সেসব কোথায় পালাবে! by লতিফুল হক
জন ন্যাশের অবস্থা তখন খুবই সঙ্গীন। জটিল মানসিক রোগ সিজোফ্রেনিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে তাকে ৫০ বার ইলেকট্রিক শক থেরাপি দেওয়া হলো। তারপর বাসায় ফিরে অসামান্য প্রতিভাধর এ গণিতবিদ পরিণত হলেন অক্ষম একজন মানুষে। দিনে দিনে তার অবস্থা আরো খারাপ হতে লাগল। স্বভাবতই কথা উঠল তাকে আবার হাসপাতালে নেওয়ার। কিন্তু এবার তিনি বেঁকে বসলেন।
প্রবল মানসিক শক্তি আর আত্নবিশ্বাসের ওপর ভর করে বললেন, 'না, আমি যুদ্ধ করব।' আবার তিনি ফিরে গেলেন প্রিসটন বিশ্ববিদ্যালয়ে, মন দিলেন অসমাপ্ত গবেষণায়। ছাত্র-ছাত্রী, রাস্তাঘাটের মানুষজন মেতে উঠল অনর্গল ব্যঙ্গ-বিদ্রূপে। কিন্তু জন ন্যাশ কিছুতেই টললেন না এবং অনেক দিন ধরে মনের সঙ্গে যুদ্ধে করে তিনি ঠিকই জিতে গেলেন। ১৯৯৪ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন বিখ্যাত ফরাসি গণিতবিদ অধ্যাপক জন ফরবেশ ন্যাশ জুনিয়র। তার অসামান্য এ আত্নবিশ্বাসের গল্প নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র 'এ বিউটিফুল মাইন্ড' চার-চারটি শাখায় একাডেমী অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে ২০০১ সালে।
নিজেকে চেনো
যদি তোমার ব্যক্তিত্বের থার্মমিটারে আত্নবিশ্বাসের পারদটি আরো উঁচুতে তুলতে চাও তবে নিজেকে ভালোভাবে চেনার কোনো বিকল্প নেই। তুমি কি পারো বা পারো না, কি পছন্দ করো অথবা করো না_ একটু ঠান্ডা হয়ে সেসব চিন্তা করে নাও। দেখবে এমন অনেক বিষয়ই মনে পড়বে যা করতে গিয়ে তোমাকে ভীষণ ঝামেলা পোহাতে হয়েছিল; অথচ বিষয়টি তোমার আসলে পছন্দই ছিল না। তার মানে, মনের ওপর জোর খাটালে মানুষ নার্ভাস হয়ে যায়। তাই যে কোনো কাজ করার আগে একটু ভেবে-চিনেস্ন পা বাড়াও। তাহলেই আর মনের মধ্যে কোনো 'কিন্তু' থাকবে না। তাই বলে আবার বন্দুদের সঙ্গে হঠাৎ কোথাও বেড়াতে যাওয়া কিংবা সিনেমায় যাওয়ার আগে আবার জমাট হয়ে চিন্তা করতে বসে যেও না। তাহলে যে পুরো মজাটিই একেবারে মাটি!
নিজেকে নিয়ে তো বেশ চিন্তা-ভাবনা হলো। এবার তা প্রয়োগ করতে হবে। আর এ জন্য বন্দু, একদম ঘরকুণো হলে চলবে না। বাইরে এসো এবং অনেক বন্দু তৈরি করো। তোমার যদি অনেক বন্দু থাকে তবে দেখবে মনের মধ্যে হঠাৎ অন্য রকম একটি সাহস চলে এসেছে। কোনো কিছুতেই আর বিশেষ ভয় লাগছে না। যদি কখনো লাগেও তাহলে বন্দুদের তুমুল উৎসাহে সেসব কোথায় পালাবে!
