তিরুমালার কোলে by মিজানুর রহমান খবির
প্রকৃতির কোলজুড়ে যা কিছুই গড়ে উঠুক না কেন তা যেন হয়ে ওঠে প্রকৃতির মতোই সুন্দর আর নয়নাভিরাম। ভারতের অন্দ্র প্রদেশের তিরুমালা পাহাড়ের পাদদেশে মন্দিরের শহর তিরুপতি যেন তেমনই এক স্থান। এখানকার পাহাড়গুলো সৌন্দর্যপূর্ণ আর ঐতিহে্য ভরপুর, তাই বলা হয় শহরটি যেন পাহাড়ের কাছে ঋণী। তিরুমালা পাহাড় রাজা ভেংকটেশ্বরের বাসস্থান। তিরু মানে লক্ষ্মী, পতি মানে স্বামী অথবা রাজা, মালার অর্থ হচ্ছে পাহাড়।
অতএব তিরুপতি অর্থ লক্ষ্মীর রাজা বা লক্ষ্মীর স্বামী আর তিরুমালা বলতে বুঝায় লক্ষ্মীর বাসস্থান। বৈষষ্ণব শাস্ত্রমতে, ভারতের ১০৮টি মন্দিরের সমল্পি্বত নাম 'তিরুপাথিস'। তেলেগু ইতিহাসে যে নিদর্শন পাওয়া যায় তাতে বণর্িত আছে সাতবাহান যুগে ( খ্রিস্টপূর্ব ৬০০-১০০ অ্বন্ধ) একে 'বরাহ ক্ষেত্রমু' বলা হতো। রাজা বরাহ তার কাছাকাছি পবিত্র স্থানটিতে শ্রী ভেংকটেশ্বরকে বসবাস করতে অনুমতি দেন। তখন থেকে এর নাম হয় শ্রী ভেংকটামু। তামিলদের সাংগাম সাহিত্যে তিরুপতির পূর্বনামের উল্লেখ রয়েছে, যার অবস্থান তামিল রাজ্যের সম্মুখভাগের উত্তরাংশে।
তিরুপতির মূল আকর্ষণ এখানকার বিখ্যাত সেই একশ আট মন্দিরের একটি। বিশেষ খবর সর্বাধিক আয়যোগ্য মন্দির হিসেবে এর পরিচিতি রয়েছে ব্যাপক। সব শাসকের আমলেই এই মন্দিরটি অন্যতম আয়ের উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই সবাই এটিকে উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে সচেষ্ঠ ছিলেন।
১৮৪৩ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠানের মতো তিরুপতি মন্দিরের দায়িত্বও তাদের মনমতো লোকদের কাছে অর্পণ করে। প্রায় শতাব্দীকাল পর ১৯৩৩ সালে মাদ্রাজের প্রাদেশিক সরকার বিধি প্রণয়নের মাধ্যমে সরকারনিযুক্ত প্রশাসকের কাছে দায়িত্বে ছেড়ে দেয়। তাকে সহায়তা করে স্থানীয় ধর্মীয় উপদেষ্ঠা পরিষদ।
ভ্রমণবিলাসী আর ইতিহাসবেত্তাদের জন্য এ এক অপূর্ব দর্শনীয় স্থান। ধর্মীয় অনুভূতি সম্পন্ন বলে যার আবেদন আরো মাত্রা পেয়েছে।
তিরুমালা পাহাড় ১০.৩৩ র্বগমাইল এলাকাজুড়ে। সমদু্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ৩২০০ ফুট। তিরুমালা বহন করে আছে শিসাদ্রি, নীলাদ্রি, গৌরদ্রি, অঞ্জনদ্রি, ভ্রিশভদ্রি, নারায়ণদ্রি ও ভেংকটদ্রি নামে সাতটি পাহাড়ের চূড়া। এখানে গ্রীষ্ফ্মকাল মার্চ থেকে জুন, জুলাই মাস র্বষা এবং ফেব্রুয়ারির শেষদিক পর্যন্ত থাকে শীতের স্থায়িত্ব।
