ছিঁচকে চোর থেকে দস্যুরানি by পারভেজ খান

রুশিয়া বেগম ওরফে মাফিয়া-পারিবারিক এই নামে আজ আর তাকে কেউই চেনে না। রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, নন্দীপাড়ার কোনো স্থায়ী বাসিন্দাকে যদি বলা হয় 'মাফি চুন্নী'র নাম, তবে সঙ্গে সঙ্গেই চিনে ফেলবে। রাজধানীর একসময়ের শীর্ষস্থানীয় চোর হিসেবে পরিচিত মাফি এখন পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও গডমাদার। ৪৩ বছর বয়সী এই মাফি সম্পর্কে সবুজবাগ থানার নথিপত্রে দেখা যায়, সে ঢাকার 'দস্যুরানি' হিসেবে চিহ্নিত। তার বিরুদ্ধে মামলা ২৫টির বেশি। এর মধ্যে হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র ও ধর্ষণ মামলাও রয়েছে।


তার কথায় মাদক কারবারে রাজি না হওয়ায় অনেক মেয়েকেই সে দলের সদস্যদের দিয়ে ধর্ষণ করিয়েছে। কোটি কোটি টাকার মালিক মাফির নিজের বাড়ি উত্তর বাসাবোতে। এ পর্যন্ত প্রায় ২৫ বার গ্রেপ্তার হলেও মাফির সঙ্গে র‌্যাব ও পুলিশের ভালো সম্পর্ক। অভিযোগ রয়েছে, সম্পর্কের অবনতি না হলে মাফিকে গ্রেপ্তার করা হয় না। আরো অভিযোগ আছে, সম্পর্ক ভালো রেখেই মাফি একটি বিশাল সিন্ডিকেট তৈরি করে পরিচালনা করছে রাজধানীর সবুজবাগ থানা এলাকায় অবস্থিত ঢাকার সবচেয়ে বড় 'মাদক বাণিজ্য কেন্দ্র' কাজী ওহাব কলোনি। পুলিশ অবশ্য মাফির সঙ্গে ভালো সম্পর্কের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সবুজবাগ থানা ভবন থেকে ৫০০ গজের মধ্যেই অবস্থিত কাজী ওহাব কলোনি। বলা যায়, পুলিশের নাকের ডগায়। ছিন্নমূল মানুষের জন্য ১৯৫৮ সালে ত্রাণ কর্মকর্তা আবদুল ওহাবের নামে গড়ে ওঠা এই কলোনিতে যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে অবাধে মাদক কারবার। সরকার বদল হয়, বদল হন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারাও। কিন্তু বদল হয় না এখানকার মাদকের কারবার আর ভয়ংকর পরিবেশ। বরং দিন দিন 'ডিজিটাল' পদ্ধতিতে এর ব্যাপকতা বেড়েই চলেছে। এখানে রয়েছে ২০ থেকে ৩০টি মাদক বেচাকেনার 'মিনি বার'। আর মোবাইলে ফোন করে বা মোবাইল ফোনের ক্ষুদেবার্তা বা এসএমএস পাঠিয়েও চলছে মাদক বেচাকেনা। মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণে এলাকায় গড়ে উঠেছে একাধিক সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট। এ কারণে প্রতিদিন বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে অহরহ। প্রকাশ্যে এসব ঘটলেও ভয়ে কেউ মুখ খোলে না। শান্তিপ্রিয় নিরীহ বাসিন্দারা নিশ্চুপ থাকে ভয়ে। আর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ ও র‌্যাব নিশ্চুপ থাকে ভালো সম্পর্কের কারণে। আর এসব কিছুই এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে 'গডমাদার দস্যুরানি মাফি'।
এলাকার অনেক প্রবীণ ব্যক্তি কালের কণ্ঠকে জানান, অবাধে মাদকদ্রব্য বেচাকেনার এই পরিবেশে তাঁরা শ্বাসরুদ্ধ অবস্থায় বসবাস করছেন। 'মাদকসম্রাজ্ঞী' আর 'মাদকসম্রাটদের' ভয়ংকর সব কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী সব সময়ই ভীতসন্ত্রস্ত। প্রতিবাদ করার সাহস নেই কারোই।
স্থানীয় বাসিন্দা হায়দার আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এই পরিবেশের কারণে এলাকার যুবক আর কিশোর সমাজ নষ্ট হয়েছে। নষ্ট হতে চলেছে জাতির ভবিষ্যৎ হিসেবে পরিচিত শিশুরাও। অনেক শিশুই জড়িয়ে পড়ছে মাদকের নেশায়। ব্যবহৃত হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীদের নানা কাজে। আমরা সন্তানদের মানুষ করার নিশ্চয়তা চাইব কার কাছে?'
