সিলেটে ৪ চিকিৎসক ও ২ শিক্ষার্থী 'নিখোঁজ', রহস্যের জট খোলেনি
সিলেটের দুটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের চারজন ইন্টার্নি চিকিৎসক ও দুজন শিক্ষার্থী 'নিখেঁাঁজ' হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের সবাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে আছেন বলে দাবি করছে স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে ওই বাহিনী কোনটি সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্থানীয় পুলিশ কিংবা র্যাবও বিষয়টি স্বীকার করেনি। নিখোঁজদের মধ্যে চারজনই ভারতের জম্মু কাশ্মীরের বাসিন্দা।তবে নিখোঁজ ছয়জনের একজন গতকাল ফিরে এসেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গিয়েছিল বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন তিনি। এর বেশি কিছু তিনি জানাননি।
সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিনে এ ছয়জনকে তাঁদের কর্মস্থল থেকে তুলে নেওয়া হয়। সাদা পোশাকে একদল লোক তাঁদের গাড়িতে উঠিয়ে নেয়। নিখোঁজ ব্যক্তিরা হচ্ছেন সিলেটের নর্থ-ইস্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসক রশিদ আহমদ, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসক আশরাফুজ্জামান, তোসাদ্দেক রশিদ, আমির আমিন রেশমী এবং একই কলেজের শিক্ষার্থী তৌসিফ আহমদ ও দানেশ বাট। গত বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সময়ে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। শুধু দানেশ বাটকে নেওয়া হয় শুক্রবার দুপুরে।
এদিকে নর্থ-ইস্ট মেডিক্যাল কলেজের নিখোঁজ চিকিৎসক রশিদ আহমেদ গতকাল ফিরেছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তিনি এ হাসপাতালের মেডিক্যাল ইউনিটের ক্লিনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট (সিএ)। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে দক্ষিণ সুরমা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. আফজাল শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, 'রশিদ আজ টেলিফোনে জানিয়েছে, সে ফিরেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল বলে সে জানিয়েছে।' তবে ডা. রশিদকে কোন বাহিনী কী বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানান, ডা. রশিদ এখন বিশ্রামে রয়েছেন। তিনি পরে কাজে যোগ দেবেন। তাঁর বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে।
একইভাবে নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় অবস্থিত রাগীব-রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজের তিনজন চিকিৎসক ও দুই শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে বলে কলেজের অধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল নাজমুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া চিকিৎসকরা হলেন আশরাফুজ্জামান চৌধুরী, তোসাদ্দেক রশিদ ও আমির আমিন রেশমী। আর শিক্ষার্থী দুজন হচ্ছেন তৌসিফ আহমদ ও দানেশ বাট। আশরাফুজ্জামান চৌধুরী ছাড়া বাকি চারজনই ভারতের জম্মু কাশ্মীরের বাসিন্দা বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। অধ্যক্ষ নাজমুল জানান, র্যাব পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকের একদল লোক কলেজ হোস্টেল থেকে তাঁদের নিয়ে যায়। রাগীব-রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ এ কথা বললেও পুলিশ বা র্যাব বিষয়টি স্বীকার করেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, কোনো জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে তাঁদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়ে থাকতে পারে।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (সদর দপ্তর) রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালের কণ্ঠকে জানান, নর্থ-ইস্ট মেডিক্যাল কলেজ ও রাগীব-বাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দুজন ইন্টার্নি চিকিৎসক নিখোঁজ রয়েছেন বলে পৃথক দুটি জিডি করা হয়েছে। তবে বাকিদের ব্যাপারে তিনি জানেন না বলে জানান। তা ছাড়া পুলিশ এ ধরনের কাউকে ধরে আনেনি বলে তিনি নিশ্চিত করেন। ফিরে আসা চিকিৎসকও এ ব্যাপারে পুলিশকে কোনো তথ্য দেননি বলে উপকমিশনার জানান।
এ ব্যাপারে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৯-এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার সৈয়দ অনঘের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিষয়টি আমরাও শুনেছি। তবে র্যাব তাঁদের কাউকে ধরে আনেনি।' তিনি আরো বলেন, 'আসল ঘটনাটি কী তা আমরাও জানার চেষ্টা করছি।'
এদিকে নর্থ-ইস্ট মেডিক্যাল কলেজের নিখোঁজ চিকিৎসক রশিদ আহমেদ গতকাল ফিরেছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তিনি এ হাসপাতালের মেডিক্যাল ইউনিটের ক্লিনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট (সিএ)। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে দক্ষিণ সুরমা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. আফজাল শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, 'রশিদ আজ টেলিফোনে জানিয়েছে, সে ফিরেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল বলে সে জানিয়েছে।' তবে ডা. রশিদকে কোন বাহিনী কী বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানান, ডা. রশিদ এখন বিশ্রামে রয়েছেন। তিনি পরে কাজে যোগ দেবেন। তাঁর বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে।
একইভাবে নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় অবস্থিত রাগীব-রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজের তিনজন চিকিৎসক ও দুই শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে বলে কলেজের অধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল নাজমুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া চিকিৎসকরা হলেন আশরাফুজ্জামান চৌধুরী, তোসাদ্দেক রশিদ ও আমির আমিন রেশমী। আর শিক্ষার্থী দুজন হচ্ছেন তৌসিফ আহমদ ও দানেশ বাট। আশরাফুজ্জামান চৌধুরী ছাড়া বাকি চারজনই ভারতের জম্মু কাশ্মীরের বাসিন্দা বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। অধ্যক্ষ নাজমুল জানান, র্যাব পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকের একদল লোক কলেজ হোস্টেল থেকে তাঁদের নিয়ে যায়। রাগীব-রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ এ কথা বললেও পুলিশ বা র্যাব বিষয়টি স্বীকার করেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, কোনো জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে তাঁদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়ে থাকতে পারে।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (সদর দপ্তর) রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালের কণ্ঠকে জানান, নর্থ-ইস্ট মেডিক্যাল কলেজ ও রাগীব-বাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দুজন ইন্টার্নি চিকিৎসক নিখোঁজ রয়েছেন বলে পৃথক দুটি জিডি করা হয়েছে। তবে বাকিদের ব্যাপারে তিনি জানেন না বলে জানান। তা ছাড়া পুলিশ এ ধরনের কাউকে ধরে আনেনি বলে তিনি নিশ্চিত করেন। ফিরে আসা চিকিৎসকও এ ব্যাপারে পুলিশকে কোনো তথ্য দেননি বলে উপকমিশনার জানান।
এ ব্যাপারে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৯-এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার সৈয়দ অনঘের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিষয়টি আমরাও শুনেছি। তবে র্যাব তাঁদের কাউকে ধরে আনেনি।' তিনি আরো বলেন, 'আসল ঘটনাটি কী তা আমরাও জানার চেষ্টা করছি।'
No comments