এক দুরন্ত কিশোরের অভিযান by আহসান কবীর
যারা শরৎচন্দ্রের শ্রীকান্ত, মার্ক টোয়েনের টম সয়্যার বা হাকলবেরি ফিন পড়েছ, কিশোর উপন্যাস তিতিরমুখীর চৈতা পড়তে পড়তে চৈতা আর তার বন্দু পলার কথা বারবার মনে পড়বে তাদের। এটি বাংলা কিশোর উপন্যাসে উল্লেখযোগ্য সংযোজন। প্রায় দুই শ' বছর আগে ইংরেজ, পর্তুগিজ, হার্মাদ আর মগ জলদসু্যদের হামলা-নির্যাতন, লুটতরাজে বাংলার সমৃদ্ধ জনপদগুলো সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠার পটভূমিতে উপন্যাসটি লেখা হয়েছে। উপন্যাসের নায়ক তিতিরমুখী গ্রামের চৈতা এক অস্থিরমতি, জ্ঞানপিপাসু এবং দুঃসাহসী কিশোর। তার বন্দু বেপরোয়া পলা।
চৈতার ভাষায় ও হচ্ছে বিগড়ী হাঁস। ওরা ঘরে পড়ে থাকার ছেলে না! চৈতার প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব আর সাহসে একবার লুটেরা হার্মাদদের ভয়াবহ আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পায় তিতিরমুখীবাসী। আরেকবার তার প্রিয় মাধব পলার ছোট ভাই কাকুইকে অসম সাহসিকতায় উদ্ধার করে অনন্ত খুরো নামে রহস্যময় এক বৃদেব্দর খপ্টপ্পর থেকে। অগাধ ধন-সম্পদের মালিক অনন্ত খুরো কাকুইকে হত্যা করে যকের আত্নায় পরিণত করতে চেয়েছিল। খুরোর আখরা কুখ্যাত চিলা রায়ের গড়ে দিন-দুপুরে মানুষের ছায়া দেখলে ছোবল হানতে ফঁস করে ফণা তোলে বিষাক্ত চন্দ্রবোড়া! সেই দুর্গম, সীমাহীন অপরাধের আখরায় চৈতা আর পলার জানবাজি রাখা অভিযানে তছনছ হয়ে যায় তস্করের দুরভিসন্দি। দর্গাউর ভেতরের গোপন কূপের ফাঁদে পড়ে পাতালে হারিয়ে যায় মানবরূপী দানব অনন্ত খুরো। নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে কাকুইকে উদ্ধার করে চৈতা আর পলা; যেভাবে বাংলার দামাল ছেলেরা ১৯৭১-এ উদ্ধার করেছিল আপন মাতৃভূমিকে আগ্রাসী পাকি হানাদারদের নাগপাশ থেকে।
তিতিরমুখীর চৈতার পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে প্রাচীন সমৃদ্ধ জনপদ বাংলার সুখ ছড়ানো দৈনন্দিন জীবনের আবেশমাখা গন্দ। স্বপম্নবাজ কিশোর চৈতার চোখে চলচ্চিত্রের মতো প্রায়ই ভেসে ওঠে তার সময়ের চেয়েও প্রাচীন বাংলার জনজীবনের নানা দৃশ্য-কথা। সিনেমার ফ্ল্যাশব্যাকের আদলে চৈতা তার কল্পনার টাইমমেশিনে পাঠকে নিয়ে হামেশাই চলে যায় আরো সমৃদ্ধতর প্রাচীন বাংলার পথে-প্রান্তরে। যখন সমদু্রগামী জাহাজে করে বহির্বিশেষ খব রফতানি হতো সল্পেব্দ্যবেলার শিশিরের মতো জগৎখ্যাত মসলিন শবনম, কুয়াশার মতো মিহি আবে রেওয়ান আর নানা পদের মসলাপাতি। যেখানে ছিলেন জ্ঞানতাপস অতীশ দীপঙ্কর, যিনি ১২ বছর সাধনা করেছিলেন জাভা ্টীপে। এরপর হিমালয় ডিঙিয়ে সদুহৃর তিব্বতে যান ধর্ম প্রচারে আর সেখানেই রাখেন দেহ। তার স্মৃতিধন্য বজ্রযোগিনী গ্রামে ছুটে যায় জ্ঞানপিপাসু এ কিশোর। খুঁজে বের করে অতীশ দীপঙ্করের বংশধর তামসকে। তার কাছে জানতে চায় জ্ঞানের মহীরুহ পূর্বপুরুষ দীপঙ্করের আরো কথা। এছাড়া