আশা করি, আগামীতে হকির কোনো সমস্যা থাকবে না
আপনার কমিটির মেয়াদ প্রায় তিন বছর হতে চলেছে। কিন্তু প্রথমবারের মতো জাতীয় যুব হকি আয়োজন করতে যাচ্ছেন?খন্দকার জামিল উদ্দিন : ২০০৪ সালে শেষবারের মতো এই টুর্নামেন্টটা হয়েছিল। আমি দায়িত্ব নিয়েছি তিন বছরের মতো হলো। আমার মনে হয় ফান্ডের কারণেই এমন টুর্নামেন্টগুলো আয়োজন করা যাচ্ছে না। এমন একটি টুর্নামেন্ট করতে গেলে আট-দশ লাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে আমরা বছরে মাত্র ১২ লাখ টাকা পাই। এই টাকা দিয়ে অনেক কিছুই করা সম্ভব হয় না।
প্রশ্ন : আপনার কমিটি তো তিন বছর ধরে কাজ করছে। আপনাদের না পারার কারণটা কি?
জামিল : আমি পারি না_এ কথা আমি নিজেও মানি। আমি হকির লোক না। এই খেলাটি বুঝতেই আমার দেড় বছর লেগে গেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে ফান্ড সংগ্রহ করা না গেলে কোনোভাবেই হকিকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না। যেমন এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে সাউথইস্ট ব্যাংক থেকে দেওয়া হচ্ছে মাত্র পাঁচ লাখ টাকা। কিন্তু আমাদের এর পেছনে আরো আট-দশ লাখ টাকার মতো খরচ হয়ে যাবে।
প্রশ্ন : হকির অন্য টুর্নামেন্টগুলোও তো নিয়মিত মাঠে গড়াচ্ছে না?
জামিল : আমরা সবাই একমত হয়েছি যে এখন থেকে কয়েকটা টুর্নামেন্ট আমরা নিয়মিত আয়োজন করব। বিশেষ করে জাতীয় যুব হকি ও জাতীয় হকি। এ ছাড়া স্কুল হকিও আমরা প্রতিবছর আয়োজন করব। আর স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস হকি তো থাকছেই।
প্রশ্ন : এত টুর্নামেন্টের ভিড়ে প্রিমিয়ার লিগের কথা হয়তো ভুলে গেছেন...
জামিল : আগামী বছরের মার্চে আমরা প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন করব। আসলে আমরা এ বছর প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ হকি লিগ আয়োজন করতে পারিনি। এ লিগগুলো শেষ না করে প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগ শুরু করা যাবে না।
প্রশ্ন : সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আপনার যতটুকু সহযোগিতা পাওয়ার কথা বিভিন্ন ক্লাবগুলোর কাছ থেকে। এর কতটা পেয়েছেন?
জামিল : সবাই অনেক আশ্বাস দিয়ে আমাকে হকিতে এনেছিলেন। তখন বলা হয়েছিল, আমি শুধু ফান্ডের দিকে একটু নজর দিলেই হবে, বাকিটা সবাই সামলে নেবে। কিন্তু কেউ আমাকে ২৫ ভাগও সহয়তা করেনি।জামিল : আমি পারি না_এ কথা আমি নিজেও মানি। আমি হকির লোক না। এই খেলাটি বুঝতেই আমার দেড় বছর লেগে গেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে ফান্ড সংগ্রহ করা না গেলে কোনোভাবেই হকিকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না। যেমন এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে সাউথইস্ট ব্যাংক থেকে দেওয়া হচ্ছে মাত্র পাঁচ লাখ টাকা। কিন্তু আমাদের এর পেছনে আরো আট-দশ লাখ টাকার মতো খরচ হয়ে যাবে।
প্রশ্ন : হকির অন্য টুর্নামেন্টগুলোও তো নিয়মিত মাঠে গড়াচ্ছে না?
জামিল : আমরা সবাই একমত হয়েছি যে এখন থেকে কয়েকটা টুর্নামেন্ট আমরা নিয়মিত আয়োজন করব। বিশেষ করে জাতীয় যুব হকি ও জাতীয় হকি। এ ছাড়া স্কুল হকিও আমরা প্রতিবছর আয়োজন করব। আর স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস হকি তো থাকছেই।
প্রশ্ন : এত টুর্নামেন্টের ভিড়ে প্রিমিয়ার লিগের কথা হয়তো ভুলে গেছেন...
জামিল : আগামী বছরের মার্চে আমরা প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন করব। আসলে আমরা এ বছর প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ হকি লিগ আয়োজন করতে পারিনি। এ লিগগুলো শেষ না করে প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগ শুরু করা যাবে না।
প্রশ্ন : সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আপনার যতটুকু সহযোগিতা পাওয়ার কথা বিভিন্ন ক্লাবগুলোর কাছ থেকে। এর কতটা পেয়েছেন?
প্রশ্ন : হকি ফেডারেশনের তহবিল কত দূর সমৃদ্ধ করতে পেরেছেন?
জামিল : আমি যখন দায়িত্ব নিয়েছি তখন হকি ফেডারেশনের এফডিআর করা ছিল ত্রিশ লাখ টাকার। এখন ফেডারেশনের এফডিআর নব্বই লাখ টাকা। আমি এখন মোটামুটি সব কিছু গুছিয়ে নিয়েছি। কয়েকটি বড় কম্পানি হকিতে স্পন্সর করতে রাজি হয়েছে। আশা করছি, আমাদের আর কোনো সমস্যা থাকবে না।
প্রশ্ন : একটা কথা শোনা যায়, আপনার মন নাকি ক্রিকেটেই পড়ে থাকে। এ জন্যই নাকি হকিতে সময় দিতে চান না?
জামিল : ব্যাপারটা স্বাভাবিক। ক্রিকেট আমার রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে। যখন হকিতে হতাশ হয়ে পড়ি তখন আমার ক্রিকেটের কথাই মনে পড়ে।
No comments