সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুদকের ৯ মামলা

ট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জে গতকাল রবিবার কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে ৯টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় ছয়টি এবং চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় তিনটি মামলা করা হয়। মামলাগুলোতে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, এক সাবেক কাস্টম কর্মকর্তা এবং তাঁর দুই স্ত্রীসহ মোট ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। দুদকের চট্টগ্রাম-১ ও ২ অঞ্চলের দুই কর্মকর্তা দুর্নীতির অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো করেন।


দুদক চট্টগ্রাম-১-এর উপপরিচালক মনজুর আহমদ বলেন, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলাম, একজন কর্মচারী ও ৯ নৌযান মালিকের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় এসব মামলা করা হয়। এতে মিথ্যা জরিপ প্রতিবেদন, ভুয়া কাগজপত্র দাখিল, অনুমোদনহীন নকশা ও জাল প্রত্যয়নপত্রের মাধ্যমে নৌযান নিবন্ধন, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সরকারি রাজস্ব ফাঁকির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর মামলা করা হয়েছে।
অভিযোগে আরো বলা হয়, বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা ফখরুল ইসলাম জাহাজ জরিপকারক এবং অভ্যন্তরীণ নৌযান রেজিস্ট্রার পদে থাকাকালে দুর্নীতি করেন। দুর্নীতির বিষয়ে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর বিভাগীয় তদন্ত করেছে। সেখানেও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া কাস্টম এঙ্াইজ ও ভ্যাটের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক শেখ আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পদ থাকার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। দুদক চট্টগ্রাম-২-এর উপপরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন গতকাল এ মামলা করেন। আকরাম হোসেনের দুই স্ত্রীর বিরুদ্ধেও দুটি মামলা করা হয়েছে। নগরীর ডবলমুরিং থানায় গতকাল এসব মামলা করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে আসামি আকরাম হোসেন এবং তাঁর দুই স্ত্রী জাহানারা বেগম ও নিলুফার ইয়াছমিনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অর্থ থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আকরাম হোসেন এক কোটি ৯৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪৩৭ টাকা, জাহানারা বেগম ৪৪ লাখ ২৯ হাজার ৪৯০ টাকা এবং নিলুফার ইয়াছমিন ২৬ লাখ ৪৩ হাজার ১৪২ টাকার হিসাব গোপন করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.