আলাবামার বিতর্কিত অভিবাসন আইনকে কেন্দ্রের চ্যালেঞ্জ
আলাবামা অঙ্গরাজ্যের কঠোর অভিবাসন আইনের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার। আইনটি বাতিলের জন্য মার্কিন বিচার বিভাগ গত শুক্রবার আটলান্টার একটি আপিল আদালতে আবেদন করেছে। তাদের আশঙ্কা, গত মাসে চালু হওয়া এ আইনের কারণে বৈধ নাগরিকরাও বৈষম্যের শিকার হতে পারে।আলাবামায় অভিবাসনসংক্রান্ত নতুন এ আইন গত মাসের শেষের দিকে কার্যকর হয়। এ আইনে স্কুলশিক্ষার্থীদের বৈধ অভিবাসনের কাগজপত্র আছে কি না_তা পরীক্ষার করা হবে।
অভিবাসনের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারলে সন্দেহভাজন যেকোনো ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারবে এবং বৈধ কাগজপত্র না থাকা কোনো ব্যক্তি আলাবামার সরকারি বা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেনের চেষ্টা করলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। এমনকি অভিবাসনের কাগজপত্র না থাকলে পানির সংযোগও বন্ধ করে দেওয়া হবে। অবৈধ অভিবাসীদের ড্রাইভিং বা ব্যবসার লাইসেন্স নেওয়ার সুযোগও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নতুন আইনে। এরই মধ্যে আলাবামার বিভিন্ন স্কুল থেকে প্রায় দুই হাজার ৩০০ অভিবাসী শিশুকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানায় সংবাদমাধ্যমগুলো।
এ আইনের বিরোধীরা বলেন, গত বছর অ্যারিজোনায় চালু হওয়া বিতর্কিত আইনের চেয়েও কঠোর বিধান রয়েছে আলাবামার এ আইনে। আইনটিকে তাঁরা অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেন এবং আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এ আইনের ফলে বর্ণ বৈষম্য তৈরি হতে পারে। আইনটি যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ নাগরিকদের জন্যও বৈষম্যমূলক হতে পারে বলে মত প্রকাশ করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল টনি ওয়েস্ট। কারণ কোনো অবৈধ অভিবাসীকে বাড়িভাড়া দেওয়া বা তাদের সঙ্গে অনুমোদনহীন কোনো লেনদেন করাও অপরাধ বলে গণ্য হবে। তবে এখন আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আইনের কয়েকটি ধারা স্থগিত থাকবে।
বিচার বিভাগ জানায়, আলাবামার এ আইন কেন্দ্রীয় সরকারের অভিবাসন-নীতি প্রণয়নসংক্রান্ত অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে। আবেদনে জরুরি ভিত্তিতে এ আইনের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সীমান্তে পাহারা বাড়ানোসহ সমন্বিতভাবে অভিবাসন আইন সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগও রাখতে চান তিনি। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসী আছে বলে ধারণা করা হয়। তবে আলাবামার রিপাবলিকান গভর্নর রবার্ট বেন্টলি এক বিবৃতিতে বলেন, 'এ আইনটি পুরোপুরি কার্যকরের ব্যাপারে আমি অঙ্গীকারবদ্ধ।' সূত্র : এএফপি।
এ আইনের বিরোধীরা বলেন, গত বছর অ্যারিজোনায় চালু হওয়া বিতর্কিত আইনের চেয়েও কঠোর বিধান রয়েছে আলাবামার এ আইনে। আইনটিকে তাঁরা অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেন এবং আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এ আইনের ফলে বর্ণ বৈষম্য তৈরি হতে পারে। আইনটি যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ নাগরিকদের জন্যও বৈষম্যমূলক হতে পারে বলে মত প্রকাশ করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল টনি ওয়েস্ট। কারণ কোনো অবৈধ অভিবাসীকে বাড়িভাড়া দেওয়া বা তাদের সঙ্গে অনুমোদনহীন কোনো লেনদেন করাও অপরাধ বলে গণ্য হবে। তবে এখন আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আইনের কয়েকটি ধারা স্থগিত থাকবে।
বিচার বিভাগ জানায়, আলাবামার এ আইন কেন্দ্রীয় সরকারের অভিবাসন-নীতি প্রণয়নসংক্রান্ত অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে। আবেদনে জরুরি ভিত্তিতে এ আইনের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সীমান্তে পাহারা বাড়ানোসহ সমন্বিতভাবে অভিবাসন আইন সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগও রাখতে চান তিনি। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসী আছে বলে ধারণা করা হয়। তবে আলাবামার রিপাবলিকান গভর্নর রবার্ট বেন্টলি এক বিবৃতিতে বলেন, 'এ আইনটি পুরোপুরি কার্যকরের ব্যাপারে আমি অঙ্গীকারবদ্ধ।' সূত্র : এএফপি।
No comments