স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান বাবু বলেন, "অনেক আশায় মাদক প্রতিরোধ কমিটি করলাম। কিন্তু দেখা গেল, প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ীরাই যোগ দিল এই কমিটিতে। ফলে যা ঘটবার, তাই ঘটল। এরা প্রতিরোধ কমিটির সাইনবোর্ডে আরো বেশি শক্তিশালী হলো। পুলিশও যোগ দিল তাদের সঙ্গে। ফলে পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় 'মাদক বাজার' পরিণত হলো 'মাদকরাজ্যে'।"
মাদক প্রতিরোধ কমিটির ব্যাপারে একাধিক সূত্র জানায়, এই কমিটিতে সদস্য করা হয় বিদেশি মোস্তফা, মান্নান, ফিরোজ, ফারুক, লাবু, টুকু ও সিরাজকে। এদের মধ্যে মান্নান ছাড়া বাকি সবাই বিতর্কিত। কাজী ওহাব কলোনির সামনে বিলাসবহুল এক বিশাল বাড়ি বানিয়েছে মাফির সিন্ডিকেটের আরেক প্রভাবশালী আবদুল খালেক ওরফে পুলিশ খালেক। এলাকায় অনেকে তাকে গডফাদার হিসেবেও চেনে। ফিরোজ শীর্ষস্থানীয় মাদক কারবারি মনুর ভাই। লাবু, টুকু, ফারুক, সিরাজও তার নিকট আত্মীয়। মাদক প্রতিরোধ কমিটির সদস্য হলেও স্বাভাবিকভাবেই তারা অবস্থান নেয় মাদক কারবারিদের পক্ষে।
এলাকাবাসী জানায়, দস্যুরানি মাফির ছত্রচ্ছায়ায় প্রায় ১২ হাজার বাসিন্দার এই কলোনিতে মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ করে মূলত চার প্রভাবশালী মহিলা। এরা হলো শোভা রানী, রীতা রানী, চম্পা রানী আর তানিয়া রানী। কলোনির 'মাদকসম্রাজ্ঞী' হওয়ার কারণে তাদের নামের সঙ্গে এই রানি শব্দটি বিশেষণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কলোনির ১২১ নম্বর ভবনের নিচতলায় থাকে শোভা রানী। তার এখানে বিক্রি হয় ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা ও দেশীয় মদ। তার ঘরে প্রতিদিন ৫০০ ইয়াবা ও ২০০ বোতল ফেনসিডিল বিক্রি হয়। গাঁজা বিক্রি হয় চার থেকে পাঁচ কেজি। ঘরের ভেতরেই মিনি বার বসিয়েছে শোভা রানী। এই বারে বাংলা মদের আসর চলে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। পরিচালনা করে শোভা নিজেই। কয়েক দিন আগে শোভা গ্রেপ্তার হওয়ায় বর্তমানে পরিচালনা করছে তার ছেলে শামিম।
পাশের ঘরে শোভার স্বামী আইয়ুব আলীর দেশীয় মদের মিনি বার। পাশের আরেক কক্ষে বিক্রি হয় শুধু ইয়াবা। এটি পরিচালনা করে শোভা রানীর মেয়ে তানিয়া রানী। তার বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। মাদক কারবারে জড়িতদের সবার পক্ষে র‌্যাব, পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে সে।
১২১ নম্বর বাড়ি পার হয়ে ডানদিকে এক বাড়ি পরেই ১২৩ নম্বর বাড়ি। নিচতলায় থাকে শোভা রানীর আরেক মেয়ে রীতা রানী। এটি তার শ্বশুর বাড়ি। রীতা ও তার স্বামী শাহিন এই বাড়িতে বসিয়েছে আরেকটি মিনি বার। এই বারের নাম 'ইয়াবা বার'। এ ছাড়া খুচরা ও পাইকারি হারেও এখানে ইয়াবা বিক্রি হয়। শামিম সবুজবাগ থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। এলাকায় সন্ত্রাসীদের নিয়ে সে একটি সশস্ত্র ছিনতাইকারী চক্রও গড়েছে। তার গ্রুপের সদস্যরা হলো কামলা রাসেল, সিলু, রানা, সালাম, মরু, রমজান ও বাবুল। এরা শামিম গ্রুপের 'সেভেন টাইগার' নামে পরিচিত। এদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারও হয়েছে বেশ কয়েকবার। আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। জানা গেছে, কামলা রাসেল ও সিলু এখন কারাগারে আটক। পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সবুজবাগ, কমলাপুর, ফকিরেরপুল, মতিঝিল এলাকায় ছিনতাই করে এই চক্রটি।
কলোনির আরেক 'সম্রাজ্ঞী' চম্পা রানীর রয়েছে একাধিক বার আর পাইকারি মাদক বিক্রির কেন্দ্র। তার আটজন নির্দিষ্ট ক্রেতা আছে। এরা হলো আলেয়া ও তার ছেলে আকাশ, জোসনা ও তার ছেলে নুরু, দাঁতভাঙা জসিম, ফতেহ, মোহন ও হাজেরা। এরা চম্পার কাছ থেকে ইয়াবা ও মাদকদ্রব্য হিসেবে ব্যবহার করা পেথিড্রিন, মরফিন জাতীয় ইনজেকশন কিনে সেগুলো ওহাব কলোনিসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে। সম্প্রতি চম্পা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আটক আছে। তার বিরুদ্ধে কমপক্ষে ২০টি মামলা। কারাগারে থেকেই সে ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে। জানা যায়, মাফির নিয়ন্ত্রণ থেকে সম্প্রতি চম্পা বেরিয়ে এসে আলাদা সিন্ডিকেট করেছে।
কলোনির কয়েকজন মাদক কারবারির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সবুজবাগ এলাকার পাইকারি মাদক বিক্রেতা হিসেবে পরিচিত নন্দীপাড়ার লাঙ্গল বাবুু, কলোনির ম্যাগনেট শহীদ, কুটি মিয়া, সুলতান, মনু ও আল ইসলাম এই পল্লীতে নানা ধরনের নেশাজাতদ্রব্য বাইরে থেকে সরবরাহ করে। এদের মধ্যে লাঙ্গল বাবু, ম্যাগনেট শহীদ ও কুটি মিয়া পুলিশ ও র‌্যাবের সোর্স হিসেবেও কাজ করে।
পাইকারি মাদক বিক্রেতা একটি চক্রের প্রধান সুলতান জানায়, সে ছয় মাস ধরে ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছে। কারণ, যে টাকা আয় হয় তার প্রায় পুরোটাই তুলে দিতে হয় পুলিশ, তাদের এলাকার গডফাদার ও র‌্যাবের সোর্স রায়হান আর মাফির হাতে। রায়হান প্রতি রাতেই কলোনিতে তানিয়ার ঘরে আসর বসায়। আসরে র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরাও সাদা পোশাকে যোগ দেন। এখানেই প্রতিদিনের ভাগবাটোয়ারা হয়। লেনদেন নিয়ে কারো সঙ্গে সামান্যতম বিরোধ দেখা দিলেই তাকে গ্রেপ্তার করানো হয় পুলিশ ও র‌্যাব দিয়ে। এসব কারণেই সে এই কারবার থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছে।
১৯৭৪ সালে কলোনিটি আরো বাড়ানো হয়। সম্প্রসারিত অংশের প্রতিষ্ঠাতা কাজী শামছুদ্দিন আহমেদ ওই বছরই খুন হন। তাঁর ছেলে মুক্তিযোদ্ধা কাজী গোলাম মোস্তফা কালের কণ্ঠকে জানান, তাঁরা অনেক চেষ্টা করেও এলাকার মাদক কারবার বন্ধ করতে পারছেন না। এর জন্য তিনি পুলিশকে দায়ী করেন। এ ছাড়া এই মাদক কারবারে এলাকার প্রভাবশালী খালেক ওরফে পুলিশ খালেক, বিদেশি মোস্তফা ওরফে লুচ্চা মোস্তফা ও আমির হোসেন নামে তিন ব্যক্তি মদদ দিচ্ছে বলে গোলাম মোস্তফা জানান।