ধলেশ্বরীর বুকের নিঝুম ্টীপের ধারালো দৃষ্টির অধিকারী রহস্যময় এক ফকিরের অদৃশ্য উপস্থিতি প্রায়ই আচ্ছন্ন করে রাখে চৈতার চৈতন্য। এই ফকির এক অন্দকার রাতে বেলা ভাসানো উৎসবে তার কাঁধে হাত রেখে বলেছিলেন_ 'সামনে খারাপ সময় আসতাছে!' চৈতা যখন প্রসিদ্ধ নগরী সোনারগাঁয়ের পানামে জগৎ-মাতানো মসলিন কাপড়ের একজন কাটুনি (মসলিনের তাঁতি) হয়, তখন একদিন ঘটনাচত্রেক্র জানতে পারে, নিঝুম দ্বীপের ফকিরের ভবিষ্যদ বাণীর সেই খারাপ সময় একেবারে দোরগোড়ায়! পানাম থেকে নৌকা বোঝাই মসলিন নিয়ে ঢাকার চকবাজারে গিয়েছিল চৈতা। এরপর শহর ঘুরতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হাতে অপহূত হয়ে এক কুঠিবাড়ির গুপ্তঘরে বন্দি হয়। এখান থেকে পালাতে গিয়ে ভয়াবহ, জঘন্য এক ষড়যনে্পর ঘটনা জেনে ফেলে। মসলিন বোনা পানামবাসী সদুক্ষ তাঁতিদের আঙুল কেটে ফেলা হবে! এর ফলে কাটুনিরা আর বুনতে পারবে না স্বপম্ন-বাস্তবতার অবিস্মরণীয় চিত্রকল্প মসলিন। এই তাঁতিদের জন্যই ইউরোপের কলকারখানায় তৈরি মোটা খসখসে বস্ত্র যুৎমতো চালানো যাচ্ছেল না দেশ-বিদেশের কোথাও। লাখ লাখ গজ কাপড় তখন গদুামবন্দি হয়ে পড়েছিল।
স্বার্থান্দ ইংরেজদের ভয়াবহ ষড়যনে্পর খবর শুনে পালায় তিতিরমুখীর দুঃসাহসী দামাল ছেলে চৈতা। রাতের আঁধারে নৌকায় করে ছোটে সে ধলেশ্বরীর চর নিঝুমের রহস্যময় ফকিরের পানে। কিন্তু তার আগেই কুঠিবাড়ির ইংরেজ ও তাদের এদেশীয় দোসররা কেটে নিয়েছে মসলিনের স্রষ্ঠা জগৎখ্যাত কাটুনিদের আঙুল। প্রতিশোধ হিসেবে চৈতারা বুড়িগঙ্গার পাড়ের ষড়যনে্পর ঘাঁটি ওই কুঠিবাড়িটি পুড়িয়ে দেয়। তারপর? চৈতা তাকায় নিঝুম চরের ফকিরের দিকে_ 'এই কি শেষ?' ফকির শান্ত গলায় বলেন, 'না, শুরু'। কারো কারো মতে, 'আমাদের কথাসাহিত্যে ৩টি শিশু-কিশোর উপন্যাস মাইলস্টোন স্বরূপ_ আলী ইমামের তিতিরমুখীর চৈতা, সদ্যপ্রয়াত শিশুসাহিতি্যক আবু কায়সারের রায়হানের রাজহাঁস আর শাহরিয়ার কবিরের নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়।' ১৯৭৯ সালে বাংলা একাডেমী থেকে প্রথম প্রকাশিত 'তিতিরমুখীর চৈতা'র র্বতমান সংস্করণ প্রকাশ করেছে অনুপম প্রকাশনী। প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ। আর ভেতরের ছবিগুলো এঁকেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা আফজাল হোসেন। র্বতমান সংস্করণের দাম ৫০ টাকা।
'র্বষার বিক্রমপুর আমার খুব প্রিয়। সুযোগ পেলেই র্বষাকালে নৌকায় করে খাল-বিল-নদী-নালায় ঘুরে বেড়াতাম। এমনি এক র্বষা-ভ্রমণে আষাঢ়ী রূপ-যৌবনে ভরপুর আড়িয়াল বিলে হঠাৎ দেখি, বছর বারো বয়সী এক কিশোর বীরবিক্রমে কলার ভেলা চালিয়ে যাচ্ছে। ভেলায় বিশাল এক মিষ্টিকুমড়া। আমরা নৌকায় বসেই বিলের উদ্দাম উচ্ছল ঢেউয়ের দাপটে রীতিমতো শঙ্কায় ভুগছিলাম কিন্তু তেজোদ্দীপ্ত কিশোরটির চোখেমুখে ভয়ের লেশমাত্র নেই! প্রবল প্রতাপে ওই বঙ্গশার্দূল লগি মেরে