রোডমার্চ নিয়ে শিবচরে বিএনপি-যুবদল উত্তেজনা
বিএনপির রোডমার্চের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে গতকাল শনিবার সকালে মাদারীপুরের শিবচরে যুবদলের নির্বাহী সভাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিপুলসংখ্যক পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলেও বিএনপির নেতারা জেলা যুবদলের সভাপতিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন। এদিকে যুবদলের নির্বাহী সভায় জেলা যুবদল সভাপতি উপজেলা বিএনপির সভাপতির নেতৃত্বাধীন কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।জানা যায়, ২৭ অক্টোবর ঢাকা থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে রোডমার্চের পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল শনিবার সকালে উপজেলা যুবদল শিবচরের খান মার্কেটে নির্বাহী সভা ডাকে।
উপজেলা যুবদলের সভাপতি বাকাউল করিম খান ও সাধারণ সম্পাদক জামাল ব্যাপারীর নেতৃত্বাধীন এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা যুবদল সভাপতি মিজানুর রহমান মুরাদ ও বিশেষ অতিথি সাধারণ সম্পাদক ছরোয়ার হোসেন। কিন্তু এই কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা করে এর বিপক্ষে অবস্থান নেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি নাজমুল হুদা চৌধুরী মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান সমর্থিত সাবেক যুবদল আহ্বায়ক ফারুক ব্যাপারী। গতকাল শনিবার সকাল থেকেই যুবদলের নির্বাহী সভাকে প্রতিরোধের জন্য কলেজ মোড়ে অবস্থান নেন উপজেলা বিএনপির সভাপতিসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। অন্যদিকে খান মার্কেট এলাকায় জড়ো হন বাকাউল করিম খানসহ যুবদলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উভয় এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। একপর্যায়ে পুলিশি বাধার মুখে ফারুক ব্যাপারীর সমর্থনে কলেজ মোড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা এক প্রতিবাদ সভা করেন। শেষ পর্যন্ত অতিথিদের অংশগ্রহণে যুবদলের নির্বাহী সভা স্থান পরিবর্তন করে দুপুরে জেলখানা এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়। উভয় সভায় দুই পক্ষই একে অপরকে আওয়ামী লীগের বি টিম আখ্যা দেয়।
প্রতিবাদ সভায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান ফারুক ব্যাপারীকে যুবদলের সভাপতি ঘোষণা করে বলেন, জেলা যুবদলের সভাপতি মুরাদ সংবিধান অমান্য করে যুবদলের দুটি কমিটি দিয়েছেন। অবৈধ কমিটি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত শিবচরে মুরাদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।
বিএনপির সভাপতি নাজমুল হুদা চৌধুরী মিঠু বলেন, জেলা যুবদল সভাপতি জেলা বিএনপির নেতাদের কথাও শোনেন না। তাঁর এই ভূমিকা বিএনপিকে নিয়ে আওয়ামী লীগের একটি ষড়যন্ত্রের অংশ।
নির্বাহী সভায় জেলা যুবদল সভাপতি মিজানুর রহমান মুরাদ বলেন, 'এটিই বৈধ কমিটি। বিএনপির নেতাদের গঠিত কমিটি তেজপাতা। এই কমিটিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সব ইউনিয়ন, পৌর ওয়ার্ড কমিটি গঠনের নির্দেশ দিচ্ছি। উপজেলা বিএনপি কখনো জেলা যুবদলের সভাপতিকে অবাঞ্ছিত করতে পারে না। আমিই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা বিএনপির নেতাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করব।'
প্রতিবাদ সভায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান ফারুক ব্যাপারীকে যুবদলের সভাপতি ঘোষণা করে বলেন, জেলা যুবদলের সভাপতি মুরাদ সংবিধান অমান্য করে যুবদলের দুটি কমিটি দিয়েছেন। অবৈধ কমিটি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত শিবচরে মুরাদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।
বিএনপির সভাপতি নাজমুল হুদা চৌধুরী মিঠু বলেন, জেলা যুবদল সভাপতি জেলা বিএনপির নেতাদের কথাও শোনেন না। তাঁর এই ভূমিকা বিএনপিকে নিয়ে আওয়ামী লীগের একটি ষড়যন্ত্রের অংশ।
নির্বাহী সভায় জেলা যুবদল সভাপতি মিজানুর রহমান মুরাদ বলেন, 'এটিই বৈধ কমিটি। বিএনপির নেতাদের গঠিত কমিটি তেজপাতা। এই কমিটিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সব ইউনিয়ন, পৌর ওয়ার্ড কমিটি গঠনের নির্দেশ দিচ্ছি। উপজেলা বিএনপি কখনো জেলা যুবদলের সভাপতিকে অবাঞ্ছিত করতে পারে না। আমিই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা বিএনপির নেতাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করব।'
No comments