বিটিআরসির এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন স্থায়ী কমিটির

বেসরকারি মোবাইল ফোন কম্পানি গ্রামীণফোনসংশ্লিষ্ট জটিলতা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নষ্ট করছে বলে মনে করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির সদস্যরা এ ধরনের ঘটনা এড়াতে মোবাইল ফোন কম্পানির হিসাব যাচাইবাছাইয়ের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরির প্রতিও গুরুত্বারোপ করেছেন।
জাতীয় সংসদ ভবনে গতকাল রবিবার অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মোবাইল ফোন কম্পানিগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসাব যাচাই এবং গ্রামীণফোনকে জরিমানা করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান বৈঠকে বলেন, তাঁরা আইনের মধ্যে থেকেই সব কিছু করেছেন।সূত্রমতে, বৈঠকে কমিটির সদস্যরা জানতে চান, প্রতি কলের ওপর সাড়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট দেওয়ার যে বিধান রয়েছে এর বাইরে বিটিআরসি আর কোনো পাওনা দাবি করতে পারে কি না? বিটিআরসির চেয়ারম্যান সে সময় কমিটিকে জানান, আইন অনুযায়ী তাঁরা অগ্রসর হয়েছেন। বৈঠকে ভবিষ্যতে যাতে কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয় এবং আর্থিক শৃঙ্খলা যাতে ঠিক থাকে সে জন্য সতর্কতার সঙ্গে প্রতিবছর মোবাইল অপারেটরদের হিসাব যাচাইবাছাই করার সুপারিশ করা হয়। কমিটির আগামী বৈঠকে মোবাইল অপারেটরদের হিসাব যাচাইবাছাইয়ের নিয়ম-কানুন অবহিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, নজরুল ইসলাম বাবু, খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী ও মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগসচিব সুনীল কান্তি বোস ও বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন আহম্মেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি সূত্রে জানা যায়, বিটিআরসির কাছ থেকে সনদ নিয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব যাচাই করার এখতিয়ার টেলিকম আইন অনুযায়ী আছে কি না তা জানতে চায় কমিটি। কমিটির একাধিক সদস্য সে সময় বিটিআরসির আওতাধীন সব প্রতিষ্ঠানের হিসাব যাচাই করতে একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি থাকার ওপর জোর দেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু সাংবাদিকদের বলেন, বিটিআরসির আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর হিসাব যাচাইয়ের ব্যাপারে একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি থাকা দরকার। তিনি আরো বলেন, গ্রামীণফোনের সঙ্গে বিটিআরসির যে বিষয়ে দ্বন্দ্ব চলছে তা সুখকর নয়। একটি নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান কোন পদ্ধতিতে নজরদারি করবে তার ব্যাখ্যা থাকা দরকার। তিনি বলেন, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।