অর্থায়ন স্থগিত নয়, চুক্তি কার্যকরের মেয়াদ বেড়েছে
পদ্মা সেতুর অর্থায়ন স্থগিত করেনি ঋণদাতা সংস্থাগুলো। সরকারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তারা আগামী বছরের ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ঋণচুক্তি কার্যকর করার সময় বাড়িয়েছে। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বিশ্বব্যাংকের কথিত দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তারা গতকাল রবিবার এমন তথ্য জানিয়েছেন।এদিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল বলেছেন, পদ্মা সেতুর বিষয়টি মীমাংসার পথে। চলতি সপ্তাহেই এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে।
দুর্নীতির অভিযোগ এনে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়নে বিশ্বব্যাংকের অস্পষ্টতার প্রেক্ষাপটে অন্য দুটি সংস্থার অর্থায়নও বিলম্বিত হতে পারে বলে কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব আরস্তু খান বলেন, ঋণচুক্তি স্বাক্ষরের ৯০ দিনের মধ্যে তা কার্যকর হওয়ার কথা। কোনো কারণে তা সম্ভব না হলে তিন মাস বা ছয় মাসের জন্য সময় বাড়ানো হয়। পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এর অর্থ এমন নয় যে ঋণচুক্তি স্থগিত বা বাতিল হয়ে গেছে।
ইআরডির অন্য কর্মকর্তারা জানান, পদ্মা সেতুর প্রস্তুতি কাজ শেষ না হওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকেই সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছিল। এতে সাড়া দিয়ে গত মাসে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) আলাদাভাবে সময় বাড়ানোর কথা জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ঋণচুক্তি স্বাক্ষর বা কার্যকর করার ক্ষেত্রে কোনো সহ-অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান সমস্যার মুখোমুখি হলে তা সমাধান হওয়া পর্যন্ত বাকিরাও অপেক্ষা করবে_একথা
চুক্তিতেই বলা আছে। পদ্মা সেতুর জন্য ঋণচুক্তি স্বাক্ষরে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি চলতি বছরের শুরু থেকেই তৈরি ছিল। কিন্তু জাপানে ভয়াবহ সুনামির কারণে জাইকা কিছুটা সমস্যায় পড়লে ওই দুটি প্রতিষ্ঠানও অপেক্ষা করে।
কর্মকর্তারা জানান, পদ্মা সেতু নির্মাণে ১২০ কোটি টাকা ঋণদানের ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি হয় গত ২৮ এপ্রিল। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তি হয় এ বছরের ৬ জুন ও জাইকার সঙ্গে চুক্তি হয় গত ১৮ মে। চুক্তি স্বাক্ষরের তিন মাসের মধ্যে তা কার্যকর করার বিধান রয়েছে। কিন্তু পদ্মা সেতু নির্মাণে জন্য ওই তিন মাসের মধ্যে সরকার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে পারেনি।
কর্মকর্তারা বলেন, সাধারণত কাজ হওয়ার পর সরকারের চাহিদার ভিত্তিতে ঋণের টাকা ছাড় করা হয়। পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে যেহেতু মূল কাজ এখনো শুরুই হয়নি, তাই ঋণের টাকা ছাড়ের প্রসঙ্গই আসে না।
গতকাল সচিবালয়ে যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের সঙ্গে বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, 'পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে আমরা প্রায় একটা সিদ্ধান্তে পেঁৗছাতে পেরেছি। বিষয়টি মীমাংসার পথে। সাময়িকভাবে একটু জটিলতা দেখা দিলেও আমি এ ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী। তবে এ সম্পর্কে এখনই কিছু বলব না। সবকিছু লিখিতভাবে এ সপ্তাহেই জানানো হবে।' তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি-বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টকে এ সপ্তাহেই চিঠি দেবেন। ওই চিঠি পাঠানোর দিনই বিস্তারিত তথ্য লিখিতভাবে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হবে।
পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট খরচ ধরা হয়েছে ২৯০ কোটি ডলার। এর মধ্যে ১২০ কোটি ডলার অর্থায়ন করার কথা বিশ্বব্যাংকের। এ ছাড়া এডিবি ৬১ কোটি, জাইকা ৪০ কোটি ও ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ১৪ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
ইআরডির অন্য কর্মকর্তারা জানান, পদ্মা সেতুর প্রস্তুতি কাজ শেষ না হওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকেই সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছিল। এতে সাড়া দিয়ে গত মাসে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) আলাদাভাবে সময় বাড়ানোর কথা জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ঋণচুক্তি স্বাক্ষর বা কার্যকর করার ক্ষেত্রে কোনো সহ-অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান সমস্যার মুখোমুখি হলে তা সমাধান হওয়া পর্যন্ত বাকিরাও অপেক্ষা করবে_একথা
চুক্তিতেই বলা আছে। পদ্মা সেতুর জন্য ঋণচুক্তি স্বাক্ষরে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি চলতি বছরের শুরু থেকেই তৈরি ছিল। কিন্তু জাপানে ভয়াবহ সুনামির কারণে জাইকা কিছুটা সমস্যায় পড়লে ওই দুটি প্রতিষ্ঠানও অপেক্ষা করে।
কর্মকর্তারা জানান, পদ্মা সেতু নির্মাণে ১২০ কোটি টাকা ঋণদানের ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি হয় গত ২৮ এপ্রিল। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তি হয় এ বছরের ৬ জুন ও জাইকার সঙ্গে চুক্তি হয় গত ১৮ মে। চুক্তি স্বাক্ষরের তিন মাসের মধ্যে তা কার্যকর করার বিধান রয়েছে। কিন্তু পদ্মা সেতু নির্মাণে জন্য ওই তিন মাসের মধ্যে সরকার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে পারেনি।
কর্মকর্তারা বলেন, সাধারণত কাজ হওয়ার পর সরকারের চাহিদার ভিত্তিতে ঋণের টাকা ছাড় করা হয়। পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে যেহেতু মূল কাজ এখনো শুরুই হয়নি, তাই ঋণের টাকা ছাড়ের প্রসঙ্গই আসে না।
গতকাল সচিবালয়ে যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের সঙ্গে বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, 'পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে আমরা প্রায় একটা সিদ্ধান্তে পেঁৗছাতে পেরেছি। বিষয়টি মীমাংসার পথে। সাময়িকভাবে একটু জটিলতা দেখা দিলেও আমি এ ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী। তবে এ সম্পর্কে এখনই কিছু বলব না। সবকিছু লিখিতভাবে এ সপ্তাহেই জানানো হবে।' তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি-বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টকে এ সপ্তাহেই চিঠি দেবেন। ওই চিঠি পাঠানোর দিনই বিস্তারিত তথ্য লিখিতভাবে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হবে।
পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট খরচ ধরা হয়েছে ২৯০ কোটি ডলার। এর মধ্যে ১২০ কোটি ডলার অর্থায়ন করার কথা বিশ্বব্যাংকের। এ ছাড়া এডিবি ৬১ কোটি, জাইকা ৪০ কোটি ও ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ১৪ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
No comments