এখানে জনসংখ্যা ২২৭৬৫৭, পুরুষ ৫২ শতাংশ, নারী ৪৮ শতাংশ। শিক্ষার হার ৭৫ শতাংশ। স্থানীয়রা তেলেগু এবং হিন্দি ভাষা ব্যবহার করে। ইংরেজিও বুঝতে পারে। ধুতি, লুঙ্গি, শাড়িসহ আধুনিক পোশাক অধিবাসীদের পরিধেয়। উৎসব-পার্বণের মধ্যে রয়েছে বৈকুণ্ঠ একাদশী, রামনবমী ও জন্মাষ্ঠমী। ধর্মীয় অন্যান্য আকর্ষণস্থলের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে_ অ্যালামেলু, পদ্মাবতী মন্দির, স্বামী গোবিন্দরাজ মন্দির, স্বামী কোদান্দ রামার মন্দির প্রভৃতি। স্থানটি কেবল তীর্থস্থানই নয়, শিক্ষাক্ষেত্রও বটে। শহর আলো করে আছে স্বনামখ্যাত শ্রী ভেংকটেশ্বর বিশ্ববিদ্যালয়।
তিরুপতির মূল আকর্ষণ এখানকার বিখ্যাত সেই একশ আট মন্দিরের একটি। বিশেষ খবর সর্বাধিক আয়যোগ্য মন্দির হিসেবে এর পরিচিতি রয়েছে ব্যাপক। সব শাসকের আমলেই এই মন্দিরটি অন্যতম আয়ের উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই সবাই এটিকে উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে সচেষ্ঠ ছিলেন।
১৮৪৩ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠানের মতো তিরুপতি মন্দিরের দায়িত্বও তাদের মনমতো লোকদের কাছে অর্পণ করে। প্রায় শতাব্দীকাল পর ১৯৩৩ সালে মাদ্রাজের প্রাদেশিক সরকার বিধি প্রণয়নের মাধ্যমে সরকারনিযুক্ত প্রশাসকের কাছে দায়িত্বে ছেড়ে দেয়। তাকে সহায়তা করে স্থানীয় ধর্মীয় উপদেষ্ঠা পরিষদ।
ভ্রমণবিলাসী আর ইতিহাসবেত্তাদের জন্য এ এক অপূর্ব দর্শনীয় স্থান। ধর্মীয় অনুভূতি সম্পন্ন বলে যার আবেদন আরো মাত্রা পেয়েছে।
তিরুমালা পাহাড় ১০.৩৩ র্বগমাইল এলাকাজুড়ে। সমদু্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ৩২০০ ফুট। তিরুমালা বহন করে আছে শিসাদ্রি, নীলাদ্রি, গৌরদ্রি, অঞ্জনদ্রি, ভ্রিশভদ্রি, নারায়ণদ্রি ও ভেংকটদ্রি নামে সাতটি পাহাড়ের চূড়া। এখানে গ্রীষ্ফ্মকাল মার্চ থেকে জুন, জুলাই মাস র্বষা এবং ফেব্রুয়ারির শেষদিক পর্যন্ত থাকে শীতের স্থায়িত্ব।
এখানে জনসংখ্যা ২২৭৬৫৭, পুরুষ ৫২ শতাংশ, নারী ৪৮ শতাংশ। শিক্ষার হার ৭৫ শতাংশ। স্থানীয়রা তেলেগু এবং হিন্দি ভাষা ব্যবহার করে। ইংরেজিও বুঝতে পারে। ধুতি, লুঙ্গি, শাড়িসহ আধুনিক পোশাক অধিবাসীদের পরিধেয়। উৎসব-পার্বণের মধ্যে রয়েছে বৈকুণ্ঠ একাদশী, রামনবমী ও জন্মাষ্ঠমী। ধর্মীয় অন্যান্য আকর্ষণস্থলের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে_ অ্যালামেলু, পদ্মাবতী মন্দির, স্বামী গোবিন্দরাজ মন্দির, স্বামী কোদান্দ রামার মন্দির প্রভৃতি। স্থানটি কেবল তীর্থস্থানই নয়, শিক্ষাক্ষেত্রও বটে। শহর আলো করে আছে স্বনামখ্যাত শ্রী ভেংকটেশ্বর বিশ্ববিদ্যালয়।
No comments