বরিশাল জেলা বিএনপির দক্ষিণ কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
দুই মাস চুপ থাকার পর বরিশাল জেলা বিএনপির (দক্ষিণ) কমিটি বাতিলের দাবিতে মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারীরা গতকাল শনিবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে ঘটা করে সংবাদ সম্মেলন করেছে। এতে পঠিত লিখিত বক্তব্যে কামাল-শিরিন কমিটি ভেঙে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়ে খালেদা জিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় এবং এ জন্য কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়। তবে ওই সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য সরোয়ার উপস্থিত ছিলেন না। মহানগর কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মহসিন মন্টু সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য মজিবর রহমানের অনুসারীরা তাদের নেতার পক্ষে সাফাই গেয়ে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। লিখিত বক্তব্যে সরোয়ারকে ত্যাগী নেতা উল্লেখ করে দাবি করা হয়, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য মজিবর রহমান সরোয়ারের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে তাঁকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সাংবাদিকরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হাতিয়ার হয়ে সরোয়ারের বিরুদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করে নিজেদের হীনমন্যতার পরিচয় দিচ্ছেন। তবে সংবাদমাধ্যমে সরোয়ার সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্য প্রকাশের জন্য তারা বিএনপির সংস্কারপন্থী অংশের নেতা-কর্মীদের দায়ী করে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরোয়ারের প্রতিপক্ষরাই বারবার মিথ্যা তথ্য সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরছে। এতে রাজনীতিতে বিএনপির অবস্থান দুর্বল হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি আহসান হাবিব কামাল ও সাধারণ সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনকে সংস্কারপন্থী আখ্যা দিয়ে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে বরিশাল জেলা বিএনপির (দক্ষিণ) কমিটি বাতিলের দাবি জানানো হয়। কামাল-শিরিন মনোনীত কমিটিকে অযোগ্য দাবি করে আরো বলা হয়, নবগঠিত জেলা বিএনপির কমিটির নেতাদের সঙ্গে বরিশাল সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শওকত হোসেন হিরণের সখ্য রয়েছে। মেয়রের আশীর্বাদ আর প্রশাসনের সহযোগিতায় কামাল-শিরিন কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিছিলের নামে শুটিং করছে। তাই কামাল-শিরিন কমিটি বাতিলের পাশাপাশি পূর্ব থেকে জেলার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নেতাদের নিয়ে বরিশাল জেলা বিএনপির কমিটি পুনর্গঠনের জন্য খালেদা জিয়ার প্রতি দাবি জানানো হয়। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৫ অক্টোবর সদর রোডে মানববন্ধন এবং ২২ অক্টোবর দলীয় কার্যালয়ের সামনে গণ-অনশন কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবায়দুল হক চান, সহসভাপতি এ এইচ এম সালেহ ও মনিরুজ্জামান ফারুক, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আয়শা তৌহিদ লুনা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম শাহীন, মহানগর কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মহসিন মন্টু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট শাখওয়াত হোসেন জুম্মান। তাঁরা সবাই সরোয়ারের অনুসারী বলে দলের ভেতরে পরিচিত।
এ ব্যাপারে মন্তব্য জানার জন্য বরিশাল সিটি মেয়র অ্যাডভোকেট শওকত হোসেন হিরণ এবং জেলা বিএনপির সভাপতি আহসান হাবিব কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাঁরা দুজনই বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, সাবেক নেতারা চাইলেই তো আর কমিটি পুনর্গঠিত হবে না। দেশনেত্রীর সুপারিশেই কমিটি হয়েছে। তাই বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে এ কমিটি বাতিল করা যাবে না।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৩ জুন দক্ষিণ জেলা কমিটি গঠনের পর পদবঞ্চিত কয়েক নেতা কামাল-শিরিনের পক্ষ ত্যাগ করে মহানগর সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ারের সঙ্গে যোগ দেন। এমনকি কমিটি বাতিলের আন্দোলন শুরু করেছিলেন ওই নেতারা। কালের কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশের পর প্রায় দুই মাস নীরব থাকা আন্দোলনকারীরা গতকাল আকস্মিক সংবাদ সম্মেলন ডেকে কর্মসূচি ঘোষণা করে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি আহসান হাবিব কামাল ও সাধারণ সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনকে সংস্কারপন্থী আখ্যা দিয়ে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে বরিশাল জেলা বিএনপির (দক্ষিণ) কমিটি বাতিলের দাবি জানানো হয়। কামাল-শিরিন মনোনীত কমিটিকে অযোগ্য দাবি করে আরো বলা হয়, নবগঠিত জেলা বিএনপির কমিটির নেতাদের সঙ্গে বরিশাল সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শওকত হোসেন হিরণের সখ্য রয়েছে। মেয়রের আশীর্বাদ আর প্রশাসনের সহযোগিতায় কামাল-শিরিন কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিছিলের নামে শুটিং করছে। তাই কামাল-শিরিন কমিটি বাতিলের পাশাপাশি পূর্ব থেকে জেলার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নেতাদের নিয়ে বরিশাল জেলা বিএনপির কমিটি পুনর্গঠনের জন্য খালেদা জিয়ার প্রতি দাবি জানানো হয়। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৫ অক্টোবর সদর রোডে মানববন্ধন এবং ২২ অক্টোবর দলীয় কার্যালয়ের সামনে গণ-অনশন কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবায়দুল হক চান, সহসভাপতি এ এইচ এম সালেহ ও মনিরুজ্জামান ফারুক, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আয়শা তৌহিদ লুনা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম শাহীন, মহানগর কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মহসিন মন্টু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট শাখওয়াত হোসেন জুম্মান। তাঁরা সবাই সরোয়ারের অনুসারী বলে দলের ভেতরে পরিচিত।
এ ব্যাপারে মন্তব্য জানার জন্য বরিশাল সিটি মেয়র অ্যাডভোকেট শওকত হোসেন হিরণ এবং জেলা বিএনপির সভাপতি আহসান হাবিব কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাঁরা দুজনই বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, সাবেক নেতারা চাইলেই তো আর কমিটি পুনর্গঠিত হবে না। দেশনেত্রীর সুপারিশেই কমিটি হয়েছে। তাই বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে এ কমিটি বাতিল করা যাবে না।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৩ জুন দক্ষিণ জেলা কমিটি গঠনের পর পদবঞ্চিত কয়েক নেতা কামাল-শিরিনের পক্ষ ত্যাগ করে মহানগর সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ারের সঙ্গে যোগ দেন। এমনকি কমিটি বাতিলের আন্দোলন শুরু করেছিলেন ওই নেতারা। কালের কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশের পর প্রায় দুই মাস নীরব থাকা আন্দোলনকারীরা গতকাল আকস্মিক সংবাদ সম্মেলন ডেকে কর্মসূচি ঘোষণা করে।
No comments