বেনগাজিতে নতুন প্রাণের উচ্ছ্বাস
ছোট ছোট হাতের হাততালি, কচি পায়ের দাপাদাপি, ঢেউ খেলানো তরঙ্গের মতো খিলখিল হাসি—এভাবেই মুখরিত হয়েছে শিশুদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। নতুন করে জেগেছে প্রাণের উচ্ছ্বাস।
যুদ্ধের ডামাডোলে টানা আট মাস বন্ধ ছিল লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেনগাজির এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা গাইছে নতুন জাতীয় সংগীত। শ্বাস টানছে ‘মুক্ত হাওয়ায়’।
দেশটির নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠতে শুরু করেছে বেনগাজির পরিবেশ। বিভিন্ন বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে উড়ছে নতুন জাতীয় পতাকা। বেনগাজির আল-লাহিতি অঞ্চলের ওকাবা বিন নাফা বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে ১৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থী বুশরা বলছিল, ‘বিদ্যালয়ে এসে আমি মুক্তির সৌরভ নিচ্ছি। স্বৈরশাসক (গাদ্দাফি) বিদায় নিয়েছে। গোটা পরিবেশই এখন বদলে গেছে। নতুন উদ্যম খুঁজে পাচ্ছি স্কুলে।’
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের দেয়ালে এখন গাদ্দাফির ছবিসহ পোস্টার নেই। তাঁর রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবনার কথাও লেখা নেই কোনো পোস্টারে। নবম শ্রেণীর ছাত্রী ইমান আল-ইজনাফ বলে, ‘আশা করি, এখন আমরা সবকিছু বদলে দিতে পারব।’
আশাবাদী শিক্ষকেরা বলছেন, তাঁদের দায়িত্ব এখন বেড়ে গেছে। বেনগাজির একটি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ঘালিয়া জেকর আল-হারাবি বলেন, ‘আগে আমাদের ওপর অনেক নিষেধাজ্ঞা ছিল। গাদ্দাফির আমলে সৃজনশীল কাজে স্বাধীনতা ছিল না। শিক্ষকদের একটি নির্দিষ্ট রীতি অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হতো। সম্মান বা ভালো বেতন ছিল না। এখন আমাদের প্রয়োজন শিশুদের বয়স অনুযায়ী সঠিক পাঠ্যবই ও শিক্ষা উপকরণ।’
এদিকে, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি ফিরে আসার আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ। ৩১ বছর বয়সী দন্তচিকিৎসক রিহিল বলেন, ‘আমি এমন নেতাদের চাই, যাঁদের একমাত্র লক্ষ্য হবে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা। এতে অবশ্য সময় লাগবে।’
যুদ্ধের ডামাডোলে টানা আট মাস বন্ধ ছিল লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেনগাজির এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা গাইছে নতুন জাতীয় সংগীত। শ্বাস টানছে ‘মুক্ত হাওয়ায়’।
দেশটির নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠতে শুরু করেছে বেনগাজির পরিবেশ। বিভিন্ন বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে উড়ছে নতুন জাতীয় পতাকা। বেনগাজির আল-লাহিতি অঞ্চলের ওকাবা বিন নাফা বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে ১৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থী বুশরা বলছিল, ‘বিদ্যালয়ে এসে আমি মুক্তির সৌরভ নিচ্ছি। স্বৈরশাসক (গাদ্দাফি) বিদায় নিয়েছে। গোটা পরিবেশই এখন বদলে গেছে। নতুন উদ্যম খুঁজে পাচ্ছি স্কুলে।’
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের দেয়ালে এখন গাদ্দাফির ছবিসহ পোস্টার নেই। তাঁর রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবনার কথাও লেখা নেই কোনো পোস্টারে। নবম শ্রেণীর ছাত্রী ইমান আল-ইজনাফ বলে, ‘আশা করি, এখন আমরা সবকিছু বদলে দিতে পারব।’
আশাবাদী শিক্ষকেরা বলছেন, তাঁদের দায়িত্ব এখন বেড়ে গেছে। বেনগাজির একটি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ঘালিয়া জেকর আল-হারাবি বলেন, ‘আগে আমাদের ওপর অনেক নিষেধাজ্ঞা ছিল। গাদ্দাফির আমলে সৃজনশীল কাজে স্বাধীনতা ছিল না। শিক্ষকদের একটি নির্দিষ্ট রীতি অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হতো। সম্মান বা ভালো বেতন ছিল না। এখন আমাদের প্রয়োজন শিশুদের বয়স অনুযায়ী সঠিক পাঠ্যবই ও শিক্ষা উপকরণ।’
এদিকে, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি ফিরে আসার আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ। ৩১ বছর বয়সী দন্তচিকিৎসক রিহিল বলেন, ‘আমি এমন নেতাদের চাই, যাঁদের একমাত্র লক্ষ্য হবে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা। এতে অবশ্য সময় লাগবে।’
No comments