সেল ফোন যখন যন্ত্রণা! by হেলেন চৌধুরী
টেলিযোগাযোগ কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে সেল ফোন এখন জনপ্রিয় মাধ্যম। সেল ফোন যেমন আমাদের জীবনে অনেক প্রয়োজনীয়, ঠিক তেমনি এ ফোন আবার আমাদের অনেকের জীবনকে করছে বিপদগ্রস্ত। অনেকে হচ্ছে শগ্ধিকত, হচ্ছে বিকৃত মনসিকতার সঙ্গে পরিচিত। সিলভী ডাক্তারি পড়ছে। হোস্টেলে থাকতে হয়। সে কারণে বাবা-মা খোঁজ নেওয়ার জন্য তাকে সেল ফোন গিফট করেছে।
প্রতিদিন এই সেল ফোনে মেয়ের খোঁজখবর নেন তার বাবা-মা। নিশ্চিনেস্ন থাকেন মেয়ের সঙ্গে কথা বলে। ফোন ব্যবহার শুরু করার কিছুদিন পরই এক অপরিচিত কণ্ঠ তাকে নানাভাবে বিরক্ত করা শুরু করে। একের পর এক মিসড্ধসঢ়; কল দেওয়া শুরু হয় রাত বাড়লেই। প্রতিদিন অনেক রাত পর্যন্ত পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকতে হয় সিলভীর প্রয়োজনে, ফোনটাও ব্যবহার শ্রাবন্তী কলেজে ফার্স্ট ইয়ারে পড়ছে। একদিন এক ছেলের সঙ্গে সেল ফোনে পরিচয় হয়। দু'জনের মধ্যে বেশ বন্দুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রতি রাতে পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে তাদের গল্প চলত। একদিন শ্রাবন্তী তার বন্দুটিকে আবিষ্কার করল অন্যরূপে। শ্রাবন্তী একটি ধাক্কা খেল। কারণ এ রকম অদ্ভুত আচরণের জন্য সে প্রস্থুত তো ছিলই না, বন্দু হয়ে শ্রাবন্তীর সঙ্গে এ রকম আচরণ দেখাতে পারে_ এ ব্যাপারটি সে কোনো দিনই চিন্তা করেনি। সেদিনই সে জানিয়ে দিল, আজ থেকে তোমার সঙ্গে আর কথা হবে না। কথা বন্দ, সেই সঙ্গে বন্দুত্বেরও অবসান ঘটল।
মানসী ও আদিত্য দু'জনের মধ্যে সেল ফোনের মাধ্যমেই পরিচয়, প্রেম-ভালোবাসা এবং সেই ভালোবাসা রূপ নেয় বিয়ে পর্যন্ত। বিয়ের পর দু'জন খুব সুখী দম্পতি হিসেবে সবার কাছে পরিচিতি পেয়ে গেছে। এর মধ্যে হঠাৎ করে একটি ছেলে প্রতিদিন ফোন করে বন্দুত্ব গড়ে তুলতে চায়। মানসী কখনোই ছেলেটিকে প্রশ্রয় দেয়নি। হঠাৎ একদিন আদিত্য মানসীর ফোন রিসিভ করে ব্যাপারটি ধরে ফেলে। মানসী আগে আদিত্যের কাছে ব্যাপারটি না বলার কারণে আদিত্য মানসীকে সন্দেহ করে। এরপর যা হয় দু'জন দু'রুমে থাকা শুরু করে। মানসীর গভরাউ ৫ মাসের সন্তান থাকায় মানসী নীরবে সব সহ্য করে কাটিয়ে দিচ্ছে দিন। আদিত্য মানসীর মানসিক ব্যাপারটিকে গুরুত্ব না দিয়ে অহেতুক রাগারাগি করে। এক পর্যায়ে মানসীর প্রচ- মানসিক চাপের ফলে পেটের সন্তান নষ্ঠ হয়। এতে মানসী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।
জীবন ও পিয়ার বাবা-মার পছন্দে বিয়ে। বিয়ের ৫ বছর তারা বেশ সুখী ছিল। হঠাৎ করে এক মহিলা তাদের দু'জনের মধ্যে ঝড় তোলে। মহিলা দাবি করে জীবন তার স্বামী। কিন্তু স্টেশনে সে হারিয়ে ফেলে জীবনকে। এত বছর খুঁজে খুঁজে আজ তাদের ঠিকানা জোগাড় করে স্বামীকে নিজের করে পেতে এখানে এসেছে। এর মধ্যে সেল বেজে ওঠায় পিয়া ফোনটি রিসিভ করতেই অপরপ্রান্ত থেকে মোবাইলে একজন পিয়াকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে
থাকে। জীবন কিছুতেই স্বীকার করে না এ ঘটনাটি সত্য বলে। এক পর্যায়ে জেরা করতে গিয়ে পিয়ার কাছে মহিলা স্বীকার করে জীবনের কাছ থেকে কিছু টাকা আদায় করার জন্যই তাকে একজন পাঠিয়েছে। বিনিময়ে তাকে মোটা অংকের টাকা দেওয়া হবে। সেল হুমকিতে বেরিয়ে আসে ঘটনাটি সত্য নয়। কিন্তু পিয়ার জীবনে গভীর রেখাপাত করে এ ঘটনাটি।
তথ্য প্রযুক্তির এই আবিষ্কারকে বাদ দিয়ে এখন জীবনযাপন অচল। তাই বলে এমনভাবে কোনো মানুষ এর মাধ্যমে হয়রানির শিকার হোক, কারো জীবন নিরাপত্তাহীনতার কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ূক, নির্মল বন্দুত্বের সম্পর্ক তৈরি করে পরে ফোনে বিকৃত মানসিকতার পরিচয় ঘটাক, হুমকি দিয়ে নারীদের ব্যবহার করে প্রতারণা করুক, স্বামী-স্ত্রীর সুন্দর সম্পর্ক নষ্ঠ করুক এমনটা কারো চাওয়া হতে পারে না। সেল ফোন ব্যবহার হোক নিজেদের প্রয়োজনে, সঠিকভাবে এবং দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে।
মানসী ও আদিত্য দু'জনের মধ্যে সেল ফোনের মাধ্যমেই পরিচয়, প্রেম-ভালোবাসা এবং সেই ভালোবাসা রূপ নেয় বিয়ে পর্যন্ত। বিয়ের পর দু'জন খুব সুখী দম্পতি হিসেবে সবার কাছে পরিচিতি পেয়ে গেছে। এর মধ্যে হঠাৎ করে একটি ছেলে প্রতিদিন ফোন করে বন্দুত্ব গড়ে তুলতে চায়। মানসী কখনোই ছেলেটিকে প্রশ্রয় দেয়নি। হঠাৎ একদিন আদিত্য মানসীর ফোন রিসিভ করে ব্যাপারটি ধরে ফেলে। মানসী আগে আদিত্যের কাছে ব্যাপারটি না বলার কারণে আদিত্য মানসীকে সন্দেহ করে। এরপর যা হয় দু'জন দু'রুমে থাকা শুরু করে। মানসীর গভরাউ ৫ মাসের সন্তান থাকায় মানসী নীরবে সব সহ্য করে কাটিয়ে দিচ্ছে দিন। আদিত্য মানসীর মানসিক ব্যাপারটিকে গুরুত্ব না দিয়ে অহেতুক রাগারাগি করে। এক পর্যায়ে মানসীর প্রচ- মানসিক চাপের ফলে পেটের সন্তান নষ্ঠ হয়। এতে মানসী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।
জীবন ও পিয়ার বাবা-মার পছন্দে বিয়ে। বিয়ের ৫ বছর তারা বেশ সুখী ছিল। হঠাৎ করে এক মহিলা তাদের দু'জনের মধ্যে ঝড় তোলে। মহিলা দাবি করে জীবন তার স্বামী। কিন্তু স্টেশনে সে হারিয়ে ফেলে জীবনকে। এত বছর খুঁজে খুঁজে আজ তাদের ঠিকানা জোগাড় করে স্বামীকে নিজের করে পেতে এখানে এসেছে। এর মধ্যে সেল বেজে ওঠায় পিয়া ফোনটি রিসিভ করতেই অপরপ্রান্ত থেকে মোবাইলে একজন পিয়াকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে
থাকে। জীবন কিছুতেই স্বীকার করে না এ ঘটনাটি সত্য বলে। এক পর্যায়ে জেরা করতে গিয়ে পিয়ার কাছে মহিলা স্বীকার করে জীবনের কাছ থেকে কিছু টাকা আদায় করার জন্যই তাকে একজন পাঠিয়েছে। বিনিময়ে তাকে মোটা অংকের টাকা দেওয়া হবে। সেল হুমকিতে বেরিয়ে আসে ঘটনাটি সত্য নয়। কিন্তু পিয়ার জীবনে গভীর রেখাপাত করে এ ঘটনাটি।
তথ্য প্রযুক্তির এই আবিষ্কারকে বাদ দিয়ে এখন জীবনযাপন অচল। তাই বলে এমনভাবে কোনো মানুষ এর মাধ্যমে হয়রানির শিকার হোক, কারো জীবন নিরাপত্তাহীনতার কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ূক, নির্মল বন্দুত্বের সম্পর্ক তৈরি করে পরে ফোনে বিকৃত মানসিকতার পরিচয় ঘটাক, হুমকি দিয়ে নারীদের ব্যবহার করে প্রতারণা করুক, স্বামী-স্ত্রীর সুন্দর সম্পর্ক নষ্ঠ করুক এমনটা কারো চাওয়া হতে পারে না। সেল ফোন ব্যবহার হোক নিজেদের প্রয়োজনে, সঠিকভাবে এবং দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে।
No comments