ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ পরিবর্তন না করার ঘোষণা চীনের
ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপথ পরিবর্তন করবে না চীন। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নদটির গতিপথ পরিবর্তন করে এমন কোনো প্রকল্পের চিন্তা তাদের নেই। গত বুধবার বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পানিসম্পদমন্ত্রী জিয়াও ইয়ং এ কথা বলেন। চীন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ এ নদে বাঁধ নির্মাণ করে পানি প্রত্যাহার বা ড্যাম নির্মাণ করতে পারে বেইজিং_সাম্প্রতিক এমন খবরে এ অঞ্চলে উদ্বেগ দেখা দেয় ।
ইয়ং বলেন, যদিও ব্রহ্মপুত্র নদের (তিব্বতি ভাষায় ইয়ারলুং সাংপো) সর্বোচ্চ ব্যবহারের ব্যাপারে চীনাদের দাবি রয়েছে। তবে ব্রহ্মপুত্র নদে কোনো ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা চীন সরকারের নেই।এর কারণ হিসেবে চীনের ওই মন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিগত জটিলতা, নদের গতিপথ পরিবর্তনের সত্যিকারের প্রয়োজনীয়তা এবং এর ফলে সম্ভাব্য পরিবেশের প্রভাব ও আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক বিবেচনায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বেইজিং এই প্রথম স্বীকার করল, যে প্রকল্পের কারণে নয়াদিলি্লর সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষুণ্ন হতে পারে, সে ধরনের কোনো প্রকল্প থেকে তাদের কোনো স্বার্থ হাসিল হবে না।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগদান শেষে গত ২৭ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সাংবাদিকদের বলেন, 'একাধিক বৈঠকে আমি নিজে চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে ব্রহ্মপুত্র নদের বিষয়টি তুলেছি। তাঁরা আমাকে নিশ্চিত করেছেন, ভারতের স্বার্থ বিনষ্ট করে এমন কোনো পদক্ষেপ তাঁরা নেবেন না।'
চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শুষ্ক প্রদেশগুলোর জন্য এমনকি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ঝিনজিয়াংয়ের জন্য পানি প্রত্যাহার করতে বেইজিং প্রকল্প হাতে নিচ্ছে_এ খবরে ভারত খুবই নাখোশ ছিল। এ প্রকল্পের ব্যাপারে প্রথম আলোকপাত করা হয় 'তিব্বতস ওয়াটার উইল সেভ চায়না' নামের একটি বইয়ে। পিপলস লিবারেশন আর্মির দুই সাবেক কমান্ডার বইটি লিখেছেন। তবে পানি বিশেষজ্ঞরা বলে আসছিলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি প্রত্যাহারের ব্যাপারটি বাস্তবায়ন করা প্রযুক্তিগতভাবে প্রায় অসম্ভব। এ ছাড়া থ্রি জর্জেস বাঁধে দুর্ঘটনার ফলে প্রস্তাবিত প্রকল্পের ব্যাপারে চীনের আগ্রহও অনেক কমে যায়।
পানি প্রত্যাহারের ব্যাপারে চীন কাজ শুরু করেছে_এমন খবরের পরিপ্রেক্ষিতে চীন দাবি করে, তারা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ করছে। এতে ভারত আতঙ্কিত বোধ করলেও জোরালো প্রতিবাদ জানাতে পারেনি। কেননা তারা নিজেরাই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত সিন্ধু নদে এ ধরনের বাঁধ নির্মাণ করছে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
বেইজিং এই প্রথম স্বীকার করল, যে প্রকল্পের কারণে নয়াদিলি্লর সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষুণ্ন হতে পারে, সে ধরনের কোনো প্রকল্প থেকে তাদের কোনো স্বার্থ হাসিল হবে না।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগদান শেষে গত ২৭ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সাংবাদিকদের বলেন, 'একাধিক বৈঠকে আমি নিজে চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে ব্রহ্মপুত্র নদের বিষয়টি তুলেছি। তাঁরা আমাকে নিশ্চিত করেছেন, ভারতের স্বার্থ বিনষ্ট করে এমন কোনো পদক্ষেপ তাঁরা নেবেন না।'
চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শুষ্ক প্রদেশগুলোর জন্য এমনকি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ঝিনজিয়াংয়ের জন্য পানি প্রত্যাহার করতে বেইজিং প্রকল্প হাতে নিচ্ছে_এ খবরে ভারত খুবই নাখোশ ছিল। এ প্রকল্পের ব্যাপারে প্রথম আলোকপাত করা হয় 'তিব্বতস ওয়াটার উইল সেভ চায়না' নামের একটি বইয়ে। পিপলস লিবারেশন আর্মির দুই সাবেক কমান্ডার বইটি লিখেছেন। তবে পানি বিশেষজ্ঞরা বলে আসছিলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি প্রত্যাহারের ব্যাপারটি বাস্তবায়ন করা প্রযুক্তিগতভাবে প্রায় অসম্ভব। এ ছাড়া থ্রি জর্জেস বাঁধে দুর্ঘটনার ফলে প্রস্তাবিত প্রকল্পের ব্যাপারে চীনের আগ্রহও অনেক কমে যায়।
পানি প্রত্যাহারের ব্যাপারে চীন কাজ শুরু করেছে_এমন খবরের পরিপ্রেক্ষিতে চীন দাবি করে, তারা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ করছে। এতে ভারত আতঙ্কিত বোধ করলেও জোরালো প্রতিবাদ জানাতে পারেনি। কেননা তারা নিজেরাই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত সিন্ধু নদে এ ধরনের বাঁধ নির্মাণ করছে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments