গেইল-কোহলি ঝড়ে বেঙ্গালুরু ফাইনালে
সিডনি থান্ডারের হয়ে বিগ ব্যাশে কদিন পরই ইনিংস উদ্বোধন করবেন ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্রিস গেইল। বেঙ্গালুরু-নিউ সাউথ ওয়েলস সেমিফাইনালের আগে তাই দুজন একসঙ্গে কাটালেন কিছুক্ষণ। হাসলেনও প্রাণ খুলে। ম্যাচেও ব্যাট হেসেছে দুজনের। তবে শেষ হাসিটা হেসেছেন গেইল। তাঁর ৪১ বলে ৮ বাউন্ডারি ৮ ছক্কার ৯২-এ বেঙ্গালুরু পেরিয়ে গেছে ২০৩ রানের পাহাড়। তাও আবার ৯ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখে। গেইলের মতো অতটা না হলেও বিরাট কোহলির ব্যাটেও ঝড় খুব কম বয়নি, ৪৯ বলে ৮৪ করে বেঙ্গালুরুকে ফাইনালে তুলেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।
কোহলি, গেইলদের কারণে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টোয়েন্টি-টোয়েন্টিতে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েও দলের হার দেখতে হয়েছে ওয়ার্নারকে। নিউ সাউথ ওয়েলসের অধিনায়ক ক্যাটিচ তাই ওয়ার্নারকে সান্ত্বনা জানিয়েই বেঙ্গালুরুর ৬ উইকেটে জয়ের কৃতিত্বটা দিলেন গেইল-কোহলিকে, 'দারুণ খেলেছে কোহলি আর গেইল ছিল অসাধারণ। আসলে ফ্ল্যাট উইকেটের ম্যাচটা ছিল ব্যাটসম্যানদের। এখানে কোনো তরুণ বোলার হয়তো আর বল করতে চাইবে না। তা ছাড়া কয়েকটা ক্যাচও ছেড়েছি আমরা। খারাপ লাগছে ওয়ার্নারের জন্য। তার ইতিহাস গড়া ম্যাচটা জিততে পারলাম না!'
ম্যাচটিতে দুই দল মিলে করেছে ৪০৭ রান। বাউন্ডারি ৩৪ আর ছক্কা হয়েছে ২৬টি। ব্যাটসম্যানদের ঝড় তোলার এই ম্যাচেও আশ্চর্য রকম ব্যতিক্রম ছিলেন তিলকরত্নে দিলশান। ৩৪.৩ ওভারে যেখানে রান হয়েছে ৩৯৭ সেখানে তাঁর ৪ ওভারে মাত্র ১০! এই চার ওভারে কোনো ছক্কা বা বাউন্ডারি মারতে পারেনি কেউ। তৃতীয় ওভারে তাঁর বলেই মোহাম্মদ কাইফকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শেন ওয়াটসন (৩)। দিলশানের ওভার শেষ হওয়ার পর থেকে বেঙ্গালুরু বোলারদের ওপর চড়াও হন ওয়ার্নার ও ড্যানিয়েল স্মিথ। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন যোগ করেন ১৪৬ রান। ৪২ বলে সাত বাউন্ডারি ও তিন ছক্কায় ৬২ করে স্মিথ আউট হলেও ফেরানো যায়নি আগের ম্যাচেই ১৩৫ রানে অপরাজিত থাকা ওয়ার্নারকে। ১৮তম ওভার শেষে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৯২ রানে। ভাটকালের করা ১৯তম ওভারে একটি ছক্কা আর দুটি সিঙ্গেল নিয়ে পূরণ করেন সেঞ্চুরি। টোয়েন্টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এবারই প্রথম টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন কেউ। অরবিন্দের করা শেষ ওভারে আবার একাই ২৩ রান নিয়ে নিউ সাউথ ওয়েলসের স্কোরটাকে ২০৩-এ নিয়ে যান ওয়ার্নার। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে যান ৬৮ বলে ১১ ছক্কা ছয় বাউন্ডারিতে ১২৩ রান করে।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০০'র বেশি রান তাড়া করে জেতায় পরশুও আত্মবিশ্বাসী ছিল বেঙ্গালুরু। দিলশান ৪ রান করে ফিরলেও গেইল-কোহলির দাপটে ম্যাচের লাগামটা শুরুতেই নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় তারা। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন যোগ করেন ১৪১ রান। বেশি আগ্রাসী ছিলেন গেইলই। ৪১ বলে তিনি করেন ৯২ রান। তবে কামিন্সের বলে তাঁর এলবিডাবি্লউ হওয়াটা কিছুটা দুর্ভাগ্যের, কেননা রিপ্লেতে স্পষ্টই দেখা গেছে, বলটা যাচ্ছিল স্টাম্পের ওপর দিয়ে। গেইল ফেরার সময় বেঙ্গালুরুর স্কোর ছিল ১৩.৫ ওভারে ১৬২। তখন জয়ের জন্য ৩৭ বলে দরকার মাত্র ৪২ রান। কোহলির অপরাজিত ৮৪ আর কাইফের ৮ বলে ১৩-তে ৯ বল হাতে রেখেই সেই লক্ষ্যে পেঁৗছে যায় বেঙ্গালুরু। এটা আবার টোয়েন্টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো টানা দুই ম্যাচ ২০০'র বেশি রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি। ক্রিকইনফো, এনডিটিভি
