কমছে না ব্যাংক ঋণে সুদ হার
ব্যবসায়ীদের অব্যাহত দাবি সত্ত্বেও ব্যাংক ঋণের সুদ হার কমছে না। চলতি অক্টোবর মাসেও একাধিক ব্যাংক ঋণের সুদ হার বাড়িয়েছে। গত মার্চ মাসে সুদ হারের সর্বোচ্চ সীমা প্রত্যাহারের পর থেকে চলছে এ অবস্থা। ব্যাংকগুলোর চলতি মাসের ঘোষিত সুদ হারের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কোনো ব্যাংক ঋণে সুদ হার কমায়নি। বরং এ মাসেও দুটি ব্যাংক সুদ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এভাবে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। বেড়ে যাচ্ছে পণ্যমূল্য, যার প্রভাবে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্যাংকগুলোর ঘোষিত সুদ হারের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বেসরকারি মালিকানাধীন এবি ব্যাংক চলতি মাসে সাড়ে ১৫ থেকে সাড়ে ১৬ শতাংশ সুদে চলতি মূলধন ঋণ বিতরণের ঘোষণা দিয়েছে। গত মাসে ব্যাংকটি এ খাতে সর্বোচ্চ সাড়ে ১৪ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ করেছিল।
একইভাবে সাউথইস্ট ব্যাংক এ খাতে গত মাসে সর্বোচ্চ সাড়ে ১৪ শতাংশ সুদে ঋণ দিয়েছে। চলতি মাসে তা বাড়িয়ে সাড়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মূলধনে ব্যাংকগুলো ১৪ থেকে ১৮ শতাংশ হারে সুদ নিচ্ছে।
গত ২ মার্চ ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করে ব্যাংক ঋণে সুদ হারের সর্বোচ্চ সীমা প্রত্যাহারের দাবি জানান। গত ৯ মার্চ কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণের সুদ হারের সর্বোচ্চ সীমা প্রত্যাহার সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে। এর পর থেকে ঋণের সুদ হার বাড়তে শুরু করে। উচ্চ সুদে ঋণের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে_ ব্যবসায়ীদের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত জুলাই মাসে আমানতে ১২ শতাংশের বেশি সুদ না নেওয়ার ঘোষণা দেন ব্যাংক মালিকরা। ঋণে সুদ হার কমাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই ঘোষণা অনুযায়ী আমানতে ১২ শতাংশের বেশি সুদ না দিলেও ঋণ নিতে আগের মতোই উচ্চ সুদ গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক তার মুদ্রানীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বেসরকারি খাতে ব্যাংকগুলোকে ঋণ কমানোর নির্দেশনা দিয়ে আসছে। মুদ্রা সরবরাহ কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কৌশল হিসেবে ব্যাংক ঋণে সুদ হার বাড়াতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো ও রিভার্স রেপোর সুদ হার বাড়িয়েছে।
একইভাবে সাউথইস্ট ব্যাংক এ খাতে গত মাসে সর্বোচ্চ সাড়ে ১৪ শতাংশ সুদে ঋণ দিয়েছে। চলতি মাসে তা বাড়িয়ে সাড়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মূলধনে ব্যাংকগুলো ১৪ থেকে ১৮ শতাংশ হারে সুদ নিচ্ছে।
গত ২ মার্চ ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করে ব্যাংক ঋণে সুদ হারের সর্বোচ্চ সীমা প্রত্যাহারের দাবি জানান। গত ৯ মার্চ কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণের সুদ হারের সর্বোচ্চ সীমা প্রত্যাহার সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে। এর পর থেকে ঋণের সুদ হার বাড়তে শুরু করে। উচ্চ সুদে ঋণের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে_ ব্যবসায়ীদের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত জুলাই মাসে আমানতে ১২ শতাংশের বেশি সুদ না নেওয়ার ঘোষণা দেন ব্যাংক মালিকরা। ঋণে সুদ হার কমাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই ঘোষণা অনুযায়ী আমানতে ১২ শতাংশের বেশি সুদ না দিলেও ঋণ নিতে আগের মতোই উচ্চ সুদ গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক তার মুদ্রানীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বেসরকারি খাতে ব্যাংকগুলোকে ঋণ কমানোর নির্দেশনা দিয়ে আসছে। মুদ্রা সরবরাহ কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কৌশল হিসেবে ব্যাংক ঋণে সুদ হার বাড়াতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো ও রিভার্স রেপোর সুদ হার বাড়িয়েছে।
No comments