অর্থনীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রণব! by সুব্রত আচার্য্য
বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বীরভূমের কার্ণিহারে নিজের বাড়ির সামনে ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি দেবী দুর্গার কাছে কী প্রার্থনা করেছেন, স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে তা জানাতে গিয়ে বলেছিলেন, 'অর্থনীতিতে দেশ যেন শক্তিশালী হয়। দ্রব্যমূল্যের বাজার যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। খাদ্যপণ্য থেকে রপ্তানি খাত; স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করে।' যদিও তিনি পাশাপাশি এও বলেছিলেন, 'আমার প্রত্যাশার সঙ্গে অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি কী হবে, সেটা বলা কঠিন।নিজের বাড়িতেই ষষ্ঠী থেকে দশমী_চার দিন নিজেই দুর্গাপূজা করেন পুরোহিত প্রণব মুখার্জি।
বর্ষীয়ান এই অর্থনীতিবিদ তথা দেশটির অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি দেবীর কাছে এমন প্রত্যাশার করলেও বাস্তবে বাজার পরিস্থিতি বলছে এর উল্টো কথা। দেশটিতে চলতি বছরের ৪০ সপ্তাহের হিসাবে খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৪১ শতাংশ। আর এতেই চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ অর্থমন্ত্রী।
এ নিয়ে তাঁর আনুষ্ঠানিক বক্তব্য_'রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কিভাবে খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতি কমানো যায়, সেটা বের করতে হবে। এটা নিয়ে আলোচনা চলছে।'
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মূলত পাইকারি বাজারের মূল্যসূচকের ওপর ভিত্তি করে মুদ্রাস্ফীতি নির্ধারণ করা হয়। বেশ কিছু পণ্যের আদমানি খরচ প্রতি সপ্তাহে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বিশেষ করে ভোজ্য তেল, সবজি এবং ফলের ক্ষেত্রে অতিতের সব রেকর্ড ভেঙে যাচ্ছে প্রতি সপ্তাহে। তাই খাদ্য পণ্যের মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। যদিও গত বছরের তুলনায় এবার অনেকটা কম বেড়েছে। গত বছর ঠিক এই সময়ে খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১৬.৮৮ শতাংশ।
জানা গেছে, ভারত বিশ্বের মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম ভোজ্য তেল আমদানিকারক দেশ। শুধু তেল নয়, মসলাও প্রচুর আমদানি করতে হয় দেশটিকে। উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, জার্মানি, কানাডা, জাপান, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়শিয়া থেকে ভারত প্রচুর ভোজ্য তেল আমদানি করে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, সবজির দাম বলা ভালো, আলু এবং পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি, ১৪.৮৮ শতাংশ। ১১.৭২ শতাংশ হারে বেড়েছে ফলের দাম। দুধ বেড়েছে ১০.৩৫ শতাংশ। মাছ-মাংস-ডিম বেড়েছে ১০.৩৩ শতাংশ হারে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, গত বছর এই সময়ে আমদানি ব্যয় হয়েছিল ২৩ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। এবার দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু ভোজ্য তেলের আমদানি খরচই হয়েছে ৬২.৯ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। ৪৪.৭ শতাংশ আমদানি ব্যয় বেড়েছে ফল এবং সবজির ক্ষেত্রে। আমদানি খরচ বেড়েছে মসলায় ৫৭.৭ শতাংশ হারে।
২০১০ সালের মার্চ থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ৩০ পর্যন্ত কেন্দ ীয় ব্যাংক ১২ বার সুদের হার বাড়িয়েছে; কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। কেন্দ ীয় সরকার প্রত্যাশা করেছিল, এবার পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে; কিন্তু সেটা বাস্তবে দেখা যাচ্ছে না। আর এখানেই সরকারের আরো দুশ্চিন্তা বেড়েছে।
এ নিয়ে তাঁর আনুষ্ঠানিক বক্তব্য_'রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কিভাবে খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতি কমানো যায়, সেটা বের করতে হবে। এটা নিয়ে আলোচনা চলছে।'
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মূলত পাইকারি বাজারের মূল্যসূচকের ওপর ভিত্তি করে মুদ্রাস্ফীতি নির্ধারণ করা হয়। বেশ কিছু পণ্যের আদমানি খরচ প্রতি সপ্তাহে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বিশেষ করে ভোজ্য তেল, সবজি এবং ফলের ক্ষেত্রে অতিতের সব রেকর্ড ভেঙে যাচ্ছে প্রতি সপ্তাহে। তাই খাদ্য পণ্যের মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। যদিও গত বছরের তুলনায় এবার অনেকটা কম বেড়েছে। গত বছর ঠিক এই সময়ে খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১৬.৮৮ শতাংশ।
জানা গেছে, ভারত বিশ্বের মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম ভোজ্য তেল আমদানিকারক দেশ। শুধু তেল নয়, মসলাও প্রচুর আমদানি করতে হয় দেশটিকে। উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, জার্মানি, কানাডা, জাপান, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়শিয়া থেকে ভারত প্রচুর ভোজ্য তেল আমদানি করে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, সবজির দাম বলা ভালো, আলু এবং পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি, ১৪.৮৮ শতাংশ। ১১.৭২ শতাংশ হারে বেড়েছে ফলের দাম। দুধ বেড়েছে ১০.৩৫ শতাংশ। মাছ-মাংস-ডিম বেড়েছে ১০.৩৩ শতাংশ হারে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, গত বছর এই সময়ে আমদানি ব্যয় হয়েছিল ২৩ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। এবার দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু ভোজ্য তেলের আমদানি খরচই হয়েছে ৬২.৯ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। ৪৪.৭ শতাংশ আমদানি ব্যয় বেড়েছে ফল এবং সবজির ক্ষেত্রে। আমদানি খরচ বেড়েছে মসলায় ৫৭.৭ শতাংশ হারে।
২০১০ সালের মার্চ থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ৩০ পর্যন্ত কেন্দ ীয় ব্যাংক ১২ বার সুদের হার বাড়িয়েছে; কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। কেন্দ ীয় সরকার প্রত্যাশা করেছিল, এবার পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে; কিন্তু সেটা বাস্তবে দেখা যাচ্ছে না। আর এখানেই সরকারের আরো দুশ্চিন্তা বেড়েছে।
No comments