সরকার ও ন্যাটো বাহিনী নিরাপত্তা দিতে পারেনি আফগানদের
আফগান সরকার ও ন্যাটো বাহিনী দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। তালেবান শাসনের পতনের এক দশক পার হলেও নিরাপত্তা পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিবিসিকে গত শুক্রবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে কারজাই এসব কথা বলেন। এদিকে ২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো সেনা প্রত্যাহারের পর সেখানে গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে ব্রিটিশ সরকারের এক পর্যালোচনায়।
আফগানদের নিরাপত্তা বিঘি্নত হওয়ার কারণ হিসেবে কারজাই কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে অভিযান শুরুর প্রথম দিকে নেওয়া সামরিক কৌশল ও পাকিস্তানের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় তালেবানের আশ্রয় নেওয়া বন্ধ করতে না পারাকে দায়ী করেছেন। কারজাই বলেন, 'তালেবান দমনে ২০০২-০৩ সাল থেকেই আরো মনযোগী হওয়া উচিত ছিল ন্যাটো, যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের প্রতিবেশী পাকিস্তানের। কিন্তু তা হয়নি। তাই আফগান জনগণের নিরাপত্তা বিধান করতে আমরা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছি। সরকারি ও আন্তর্জাতিক বাহিনীর ব্যর্থতার কারণেই এটা হয়েছে।'
সম্প্রতি আগানিস্তানের প্রধান প্রধান নগরী, বিশেষ করে রাজধানীতে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলা বেড়েছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও জঙ্গি হামলার শিকার হচ্ছেন। গত মাসে আত্মঘাতী হামলায় আফগান শান্তি পরিষদের প্রধান বুরহানউদ্দিন রাব্বানি নিহত হন। এ প্রসঙ্গে কারজাই বলেন, 'তালেবানের এ ধরনের হামলা প্রতিহত করতে পারিনি আমরা_এটাই আমাদের চরম ব্যর্থতা।'
পাকিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করে কারজাই বলেন, জঙ্গিরা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ব্যক্তিদের ওপর হামলার সহযোগিতা পাচ্ছে দেশের বাইরে থেকে। 'পাকিস্তানের সমর্থন ছাড়া তালেবানরা একটি আঙুল তুলতেও সক্ষম নয়।'
আফগান প্রেসিডেন্ট বলেন, পাকিস্তানে তালেবানের অভয়ারণ্য নির্মূল করতে হলে ইসলামাবাদকে অবশ্যই কাবুলকে সহযোগিতা করতে হবে। তবে জঙ্গিদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান।
ব্রিটিশ সরকারি পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক বাহিনী প্রত্যাহারের বছর তিনেক বাকি। কিন্তু এখনো দেশের নিরাপত্তার ভার নিতে প্রস্তুত নয় আফগান বাহিনী। প্রশাসনও দুর্নীতগ্রস্ত। তালেবানও আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয়। তিন বছরের মধ্যে এতগুলো বাধা পেরিয়ে আফগানরা নিজেদের দায়িত্ব নিজেরা নিতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে ২০১৪ সালে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে অথবা দেশটির ক্ষমতা পুনরায় দখল করতে পারে তালেবানরা। গৃহযুদ্ধ বহু ধরনের হতে পারে। যেমন-জঙ্গি দলগুলো এবং আঞ্চলিক ও আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে। আর এটা হবে প্রতিবেশীদের ইন্ধনে। এ ছাড়া পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী পশতু এলাকায় তালেবানীকরণ হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
শীর্ষ এক ব্রিটিশ কূটনীতিক বলেন, এ বিষয়ে এখনো গবেষণা চলছে। মার্টিন ভ্যান বিজলার্ট নামের এক বিশ্লেষক বলেন, 'আফগানিস্তানের পরিস্থিতি যে কেউ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করলেই বুঝতে পারবে সেখানকার পরিস্থিতি শঙ্কাজনক।'
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আফগান পরস্থিতি নিয়ে এ পর্যালোচনা প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। আগামী মাসের মাঝ বরাবর এ পর্যালোচনার কাজ শেষ হওয়ার কথা।
সূত্র : বিবিসি, গার্ডিয়ান, টেলিগ্রাফ।
সম্প্রতি আগানিস্তানের প্রধান প্রধান নগরী, বিশেষ করে রাজধানীতে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলা বেড়েছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও জঙ্গি হামলার শিকার হচ্ছেন। গত মাসে আত্মঘাতী হামলায় আফগান শান্তি পরিষদের প্রধান বুরহানউদ্দিন রাব্বানি নিহত হন। এ প্রসঙ্গে কারজাই বলেন, 'তালেবানের এ ধরনের হামলা প্রতিহত করতে পারিনি আমরা_এটাই আমাদের চরম ব্যর্থতা।'
পাকিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করে কারজাই বলেন, জঙ্গিরা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ব্যক্তিদের ওপর হামলার সহযোগিতা পাচ্ছে দেশের বাইরে থেকে। 'পাকিস্তানের সমর্থন ছাড়া তালেবানরা একটি আঙুল তুলতেও সক্ষম নয়।'
আফগান প্রেসিডেন্ট বলেন, পাকিস্তানে তালেবানের অভয়ারণ্য নির্মূল করতে হলে ইসলামাবাদকে অবশ্যই কাবুলকে সহযোগিতা করতে হবে। তবে জঙ্গিদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান।
ব্রিটিশ সরকারি পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক বাহিনী প্রত্যাহারের বছর তিনেক বাকি। কিন্তু এখনো দেশের নিরাপত্তার ভার নিতে প্রস্তুত নয় আফগান বাহিনী। প্রশাসনও দুর্নীতগ্রস্ত। তালেবানও আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয়। তিন বছরের মধ্যে এতগুলো বাধা পেরিয়ে আফগানরা নিজেদের দায়িত্ব নিজেরা নিতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে ২০১৪ সালে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে অথবা দেশটির ক্ষমতা পুনরায় দখল করতে পারে তালেবানরা। গৃহযুদ্ধ বহু ধরনের হতে পারে। যেমন-জঙ্গি দলগুলো এবং আঞ্চলিক ও আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে। আর এটা হবে প্রতিবেশীদের ইন্ধনে। এ ছাড়া পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী পশতু এলাকায় তালেবানীকরণ হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
শীর্ষ এক ব্রিটিশ কূটনীতিক বলেন, এ বিষয়ে এখনো গবেষণা চলছে। মার্টিন ভ্যান বিজলার্ট নামের এক বিশ্লেষক বলেন, 'আফগানিস্তানের পরিস্থিতি যে কেউ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করলেই বুঝতে পারবে সেখানকার পরিস্থিতি শঙ্কাজনক।'
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আফগান পরস্থিতি নিয়ে এ পর্যালোচনা প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। আগামী মাসের মাঝ বরাবর এ পর্যালোচনার কাজ শেষ হওয়ার কথা।
সূত্র : বিবিসি, গার্ডিয়ান, টেলিগ্রাফ।
No comments