'তারা দোজখকে বাজারজাত করছে আমরা বেহেশতকেও পারছি না'
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো তাদের মরুভূমিতে প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও পর্যটক এনে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্রসৈকত, সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনসহ পর্যটনের বিভিন্ন উপাদান থাকার পরও বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা নগণ্য।'এ কারণে আক্ষেপ করে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী জি এম কাদের বলেছেন, 'মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো মরুভূমির দোজখকে বাজারজাত করতে পারলেও আমরা বাংলাদেশের মতো নদ-নদী, সবুজে ঘেরা বেহেশতকে বাজারজাত করতে পারছি না!
- 'গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত 'পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা, প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণ' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ আপেক্ষ প্রকাশ করেন। মতিঝিলে সংগঠনটির কার্যালয়ে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
- জি এম কাদের সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেন। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের পর্যটন খাতের বিকাশের জন্য প্রচারণা ও ব্র্যান্ডিংয়ের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, 'এ খাতের সাথে সম্পৃক্ত সকলের সাথে আলোচনা করে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে পর্যটনবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে হবে। বিভিন্ন দেশের সাথে সড়ক, নৌ এবং আকাশপথে যোগাযোগ আরো বাড়াতে হবে।'
- তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী এক হাজার বিলিয়ন ডলারের পর্যটন বাণিজ্যের মধ্যে সার্কভুক্ত দেশগুলোর অংশ মাত্র ১ শতাংশ বা ১০ বিলিয়ন ডলার। এর প্রায় অর্ধেকই ভারতের দখলে। বাংলাদেশ এ খাত থেকে আয় করেছে মাত্র ৭০ থেকে ৮০ মিলিয়ন ডলার।
- সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সহজ চলাচল নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, পর্যটকদের উৎসাহী করতে সার্ক দেশগুলোর জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়ার প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। পর্যটনের জন্য প্রয়োজনে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডকে পুনর্গঠন করা হবে। তিনি বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে পর্যটন খাতে উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বাস্তবায়ন ধীরগতিতে হচ্ছে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ট্যুর অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)-এর সভাপতি হাসান মনসুর। অনুষ্ঠানে ডিসিসিআইয়ের সহসভাপতি টি আই এম নূরুল কবীর, পরিচালক এম আবু হোরায়রা, সাবেক সহসভাপতি আবদুস সালাম, এম এস সেকিল চৌধুরী, সাবেক পরিচালক আর আই খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments