রাবাদার কোপে ছত্রখান বাংলাদেশ
ত্রাসের নাম রাবাদা! ছবি: শামসুল হক |
পায়ে
কুড়োল নয়, ‘দা’ পড়ল বাংলাদেশের। ‘দা’ শুনলেই বাংলাদেশ একটু ঘাবড়ে যায় কি
না কে জানে। এর আগে হ্যাটট্রিক করে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ছত্রখান করে
দিয়েছিলেন ‘চামিন্দা’। সাবেক শ্রীলঙ্কান পেসারের পর এবার রাবাদা। ২০০৩
বিশ্বকাপের এক যুগ পর আবারও বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিক করল
কেউ। দক্ষিণ আফ্রিকার ২০ বছর বয়সী এক বিস্ময়। ওয়ানডে অভিষেকের দিনেই দুটো
বিশ্ব রেকর্ড নিজের পাশে লেখালেন-অভিষেকে হ্যাটট্রিক আর অভিষেকে সেরা
বোলিং।
রাবাদার আলোকিত অভিষেকের দিনে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল মাত্র ১৬০ রানে। আট ব্যাটসম্যান খেলিয়েও ৪০ ওভারে নেমে আসা ম্যাচের পুরোটাও খেলতে পারল না মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ২১ বল আগেই অলআউট। সর্বোচ্চ ৪৮ করেছেন সাকিব। আটে নেমে ৩১ করেছেন নাসির। সৌম্য ২৭ আর মুশফিক ২৪। বাংলাদেশের সাত ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। এর মধ্যে চারজনের নামের পাশে শূন্য। মুস্তাফিজ অবশ্য নটআউট ছিলেন। এই মুস্তাফিজ এখন বল হাতে কিছু একটা করলে বাংলাদেশের লজ্জা কিছুটা কমবে। অভিষেকের পর থেকে জাদু দেখানো এই বাঁ হাতি পেসার অবশ্য টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিষ্প্রভ ছিলেন। তবে মুস্তাফিজের কীর্তিও ছাপিয়ে যেতেই বোধ হয় আবির্ভাব হয়েছে রাবাদার!
তাঁর প্রথম রেকর্ডটা এল নিজের দ্বিতীয় আর ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। শেষ তিন বলে তিন উইকেট। প্রথমে তামিম। এর পর লিটন আর। মাহমুদউল্লাহ। তিনটা আউটও তিন রকম। তামিম বোল্ড, লিটন ক্যাচ আর মাহমুদউল্লাহ এলবিডব্লু। পারফেক্ট হ্যাটট্রিক! অভিষেকে টানা তিন বলে উইকেট তুলে নেওয়ার একমাত্র কীর্তিটা ছিল বাংলাদেশের তাইজুল ইসলামের। মিরপুরের এই মাঠেই। একজন সঙ্গীকে পেয়ে নিশ্চয়ই ভালো লাগছে না তাইজুলের। ভাগীদার বেড়েছে বলেই নয়, কীর্তিটা যে তাঁর দলের বিপক্ষেই।
তাইজুলের রেকর্ডটার বয়স আর কত? ছয় মাস। ফিদেল এডওয়ার্ডসের রেকর্ডটার বয়স প্রায় এক যুগ হতে চলল। তার পর অভিষেকে কেউ ৬ উইকেট পেল ওয়ানডেতে। ৮ ওভারে ১৬ রানে ৬ উইকেট! ২২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে এত দিন কীর্তিটা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ফাস্ট বোলারের। হারারের সেই ম্যাচটিও ছিল বৃষ্টিবিঘ্নিত। সর্বোচ্চ ৭ ওভার বোলিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন এডওয়ার্ডস। আজ সর্বোচ্চ ৮ ওভার বোলিং করতে পারলেন রাবাদা। ৫ ওভারের প্রথম স্পেলে ১৪ রানে ৪ উইকেট। ২৭ ওভারে দ্বিতীয় স্পেলে ফিরলেন ১৭ ওভার বিরতির পর। দ্বিতীয় ওভারে মাশরাফিকে ডি ককের ক্যাচ বানিয়ে ৫ উইকেটপূর্ণ করলেন।
অভিষেকে ৫ উইকেট নেওয়া একমাত্র প্রোটিয়া বোলার ছিলেন অ্যালান ডোনাল্ড। দ্বিতীয় স্পেলের তৃতীয় ওভারে জুবায়েরকে বোল্ড করে ‘সাদা বিদ্যুৎ’কেও ছাপিয়ে গেলেন রাবাদা। দ্বিতীয় স্পেলে ৩ ওভারে মাত্র ২ রানে ২ উইকেট! নিখুঁত লাইন-লেংথে বিষমাখা ইয়র্কার কিংবা ব্লক-হল, সঙ্গে ১৪০-এর গতি, মরা উইকেটে ছোবল তোলা বাউন্সার—বুঝিয়ে দিলেন, কেন এত কম বয়সেই জায়গা করে নিয়েছেন জাতীয় দলে।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বেশি দায় দিলে এই তরুণের কৃতিত্ব খাটো করা হয়। তবুও কিছু দায় তো থাকছেই। প্রথমেই কাঠগড়ায় আসবে মুশফিকুর রহিমের নাম। তিনি অবশ্য রাবাদার শিকার নন। বরং রাবাদা-ত্রাসে বাংলাদেশ যখন কম্পমান, ৪০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে, সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ এক প্রতিরোধ গড়েছিলেন। ৫৩ রানের জুটিটা ভেঙেছে মুশফিকের সবচেয়ে প্রিয় এবং এখন তাঁর সবচেয়ে আত্মঘাতী শট স্লগ সুইপে।
বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টকেও প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়। যেদিন হবে না, আট ব্যাটসম্যানেও হবে না—এই সহজ তত্ত্ব বাংলাদেশ কবে বুঝবে? আটে নামা নাসিরকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য থাকে কেবল লোয়ার অর্ডার। আজ তবু এদের নিয়েই নাসির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ করেছেন বলে যা একটু রক্ষা। আট ব্যাটসম্যান আর তিন বোলার নিয়ে খেলার চেয়েও বড় প্রশ্ন—ভেজা কন্ডিশনে টসে জিতে ব্যাটিং কেন?
