শোয়েব-আফ্রিদির সমালোচনায় জুলকারনাইন
পাকিস্তান ক্রিকেটের খুব বিদগ্ধ কেউ নন, শহীদ আফ্রিদি-শোয়েব আকতারের সমালোচনায় মেতেছেন তাঁদেরই সাবেক সতীর্থ এবং উল্লেখযোগ্য কিছু করার আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো জুলকারনাইন হায়দার। সেই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান, যিনি প্রায় বছর খানেক আগে গোটা চারেক ওয়ানডে আর একটা টেস্ট খেলে হঠাৎ পাকিস্তান শিবির ত্যাগ করেছিলেন। ম্যাচ না পাতালে জুয়াড়িরা মেরে ফেলবে, তাই জান বাঁচানোর তাগিদেই লন্ডনে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। পরে দেশে ফিরে 'আকমল ভাতৃদ্বয়'সহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের দিকেই নিজের বিষতীর ছোড়েন।
অনৈতিক কাজ করেও পাকিস্তানের 'অসুস্থ' ক্রিকেট সংস্কৃতিতে তাঁরা বহালতবিয়তে রয়েছেন বলে দাবি ছিল হায়দারের। সেই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান এবার ফুঁসে উঠেছেন শহীদ আফ্রিদি ও শোয়েব আকতারের কর্মকাণ্ডে।
'আর সবার কাছে আমি হয়তো বোকা বনে গেছি, কিন্তু আমি নিজে জানি যে, আমি ঠিক কাজটাই করেছিলাম। আমার খুব ভালো করেই জানা ছিল যে, এতে ক্যারিয়ারটা হুমকির মুখে পড়তে পারে। তবু ঠিক পথটাই বেছে নিয়েছিলাম। আমি আফ্রিদি বা শোয়েবের মতো না, পুরো ক্যারিয়ার পার করে এখন তারা যাবতীয় অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সরব। অথচ আমি যখন সব অসংগতির প্রতিবাদ শুরু করি, তখন আমার ক্যারিয়ার সবে শুরু হয়েছে। কিন্তু ভয়হীনভাবেই আমি ঝুঁকিটা নিয়েছিলাম'_কাল জুলকারনাইন হায়দার যখন কথাগুলো বললেন তখন সেই ঝুঁকি অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন। বছরখানেক ক্রিকেট থেকে প্রায় নির্বাসিত লাহোরের এই তরুণ এবারের কায়েদে আজম ট্রফি দিয়েই ফিরছেন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে। ঝড়-ঝঞ্ঝাময় একটা সময় পেরিয়ে আবার গন্তব্যের পথে ছুটে চলা ২৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের কাছে শোয়েব-আফ্রিদির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড অসংগতই ঠেকছে। ক্যারিয়ার শেষে পাকিস্তান ক্রিকেটের সব অসুন্দর আর অব্যবস্থাপনা তুলে ধরে আত্মজীবনী লিখেছেন শোয়েব আকতার। শহীদ আফ্রিদি অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিজেই। তবে মুখর হয়েছেন দল পরিচালনায় স্বচ্ছতা নেই, এমন অভিযোগ তুলে। তাঁদের মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত না করেই হায়দার প্রশ্ন তুলেছেন, ক্যারিয়ারের শেষে এসেই কেন সোচ্চার হলেন শোয়েব-আফ্রিদি, 'এই ব্যবস্থার মধ্যে থেকেই আফ্রিদি, শোয়েব অনেক সুনাম কামিয়েছে, অর্থ উপার্জন করেছে। কিন্তু এখন যখন বুঝতে পারছে তাদের হাতে আর নিয়ন্ত্রণটা নেই তখনই পাকিস্তান ক্রিকেটের এই কাঠামো, এই সংস্কৃতির বিরুদ্ধে চলে গেছে। আমার প্রশ্ন হলো, ক্যারিয়ারের শেষে কেন তাদের এই প্রতিবাদ?'
