আলোচনার রাস্তাও খোলা রয়েছে : হাক্কানির বিরুদ্ধে ড্রোন হামলা বাড়াবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

হাক্কানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আরও আগ্রাসী লড়াইয়ে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে বর্তমানে সক্রিয় গোষ্ঠীগুলির অন্যতম হাক্কানি। ওই গোষ্ঠীকে পাকিস্তান আশ্রয় দেয় বলে অনেক আগেই অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার রাতে মার্কিন ড্রোন বিমানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছে হাক্কানি গোষ্ঠীর অন্যতম শীর্ষ এক নেতা। একটি মার্কিন সংবাদপত্র জানিয়েছে, উত্তর ওয়াজিরিস্তানের রাজধানী মিরানশাহ শহরের কাছে হাক্কানি গোষ্ঠীর সদর দফতরের ওপরে আরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।


এর আগে পাকিস্তানে সামরিক অভিযান চালিয়ে আল কায়দা শীর্ষনেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করেছিল মার্কিন বাহিনী। কিন্তু হাক্কানি গোষ্ঠীর নেতাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযান চালালে বিপাকে পড়বে পাক সরকার ও সেনাবাহিনী। তাই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর সিদ্ধান্তই অনুমোদন করেছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এরই মধ্যেই এই হামলার প্রথম পর্যায় শুরু হয়েছে। তবে হামলার পাশাপাশি হাক্কানিদের সঙ্গে আলোচনার রাস্তাও খোলা রেখেছেন মার্কিন নেতারা। হাক্কানিদের আশ্রয় দেয়া নিয়ে প্রকাশ্যে পাক-মার্কিন বিতর্ক থাকলেও এই আলোচনা প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে পাকিস্তানই। মার্কিন সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, পশ্চিম এশিয়ার একটি দেশে সম্প্রতি হাক্কানি গোষ্ঠীর নেতা ইব্রাহিম হাক্কানির সঙ্গে দেখা করেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এই বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান আহমেদ সুজা পাশা। আলোচনার সময়ে পাশাও উপস্থিত ছিলেন। ২০১৪ সালের শেষে আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো বাহিনীর বড় অংশকে সড়ানোর পরিকল্পনায় সায় দিয়েছে আমেরিকা। সেই সময়সীমার মধ্যে আফগানিস্তানে রাজনৈতিক স্থিতি আনতে উদ্যোগী হয়েছেন মার্কিন নেতারা। এই কাজে চীনসহ দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলিকে নিয়ে এগোতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তানের যুদ্ধ নিয়ে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে তুরস্ক ও জার্মানিতে বড় সম্মেলন হওয়ার কথা। ওই সম্মেলনগুলিতে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীগুলোর প্রতিনিধিদের যোগ দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

No comments

Powered by Blogger.