আবাসিক এলাকা থেকে কেমিক্যাল কারখানা উচ্ছেদে বিক্ষোভ : কেরানীগঞ্জে বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাস ছড়িয়ে অর্ধশত মানুষ আক্রান্ত
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ আবাসিক এলাকার পাশে গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায় গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল কারখানার ক্লোরিন গ্যাস পাইপের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে কারখানার আশপাশে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। এতে কারখানার শ্রমিক, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও আশপাশের লোকজনসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ গ্যাসের কারণে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল কারখানায় সকাল সাড়ে ৮টায় ক্লোরিন গ্যাসভর্তি সিলিন্ডার হোসপাইপের সাহায্যে দেয়ার সময় সংযোগ সঠিকভাবে না হওয়ায় গ্যাস বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আশপাশের প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে।
এতে ঘটনাস্থলে কারখানার কর্মী সাধন সাহা, ভরতকুণ্ড, মাসুম, স্বপন, আল-আমিনসহ প্রায় ৩৫ জন শ্রমিক এবং ফায়ার সার্ভিসের ১১ জন ও আশপাশের ১০ জন গ্যাসে আক্রান্ত হয়। আক্রান্তদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মিটফোর্ড হাসপাতালসহ স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় আশপাশের বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সকাল সাড়ে ১০টায় গ্যাস নির্গমন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এলাকাবাসী আবাসিক এলাকা থেকে কেমিক্যাল কারখানা উচ্ছেদের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করলেও প্রশাসনের টনক নড়েনি। এ দুর্ঘটনার পরপর বেলা ১১টায় আবাসিক এলাকা থেকে কারখানা উচ্ছেদের দাবিতে আশপাশের বাসিন্দারা দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় র্যাব-পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন কারখানা বন্ধের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা ফিরে যান।
এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নেয়ায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে কারখানা ও এলাকাবাসীকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। অন্যথায় এই গ্যাস ছড়িয়ে পড়লে বহুলোক হতাহত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এ ঘটনায় কারখানার কোনো কর্মকর্তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী আবাসিক এলাকা থেকে কেমিক্যাল কারখানা উচ্ছেদের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করলেও প্রশাসনের টনক নড়েনি। এ দুর্ঘটনার পরপর বেলা ১১টায় আবাসিক এলাকা থেকে কারখানা উচ্ছেদের দাবিতে আশপাশের বাসিন্দারা দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় র্যাব-পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন কারখানা বন্ধের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা ফিরে যান।
এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নেয়ায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে কারখানা ও এলাকাবাসীকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। অন্যথায় এই গ্যাস ছড়িয়ে পড়লে বহুলোক হতাহত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এ ঘটনায় কারখানার কোনো কর্মকর্তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
No comments