নিশ্চিত জেনো, 'ওল্ডম্যান অ্যান্ড দ্য সি'তে বিরূপ প্রকৃতির বিপক্ষে বুড়ো সান্তিয়াগোর একার যুদ্ধের সেই দুঃসাহসিক কাহিনী নিশ্চিতভাবে তোমার আত্নবিশ্বাসকে নতুন করে চাঙ্গা করে দেবে।
আলোর ইশারা
তুমি আত্নবিশ্বাস বা মনের জোর বাড়াতে এসব প্রস্থুতি তো নেবেই, তার সঙ্গে সব সময় মাথায় রাখতে হবে ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা। যাই কিছু করো না কেন, তার ভালো দিকগুলো দেখার চেষ্ঠা করবে। তাহলেই মনে জোর পাবে। অনেক বন্দুই আছ যারা কিছু শুরুর আগেই ভেঙে পড়ো। ওই মরার আগেই ভূত যাকে বলে আর কি! ঠিক এ কারণেই অংক-ইংরেজি পরীক্ষাগুলো খারাপ হয়। এদিকে প্রিয় মানুষকে মনের কথা বলতে না পারায় মনের পরী মনেই মরে ভূত হয়ে যায়!
তখনই সব কিছুর নেতিবাচক দিক মনে পড়ে যখন মনে ভিড় করে রাজ্যের হতাশা। সেই হতাশায় পুড়ে পুড়ে বারবার মন খারাপ করা। মন খারাপ মানেই নিজের ওপর আস্থা হারিয়ে বারবার পিছিয়ে পড়া। তাই বলি কি 'আমাকে দিয়ে কিছু হবে না', 'আমার সব শেষ'_ এ ধরনের বোকামি চিন্তা একদম বাদ দাও। জীবনে অনেক কারণে দুঃখ তো পেতেই পারো। তাই বলে আত্নবিশ্বাস হারিয়ে চুপসে গেলে চলবে কেন? নিজের দুঃখগুলো বন্দু কিংবা পরিবারের কারো সঙ্গে ভাগ করে নাও অথবা প্রিয় গান ছেড়ে বসে যাও। দেখবে সময় ঠিক পাল্কেল্ট যাবে! আসলে মন খারাপ করে থাকাটা আত্নবিশ্বাস কমে যাওয়ার একটি প্রধান কারণ। তুমি যত এ যন্ত্রণার মধ্যে কম যাবে, তত বেশি মনে জোর পাবে।
শান্ত হও বৎস
আত্নবিশ্বাস বাড়ানোর এসব বদুিব্দ শুনেই আবার লাফিয়ে ওঠো না যেন! ভেবো না আবার, কাল থেকেই তুমি একেবারে নতুন রূপ ধরবে। আসলে আত্নবিশ্বাস বাড়ানো একেবারেই রাতারাতি ঘটার মতো কোনো ব্যাপার নয়। এর জন্য দরকার আস্টেস্ন-ধীরে সামনের দিকে চলা। জন ন্যাশের কথা তো শুনলেই। এখন দিনের পর দিন একটু একটু করে বাড়িয়ে তোলো সাহস, মনের জোর এবং তা পুঁজি করে বসে যাও পরীক্ষায়, খেলার মাঠে কিংবা...। আর তারপর... তারপর দেখই না কী হয়!
নিজেকে চেনো
যদি তোমার ব্যক্তিত্বের থার্মমিটারে আত্নবিশ্বাসের পারদটি আরো উঁচুতে তুলতে চাও তবে নিজেকে ভালোভাবে চেনার কোনো বিকল্প নেই। তুমি কি পারো বা পারো না, কি পছন্দ করো অথবা করো না_ একটু ঠান্ডা হয়ে সেসব চিন্তা করে নাও। দেখবে এমন অনেক বিষয়ই মনে পড়বে যা করতে গিয়ে তোমাকে ভীষণ ঝামেলা পোহাতে হয়েছিল; অথচ বিষয়টি তোমার আসলে পছন্দই ছিল না। তার মানে, মনের ওপর জোর খাটালে মানুষ নার্ভাস হয়ে যায়। তাই যে কোনো কাজ করার আগে একটু ভেবে-চিনেস্ন পা বাড়াও। তাহলেই আর মনের মধ্যে কোনো 'কিন্তু' থাকবে না। তাই বলে আবার বন্দুদের সঙ্গে হঠাৎ কোথাও বেড়াতে যাওয়া কিংবা সিনেমায় যাওয়ার আগে আবার জমাট হয়ে চিন্তা করতে বসে যেও না। তাহলে যে পুরো মজাটিই একেবারে মাটি!