রাবাদার আলোকিত অভিষেকের দিনে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল মাত্র ১৬০ রানে। আট ব্যাটসম্যান খেলিয়েও ৪০ ওভারে নেমে আসা ম্যাচের পুরোটাও খেলতে পারল না মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ২১ বল আগেই অলআউট। সর্বোচ্চ ৪৮ করেছেন সাকিব। আটে নেমে ৩১ করেছেন নাসির। সৌম্য ২৭ আর মুশফিক ২৪। বাংলাদেশের সাত ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। এর মধ্যে চারজনের নামের পাশে শূন্য। মুস্তাফিজ অবশ্য নটআউট ছিলেন। এই মুস্তাফিজ এখন বল হাতে কিছু একটা করলে বাংলাদেশের লজ্জা কিছুটা কমবে। অভিষেকের পর থেকে জাদু দেখানো এই বাঁ হাতি পেসার অবশ্য টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিষ্প্রভ ছিলেন। তবে মুস্তাফিজের কীর্তিও ছাপিয়ে যেতেই বোধ হয় আবির্ভাব হয়েছে রাবাদার!
তাঁর প্রথম রেকর্ডটা এল নিজের দ্বিতীয় আর ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। শেষ তিন বলে তিন উইকেট। প্রথমে তামিম। এর পর লিটন আর। মাহমুদউল্লাহ। তিনটা আউটও তিন রকম। তামিম বোল্ড, লিটন ক্যাচ আর মাহমুদউল্লাহ এলবিডব্লু। পারফেক্ট হ্যাটট্রিক! অভিষেকে টানা তিন বলে উইকেট তুলে নেওয়ার একমাত্র কীর্তিটা ছিল বাংলাদেশের তাইজুল ইসলামের। মিরপুরের এই মাঠেই। একজন সঙ্গীকে পেয়ে নিশ্চয়ই ভালো লাগছে না তাইজুলের। ভাগীদার বেড়েছে বলেই নয়, কীর্তিটা যে তাঁর দলের বিপক্ষেই।
তাইজুলের রেকর্ডটার বয়স আর কত? ছয় মাস। ফিদেল এডওয়ার্ডসের রেকর্ডটার বয়স প্রায় এক যুগ হতে চলল। তার পর অভিষেকে কেউ ৬ উইকেট পেল ওয়ানডেতে। ৮ ওভারে ১৬ রানে ৬ উইকেট! ২২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে এত দিন কীর্তিটা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ফাস্ট বোলারের। হারারের সেই ম্যাচটিও ছিল বৃষ্টিবিঘ্নিত। সর্বোচ্চ ৭ ওভার বোলিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন এডওয়ার্ডস। আজ সর্বোচ্চ ৮ ওভার বোলিং করতে পারলেন রাবাদা। ৫ ওভারের প্রথম স্পেলে ১৪ রানে ৪ উইকেট। ২৭ ওভারে দ্বিতীয় স্পেলে ফিরলেন ১৭ ওভার বিরতির পর। দ্বিতীয় ওভারে মাশরাফিকে ডি ককের ক্যাচ বানিয়ে ৫ উইকেটপূর্ণ করলেন।
অভিষেকে ৫ উইকেট নেওয়া একমাত্র প্রোটিয়া বোলার ছিলেন অ্যালান ডোনাল্ড। দ্বিতীয় স্পেলের তৃতীয় ওভারে জুবায়েরকে বোল্ড করে ‘সাদা বিদ্যুৎ’কেও ছাপিয়ে গেলেন রাবাদা। দ্বিতীয় স্পেলে ৩ ওভারে মাত্র ২ রানে ২ উইকেট! নিখুঁত লাইন-লেংথে বিষমাখা ইয়র্কার কিংবা ব্লক-হল, সঙ্গে ১৪০-এর গতি, মরা উইকেটে ছোবল তোলা বাউন্সার—বুঝিয়ে দিলেন, কেন এত কম বয়সেই জায়গা করে নিয়েছেন জাতীয় দলে।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বেশি দায় দিলে এই তরুণের কৃতিত্ব খাটো করা হয়। তবুও কিছু দায় তো থাকছেই। প্রথমেই কাঠগড়ায় আসবে মুশফিকুর রহিমের নাম। তিনি অবশ্য রাবাদার শিকার নন। বরং রাবাদা-ত্রাসে বাংলাদেশ যখন কম্পমান, ৪০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে, সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ এক প্রতিরোধ গড়েছিলেন। ৫৩ রানের জুটিটা ভেঙেছে মুশফিকের সবচেয়ে প্রিয় এবং এখন তাঁর সবচেয়ে আত্মঘাতী শট স্লগ সুইপে।
বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টকেও প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়। যেদিন হবে না, আট ব্যাটসম্যানেও হবে না—এই সহজ তত্ত্ব বাংলাদেশ কবে বুঝবে? আটে নামা নাসিরকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য থাকে কেবল লোয়ার অর্ডার। আজ তবু এদের নিয়েই নাসির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ করেছেন বলে যা একটু রক্ষা। আট ব্যাটসম্যান আর তিন বোলার নিয়ে খেলার চেয়েও বড় প্রশ্ন—ভেজা কন্ডিশনে টসে জিতে ব্যাটিং কেন?
No comments