এলাকার প্রবীণ এই বাসিন্দা বলেন, তিনি মাদক প্রতিরোধ কমিটির উপদেষ্টা, মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি এবং জনকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক। পুলিশ খালেক-আমির হোসেন গ্রুপের কারণে অনেকে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে এলাকাছাড়া হতে হয়। প্রতিবাদের কারণে এই গ্রুপের নির্যাতনের শিকার হয়ে কালু নামের একজন মারাই গেছেন। ইমান আলী নামে আরেকজন মাসের পর মাস মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ ছিলেন। এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন ডা. কাদের, মুক্তিযোদ্ধা হারুনসহ আরো কয়েকজন।
গোলাম মোস্তফা আরো জানান, এলাকায় পুলিশের একটি বিট অফিস করা হলেও সেখানে পুলিশ থাকে না। মাঝেমধ্যে পুলিশ এলেও তারা আড্ডা দেয় মাদক কারবারিদের সঙ্গে। গত শুক্রবার বিকেলে ওহাব কলোনির একটি ক্লাবঘরে বসে গোলাম মোস্তফার সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করেন স্থানীয় আরেক প্রবীণ ব্যক্তি এবং মাদক প্রতিরোধ কমিটির উপদেষ্টা দেলোয়ার হোসেন। তাঁর মতে, এই কমিটির কয়েকজন সদস্যও মাদক বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত। পুলিশ এখান থেকে নিয়মিত টাকা আদায় করে।
তবে আবদুল খালেক ওরফে পুলিশ খালেক এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি পুলিশের সিভিল বিভাগের চাকরি থেকে সম্প্রতি অবসরে গেছেন। মাদকের ছোবলে তিনি নিজেও অতিষ্ঠ। এলাকার হাসান, মিন্টু, হালিম, মজিবর, করিম, আলী হোসেন, আইয়ুব আলীসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী মাদক কারবারিদের কাছে জিম্মি। থানার পুলিশও তাদের লালন করছে।
অনুসন্ধানের একপর্যায়ে মাফির সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। সে দাবি করে, অনেক আগেই মাদকের কারবার ছেড়ে দিতে চেয়েছিল সে। কিন্তু পুলিশের কারণে পারছে না। কিছু না করলেও পুলিশকে টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাফির দাবি, তার ও তার তিন ছেলের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলা চালাতে টাকা লাগে। ওই টাকা কিভাবে জোগাড় হবে।
সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, 'এই অভিযোগ ঠিক নয়। তবে সেখানে মাদক বেচাকেনা হয় এবং ওহাব কলোনি থানা এলাকার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ জায়গা।' তিনি জানান, মাদক ব্যবসার নেপথ্য নায়িকা হচ্ছে সবুজবাগ থানায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ও গডমাদার বা দস্যুরানি হিসেবে তালিকাভুক্ত মাফি। তাকে অনেকবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার তিন ছেলে রনি, মিলন, হিরন, ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) ফরিদসহ আত্মীয়স্বজনরাও হত্যা-ডাকাতি, মাদক, অস্ত্রসহ একাধিক মামলার আসামি। গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাইলে পাওয়া যায় না। এরা সহজেই জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে তার পক্ষে ২৫ থেকে ৩০ জন আইনজীবী দাঁড়িয়ে যান। তবে আগের চেয়ে পরিস্থিতি এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে বলে ওসি দাবি করেন।

No comments

Powered by Blogger.