নিজেকে নিয়ে তো বেশ চিন্তা-ভাবনা হলো। এবার তা প্রয়োগ করতে হবে। আর এ জন্য বন্দু, একদম ঘরকুণো হলে চলবে না। বাইরে এসো এবং অনেক বন্দু তৈরি করো। তোমার যদি অনেক বন্দু থাকে তবে দেখবে মনের মধ্যে হঠাৎ অন্য রকম একটি সাহস চলে এসেছে। কোনো কিছুতেই আর বিশেষ ভয় লাগছে না। যদি কখনো লাগেও তাহলে বন্দুদের তুমুল উৎসাহে সেসব কোথায় পালাবে!
নিশ্চিত জেনো, 'ওল্ডম্যান অ্যান্ড দ্য সি'তে বিরূপ প্রকৃতির বিপক্ষে বুড়ো সান্তিয়াগোর একার যুদ্ধের সেই দুঃসাহসিক কাহিনী নিশ্চিতভাবে তোমার আত্নবিশ্বাসকে নতুন করে চাঙ্গা করে দেবে।
আলোর ইশারা
তুমি আত্নবিশ্বাস বা মনের জোর বাড়াতে এসব প্রস্থুতি তো নেবেই, তার সঙ্গে সব সময় মাথায় রাখতে হবে ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা। যাই কিছু করো না কেন, তার ভালো দিকগুলো দেখার চেষ্ঠা করবে। তাহলেই মনে জোর পাবে। অনেক বন্দুই আছ যারা কিছু শুরুর আগেই ভেঙে পড়ো। ওই মরার আগেই ভূত যাকে বলে আর কি! ঠিক এ কারণেই অংক-ইংরেজি পরীক্ষাগুলো খারাপ হয়। এদিকে প্রিয় মানুষকে মনের কথা বলতে না পারায় মনের পরী মনেই মরে ভূত হয়ে যায়!
তখনই সব কিছুর নেতিবাচক দিক মনে পড়ে যখন মনে ভিড় করে রাজ্যের হতাশা। সেই হতাশায় পুড়ে পুড়ে বারবার মন খারাপ করা। মন খারাপ মানেই নিজের ওপর আস্থা হারিয়ে বারবার পিছিয়ে পড়া। তাই বলি কি 'আমাকে দিয়ে কিছু হবে না', 'আমার সব শেষ'_ এ ধরনের বোকামি চিন্তা একদম বাদ দাও। জীবনে অনেক কারণে দুঃখ তো পেতেই পারো। তাই বলে আত্নবিশ্বাস হারিয়ে চুপসে গেলে চলবে কেন? নিজের দুঃখগুলো বন্দু কিংবা পরিবারের কারো সঙ্গে ভাগ করে নাও অথবা প্রিয় গান ছেড়ে বসে যাও। দেখবে সময় ঠিক পাল্কেল্ট যাবে! আসলে মন খারাপ করে থাকাটা আত্নবিশ্বাস কমে যাওয়ার একটি প্রধান কারণ। তুমি যত এ যন্ত্রণার মধ্যে কম যাবে, তত বেশি মনে জোর পাবে।
শান্ত হও বৎস
আত্নবিশ্বাস বাড়ানোর এসব বদুিব্দ শুনেই আবার লাফিয়ে ওঠো না যেন! ভেবো না আবার, কাল থেকেই তুমি একেবারে নতুন রূপ ধরবে। আসলে আত্নবিশ্বাস বাড়ানো একেবারেই রাতারাতি ঘটার মতো কোনো ব্যাপার নয়। এর জন্য দরকার আস্টেস্ন-ধীরে সামনের দিকে চলা। জন ন্যাশের কথা তো শুনলেই। এখন দিনের পর দিন একটু একটু করে বাড়িয়ে তোলো সাহস, মনের জোর এবং তা পুঁজি করে বসে যাও পরীক্ষায়, খেলার মাঠে কিংবা...। আর তারপর... তারপর দেখই না কী হয়!
No comments