্দায় উঠান-বৈঠক করেন। এ ছাড়া তাঁর পক্ষে যুবলীগের আবদুল কাদির সিদ্ধিরগঞ্জের ৪, ৫, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এবং শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্র্ডে গণসংযোগ চালান।
তৈমূর আলম খন্দকার সকাল থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীগঞ্জ, রসুলবাগ, লক্ষ্মীনারায়ণ, কো-অপারেটিভ, চিত্তরঞ্জন, আরামবাগ, মীরাপাড়া ও গোদনাইল এলাকায় গণসংযোগ চালান। তিনি আরামবাগে উঠান-বৈঠক এবং লক্ষ্মীনারায়ণ এলাকায় পথসভা করেন। ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় মহিলা দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে উঠান-বৈঠক ও লিফলেট বিতরণ করেন তৈমূরের সহধর্মিণী। এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি লাল খার বাড়িতে দুপুরে ভূরিভাজের আয়োজন করার অভিযোগ পেয়ে সেখানে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র‌্যাব ও পুলিশ অভিযান চালায়। এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ফরহাদ হোসেন জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লাল খার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। সেখানে রান্না করার পাতিল দেখা গেছে। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মায়ার ঘোষণা_শামীমই শেখ হাসিনার পছন্দের প্রার্থী
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে শামীম ওসমানই আওয়ামী লীগের এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পছন্দের প্রার্থী বলে এবার ঘোষণা দিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। শামীম ওসমানের পক্ষে ভোট প্রার্থনার পর গতকাল সন্ধ্যায় শহরের চাষাঢ়ায় শামীম ওসমানের পৈতৃক নিবাস 'হীরা মহল'-এ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মায়া এ ঘোষণা দেন।
সাবেক মন্ত্রী মায়া বলেন, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের জন্য শামীম ওসমানকে দরকার। তিনি আরো বলেন, 'কেন্দ্রীয় তিন সাংগঠনিক সম্পাদক এসেছেন। এর পরে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাতজন শীর্ষ নেতা এসেছেন, আমিও এসেছি। সুতরাং বিষয়টি স্পষ্ট যে শামীম ওসমানই দলের সমর্থিত প্রার্থী। তিনি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পছন্দের প্রার্থী। এখানে বিভ্রান্তির আর কোনো অবকাশ নেই।'
আওয়ামী লীগের দায়িত্বরত শীর্ষ নেতারা নারায়ণগঞ্জে আসতে থাকবেন বলেও জানান মায়া।
মতবিনিময় সভায় শামীম ওসমান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান দিপু, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, বাবু চন্দন শীল, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.