নিউ সাউথ ওয়েলস : ২০ ওভারে ২০৩/২ (ওয়ার্নার ১২৩*, স্মিথ ৬২, ওয়াটসন ৩; দিলশান ১/১০, অরবিন্দ ১/৫৫)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু : ১৮.৩ ওভারে ২০৪/৪ (গেইল ৯২, কোহলি ৮৪*, কাইফ ১৩*; কামিন্স ৪/৪৫,ওয়ার্নার ০/১৩)
ফল : রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : বিরাট কোহলি।
ম্যাচটিতে দুই দল মিলে করেছে ৪০৭ রান। বাউন্ডারি ৩৪ আর ছক্কা হয়েছে ২৬টি। ব্যাটসম্যানদের ঝড় তোলার এই ম্যাচেও আশ্চর্য রকম ব্যতিক্রম ছিলেন তিলকরত্নে দিলশান। ৩৪.৩ ওভারে যেখানে রান হয়েছে ৩৯৭ সেখানে তাঁর ৪ ওভারে মাত্র ১০! এই চার ওভারে কোনো ছক্কা বা বাউন্ডারি মারতে পারেনি কেউ। তৃতীয় ওভারে তাঁর বলেই মোহাম্মদ কাইফকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শেন ওয়াটসন (৩)। দিলশানের ওভার শেষ হওয়ার পর থেকে বেঙ্গালুরু বোলারদের ওপর চড়াও হন ওয়ার্নার ও ড্যানিয়েল স্মিথ। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন যোগ করেন ১৪৬ রান। ৪২ বলে সাত বাউন্ডারি ও তিন ছক্কায় ৬২ করে স্মিথ আউট হলেও ফেরানো যায়নি আগের ম্যাচেই ১৩৫ রানে অপরাজিত থাকা ওয়ার্নারকে। ১৮তম ওভার শেষে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৯২ রানে। ভাটকালের করা ১৯তম ওভারে একটি ছক্কা আর দুটি সিঙ্গেল নিয়ে পূরণ করেন সেঞ্চুরি। টোয়েন্টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এবারই প্রথম টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন কেউ। অরবিন্দের করা শেষ ওভারে আবার একাই ২৩ রান নিয়ে নিউ সাউথ ওয়েলসের স্কোরটাকে ২০৩-এ নিয়ে যান ওয়ার্নার। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে যান ৬৮ বলে ১১ ছক্কা ছয় বাউন্ডারিতে ১২৩ রান করে।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০০'র বেশি রান তাড়া করে জেতায় পরশুও আত্মবিশ্বাসী ছিল বেঙ্গালুরু। দিলশান ৪ রান করে ফিরলেও গেইল-কোহলির দাপটে ম্যাচের লাগামটা শুরুতেই নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় তারা। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন যোগ করেন ১৪১ রান। বেশি আগ্রাসী ছিলেন গেইলই। ৪১ বলে তিনি করেন ৯২ রান। তবে কামিন্সের বলে তাঁর এলবিডাবি্লউ হওয়াটা কিছুটা দুর্ভাগ্যের, কেননা রিপ্লেতে স্পষ্টই দেখা গেছে, বলটা যাচ্ছিল স্টাম্পের ওপর দিয়ে। গেইল ফেরার সময় বেঙ্গালুরুর স্কোর ছিল ১৩.৫ ওভারে ১৬২। তখন জয়ের জন্য ৩৭ বলে দরকার মাত্র ৪২ রান। কোহলির অপরাজিত ৮৪ আর কাইফের ৮ বলে ১৩-তে ৯ বল হাতে রেখেই সেই লক্ষ্যে পেঁৗছে যায় বেঙ্গালুরু। এটা আবার টোয়েন্টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো টানা দুই ম্যাচ ২০০'র বেশি রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি। ক্রিকইনফো, এনডিটিভি
নিউ সাউথ ওয়েলস : ২০ ওভারে ২০৩/২ (ওয়ার্নার ১২৩*, স্মিথ ৬২, ওয়াটসন ৩; দিলশান ১/১০, অরবিন্দ ১/৫৫)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু : ১৮.৩ ওভারে ২০৪/৪ (গেইল ৯২, কোহলি ৮৪*, কাইফ ১৩*; কামিন্স ৪/৪৫,ওয়ার্নার ০/১৩)
ফল : রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : বিরাট কোহলি।
No comments