রাজশাহীর চাঞ্চল্যকর পুলিশ হত্যা মামলায় ২৪ জনের যাবজ্জীবন by আনু মোস্তফা,

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে চাঞ্চল্যকর পুলিশ হত্যা, অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট মামলার রায় হয়েছে। রায়ে ২৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাস কারাদণ্ডের আদেশ হয়েছে।গতকাল রবিবার রাজশাহী বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. একরামুল হক চৌধুরী জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩৯৬ ও ৩৪ ধারায় সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের এ দণ্ড দেন বিচারক।


দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো_রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার বাজেগোয়ালকান্দি গ্রামের এলাহী ওরফে মিঠু, মামুন ওরফে বুলেট জামান, চান্দু ওরফে মতিন বাদশা, রামরামা গ্রামের আবদুর রশিদের পুত্র রতন ওরফে টিটু ওরফে তিতাস ওরফে সবুজ ওরফে বিকাশ, সোনারপাড়ার তোতা ওরফে কালা বাবু, সাজুড়িয়ার নজরুল ইসলাম নজু, বাচ্চু ইসলাম ওরফে রাজু, জবান মিয়া ও ওসমান আলি মণ্ডল, মথুরপুরের ইয়াসিন আলি, চন্দ্রপুরের বাবুল হোসেন, নাটোর জেলার সুলতানপুরের বোরহান আলী ও বাদশা মিয়া, জালালাবাদের আবদুল মতিন, লক্ষ্মীপুরের শাহজালাল, বাগমারা পলাশী গ্রামের রফিকুল ইসলাম, নলডাঙ্গার মাসুদ মণ্ডল, আবু বকর ও জালাল উদ্দিন, নওগাঁর রানীনগরের শফিকুল ইসলাম শফিক, তানোরের গোপাল দেব শর্মা, দুর্গাপুরের কয়ামাজমপুর গ্রামের ফিরোজ উদ্দিন ও গোলজার উদ্দিন এবং শ্যামনগর গ্রামের সাইফুল মেম্বার ও জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে জালাল উদ্দিন। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রতন ওরফে তিতাস ওরফে বিকাশ গত বছর 'ক্রসফায়ারে' মারা গেছে। তবে আদালতের কাছে এ-সংক্রান্ত তথ্য না থাকায় তাকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া এ মামলার চার্জশিটভুক্ত মোট ২৯ আসামির মধ্যে পাঁচজন আসামি আগেই র‌্যাব ও পুলিশের 'ক্রসফায়ারে' মারা যায়। তারা হলো জালাল উদ্দিন ওরফে এরফান ওরফে রণজিৎ, জাহাঙ্গীর ওরফে জালাল, ফিরোজ ওরফে সবুজ, আনিস ওরফে বিশু ও অমিত ওরফে এন্তাজ। এদিকে আদালত দণ্ডপ্রাপ্ত এলাহী ওরফে মিঠু, মামুন ওরফে বুলেট ওরফে জামান, রতন ওরফে টিটু ওরফে তিতাস ওরফে বিকাশ ও শফিকুল ইসলাম শফিককে পলাতক দেখিয়েছেন।
এদিকে হয়রানিমূলকভাবে মামলায় জড়ানোর অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ফিরোজ উদ্দিন, জালাল উদ্দিন, সাইদুল মেম্বার, আবু বকর ও মাসুদ মণ্ডলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন শাখা-১ থেকে সংশ্লিষ্ট আদালতকে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে তাদের অব্যাহতি দিতে অনুরোধ জানানো হয়। তবে তাদের মধ্যে আসামি ফিরোজ উদ্দিন পুলিশ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ায় ও জবানবন্দিতে বাকিদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করায় আদালত সরকারের এই আদেশ নাকচ করে দেন।
 

No comments

Powered by Blogger.