ক্যারিয়ারের শুরুতেই ম্যাচ পাতানো থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চান বলে ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন জুলকারনাইন। তবে অনেক নাটকের পর ইংল্যান্ড থেকে পাকিস্তানে ফেরেন তিনি। ফিরেই জানান আবার ক্রিকেটে ফেরার আগ্রহের কথা। কাল আবারও জানিয়েছেন দেশের হয়ে খেলার মধ্যেই তাঁর সব ভালো লাগা আর অনুরাগ, 'ক্রিকেটের প্রতি অনুরাগটা আমার একটুও কমেনি। তবে সব কিছু বাস্তবতার নিরিখেই দেখছি। পারফর্ম করেই নির্বাচকদের নজর কাড়ব, এই বিশ্বাসও আমার আছে। আসলে দেশের হয়ে খেলার ইচ্ছাটা কখনোই মরে না।' ওয়েবসাইট
'আর সবার কাছে আমি হয়তো বোকা বনে গেছি, কিন্তু আমি নিজে জানি যে, আমি ঠিক কাজটাই করেছিলাম। আমার খুব ভালো করেই জানা ছিল যে, এতে ক্যারিয়ারটা হুমকির মুখে পড়তে পারে। তবু ঠিক পথটাই বেছে নিয়েছিলাম। আমি আফ্রিদি বা শোয়েবের মতো না, পুরো ক্যারিয়ার পার করে এখন তারা যাবতীয় অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সরব। অথচ আমি যখন সব অসংগতির প্রতিবাদ শুরু করি, তখন আমার ক্যারিয়ার সবে শুরু হয়েছে। কিন্তু ভয়হীনভাবেই আমি ঝুঁকিটা নিয়েছিলাম'_কাল জুলকারনাইন হায়দার যখন কথাগুলো বললেন তখন সেই ঝুঁকি অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন। বছরখানেক ক্রিকেট থেকে প্রায় নির্বাসিত লাহোরের এই তরুণ এবারের কায়েদে আজম ট্রফি দিয়েই ফিরছেন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে। ঝড়-ঝঞ্ঝাময় একটা সময় পেরিয়ে আবার গন্তব্যের পথে ছুটে চলা ২৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের কাছে শোয়েব-আফ্রিদির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড অসংগতই ঠেকছে। ক্যারিয়ার শেষে পাকিস্তান ক্রিকেটের সব অসুন্দর আর অব্যবস্থাপনা তুলে ধরে আত্মজীবনী লিখেছেন শোয়েব আকতার। শহীদ আফ্রিদি অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিজেই। তবে মুখর হয়েছেন দল পরিচালনায় স্বচ্ছতা নেই, এমন অভিযোগ তুলে। তাঁদের মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত না করেই হায়দার প্রশ্ন তুলেছেন, ক্যারিয়ারের শেষে এসেই কেন সোচ্চার হলেন শোয়েব-আফ্রিদি, 'এই ব্যবস্থার মধ্যে থেকেই আফ্রিদি, শোয়েব অনেক সুনাম কামিয়েছে, অর্থ উপার্জন করেছে। কিন্তু এখন যখন বুঝতে পারছে তাদের হাতে আর নিয়ন্ত্রণটা নেই তখনই পাকিস্তান ক্রিকেটের এই কাঠামো, এই সংস্কৃতির বিরুদ্ধে চলে গেছে। আমার প্রশ্ন হলো, ক্যারিয়ারের শেষে কেন তাদের এই প্রতিবাদ?'
ক্যারিয়ারের শুরুতেই ম্যাচ পাতানো থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চান বলে ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন জুলকারনাইন। তবে অনেক নাটকের পর ইংল্যান্ড থেকে পাকিস্তানে ফেরেন তিনি। ফিরেই জানান আবার ক্রিকেটে ফেরার আগ্রহের কথা। কাল আবারও জানিয়েছেন দেশের হয়ে খেলার মধ্যেই তাঁর সব ভালো লাগা আর অনুরাগ, 'ক্রিকেটের প্রতি অনুরাগটা আমার একটুও কমেনি। তবে সব কিছু বাস্তবতার নিরিখেই দেখছি। পারফর্ম করেই নির্বাচকদের নজর কাড়ব, এই বিশ্বাসও আমার আছে। আসলে দেশের হয়ে খেলার ইচ্ছাটা কখনোই মরে না।' ওয়েবসাইট
No comments