তার ভেলা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেল স্রোতের উজান ঠেলে। হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকের মতো আমার মনে হলো_ এই তো বাংলাদেশ! বিরদুব্দ পরিবেশ আর প্রতিকূলতার মাঝে যহৃধ্যমান এক সত্তার রূপ ধরে ঠিক যেন বাংলাদেশই ফুটে উঠেছে ওই কিশোরের অবয়বে। এ ছেলেই তো উপন্যাসের চরিত্র হতে পারে। নাম না জানা ওই ছেলেকে কেন্দ্র করেই লিখে ফেললাম তিতিরমুখীর চৈতা'_ বললেন আলী ইমাম। তার প্রথম সাহিত্যকর্ম 'দ্বীপের নাম মধুবুনিয়া' বাজারে আসে ১৯৭৬ সালে আর সর্বশেষ প্রকাশিত বই শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ 'যাদুর পাখা'। সব মিলিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থ ২৮২। এদেশের শিশু-কিশোরদের অ্যাডভেঞ্চার, রোমাঞ্চের জগৎকে ঐশ্র্বযময় করেছে তার অপারেশন কাঁকনপুর, প্রবাল দ্বীপের আতঙ্ক,
তিতিরমুখীর চৈতার পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে প্রাচীন সমৃদ্ধ জনপদ বাংলার সুখ ছড়ানো দৈনন্দিন জীবনের আবেশমাখা গন্দ। স্বপম্নবাজ কিশোর চৈতার চোখে চলচ্চিত্রের মতো প্রায়ই ভেসে ওঠে তার সময়ের চেয়েও প্রাচীন বাংলার জনজীবনের নানা দৃশ্য-কথা। সিনেমার ফ্ল্যাশব্যাকের আদলে চৈতা তার কল্পনার টাইমমেশিনে পাঠকে নিয়ে হামেশাই চলে যায় আরো সমৃদ্ধতর প্রাচীন বাংলার পথে-প্রান্তরে। যখন সমদু্রগামী জাহাজে করে বহির্বিশেষ খব রফতানি হতো সল্পেব্দ্যবেলার শিশিরের মতো জগৎখ্যাত মসলিন শবনম, কুয়াশার মতো মিহি আবে রেওয়ান আর নানা পদের মসলাপাতি। যেখানে ছিলেন জ্ঞানতাপস অতীশ দীপঙ্কর, যিনি ১২ বছর সাধনা করেছিলেন জাভা ্টীপে। এরপর হিমালয় ডিঙিয়ে সদুহৃর তিব্বতে যান ধর্ম প্রচারে আর সেখানেই রাখেন দেহ। তার স্মৃতিধন্য বজ্রযোগিনী গ্রামে ছুটে যায় জ্ঞানপিপাসু এ কিশোর। খুঁজে বের করে অতীশ দীপঙ্করের বংশধর তামসকে। তার কাছে জানতে চায় জ্ঞানের মহীরুহ পূর্বপুরুষ দীপঙ্করের আরো কথা। এছাড়া ধলেশ্বরীর বুকের নিঝুম ্টীপের ধারালো দৃষ্টির অধিকারী রহস্যময় এক ফকিরের অদৃশ্য উপস্থিতি প্রায়ই আচ্ছন্ন করে রাখে চৈতার চৈতন্য। এই ফকির এক অন্দকার রাতে বেলা ভাসানো উৎসবে তার কাঁধে হাত রেখে বলেছিলেন_ 'সামনে খারাপ সময় আসতাছে!' চৈতা যখন প্রসিদ্ধ নগরী সোনারগাঁয়ের পানামে জগৎ-মাতানো মসলিন কাপড়ের একজন কাটুনি (মসলিনের তাঁতি) হয়, তখন একদিন ঘটনাচত্রেক্র জানতে পারে, নিঝুম দ্বীপের ফকিরের ভবিষ্যদ বাণীর সেই খারাপ সময় একেবারে দোরগোড়ায়! পানাম থেকে নৌকা বোঝাই মসলিন নিয়ে ঢাকার চকবাজারে গিয়েছিল চৈতা। এরপর শহর ঘুরতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হাতে অপহূত হয়ে এক কুঠিবাড়ির গুপ্তঘরে বন্দি হয়। এখান থেকে পালাতে গিয়ে ভয়াবহ, জঘন্য এক ষড়যনে্পর ঘটনা জেনে ফেলে। মসলিন বোনা পানামবাসী সদুক্ষ তাঁতিদের আঙুল কেটে ফেলা হবে! এর ফলে কাটুনিরা আর বুনতে পারবে না স্বপম্ন-বাস্তবতার অবিস্মরণীয় চিত্রকল্প মসলিন। এই তাঁতিদের জন্যই ইউরোপের কলকারখানায় তৈরি মোটা খসখসে বস্ত্র যুৎমতো চালানো যাচ্ছেল না দেশ-বিদেশের কোথাও। লাখ লাখ গজ কাপড় তখন গদুামবন্দি হয়ে পড়েছিল।
স্বার্থান্দ ইংরেজদের ভয়াবহ ষড়যনে্পর খবর শুনে পালায় তিতিরমুখীর দুঃসাহসী দামাল ছেলে চৈতা। রাতের আঁধারে নৌকায় করে ছোটে সে ধলেশ্বরীর চর নিঝুমের রহস্যময় ফকিরের পানে। কিন্তু তার আগেই কুঠিবাড়ির ইংরেজ ও তাদের এদেশীয় দোসররা কেটে নিয়েছে মসলিনের স্রষ্ঠা জগৎখ্যাত কাটুনিদের আঙুল। প্রতিশোধ হিসেবে চৈতারা বুড়িগঙ্গার পাড়ের ষড়যনে্পর ঘাঁটি ওই কুঠিবাড়িটি পুড়িয়ে দেয়। তারপর? চৈতা তাকায় নিঝুম চরের ফকিরের দিকে_ 'এই কি শেষ?' ফকির শান্ত গলায় বলেন, 'না, শুরু'। কারো কারো মতে, 'আমাদের কথাসাহিত্যে ৩টি শিশু-কিশোর উপন্যাস মাইলস্টোন স্বরূপ_ আলী ইমামের তিতিরমুখীর চৈতা, সদ্যপ্রয়াত শিশুসাহিতি্যক আবু কায়সারের রায়হানের রাজহাঁস আর শাহরিয়ার কবিরের নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়।' ১৯৭৯ সালে বাংলা একাডেমী থেকে প্রথম প্রকাশিত 'তিতিরমুখীর চৈতা'র র্বতমান সংস্করণ প্রকাশ করেছে অনুপম প্রকাশনী। প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ। আর ভেতরের ছবিগুলো এঁকেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা আফজাল হোসেন। র্বতমান সংস্করণের দাম ৫০ টাকা।
'র্বষার বিক্রমপুর আমার খুব প্রিয়। সুযোগ পেলেই র্বষাকালে নৌকায় করে খাল-বিল-নদী-নালায় ঘুরে বেড়াতাম। এমনি এক র্বষা-ভ্রমণে আষাঢ়ী রূপ-যৌবনে ভরপুর আড়িয়াল বিলে হঠাৎ দেখি, বছর বারো বয়সী এক কিশোর বীরবিক্রমে কলার ভেলা চালিয়ে যাচ্ছে। ভেলায় বিশাল এক মিষ্টিকুমড়া। আমরা নৌকায় বসেই বিলের উদ্দাম উচ্ছল ঢেউয়ের দাপটে রীতিমতো শঙ্কায় ভুগছিলাম কিন্তু তেজোদ্দীপ্ত কিশোরটির চোখেমুখে ভয়ের লেশমাত্র নেই! প্রবল প্রতাপে ওই বঙ্গশার্দূল লগি মেরে তার ভেলা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেল স্রোতের উজান ঠেলে। হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকের মতো আমার মনে হলো_ এই তো বাংলাদেশ! বিরদুব্দ পরিবেশ আর প্রতিকূলতার মাঝে যহৃধ্যমান এক সত্তার রূপ ধরে ঠিক যেন বাংলাদেশই ফুটে উঠেছে ওই কিশোরের অবয়বে। এ ছেলেই তো উপন্যাসের চরিত্র হতে পারে। নাম না জানা ওই ছেলেকে কেন্দ্র করেই লিখে ফেললাম তিতিরমুখীর চৈতা'_ বললেন আলী ইমাম। তার প্রথম সাহিত্যকর্ম 'দ্বীপের নাম মধুবুনিয়া' বাজারে আসে ১৯৭৬ সালে আর সর্বশেষ প্রকাশিত বই শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ 'যাদুর পাখা'। সব মিলিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থ ২৮২। এদেশের শিশু-কিশোরদের অ্যাডভেঞ্চার, রোমাঞ্চের জগৎকে ঐশ্র্বযময় করেছে তার অপারেশন কাঁকনপুর, প্রবাল দ্বীপের আতঙ্ক,
No comments