রাজনীতিতে হঠাৎ চাঞ্চল্য by সাজেদুল হক
ঘুমন্ত
রাজনীতির অন্দরমহলে হঠাৎ তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। দুটি প্রধান দলেই আলোচিত
হচ্ছে কিছু প্রশ্ন। জবাব যদিও মিলছে সামান্যই। শুরুটা মঙ্গলবার একনেকের
বৈঠকে। গুরুত্বপূর্ণ ওই বৈঠকে তখনকার এলজিআরডি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের অনুপস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
মন্ত্রীদের ক্ষোভের প্রেক্ষাপটে তাকে সরিয়ে দেয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
যদিও ওই দিন বিকালে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পুরো বিষয়টিকেই গুজব বলে উড়িয়ে
দেন। তবে একদিন বাদেই সে গুজব সত্যে প্রমাণিত হয়। ঠিকঠিক এলজিআরডি মন্ত্রীর
পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে। আওয়ামী লীগে সবচেয়ে বিশ্বস্ত
ও প্রভাবশালী নেতাদের একজন হিসেবে পরিচিত সৈয়দ আশরাফকে কেন এলজিআরডি
মন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হলো তা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। তার সাধারণ
সম্পাদক পদ হারানোর সম্ভাবনার খবরও পত্রিকায় বেরিয়েছে। সৈয়দ আশরাফ
অভ্যন্তরীণ কোন রাজনীতির শিকার হয়েছেন কি-না সে প্রশ্নও এখন জোরালো। সড়ক
পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অবশ্য বলেছেন, দলে সময় দিতেই আশরাফের ভার লাঘব
করা হয়েছে। যদিও গুজবে কান দেবেন না- সৈয়দ আশরাফের সে বক্তব্য ওবায়দুল
কাদেরের বক্তব্যকে সমর্থন করে না। অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল
মুহিত বলেছেন, সৈয়দ আশরাফকে দলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সময়ই দপ্তরবিহীন
মন্ত্রী করার একটা প্রস্তাব ছিল। প্রধানমন্ত্রী এত দিন পর ওই প্রস্তাব
বাস্তবায়ন করেছেন।
ওদিকে, বিরোধী শিবিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একটি সিদ্ধান্তকে ঘিরে। ওমরাহ পালনের জন্য বুধবার তার সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রার কথা ছিল। সব প্রস্তুতিও ছিল সম্পন্ন। সৌদি আরবে বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গেও দেখা হওয়া কথা ছিল তার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে খালেদা জিয়া তার সৌদি যাত্রা স্থগিত করে দেন। এ সিদ্ধান্ত নিয়েও নানাগুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবি, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কিছু কারণেই খালেদা জিয়া এ সফর স্থগিত করেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কারামুক্তি নানা কারণে বিলম্বিত হচ্ছে। দলটির নেতাদের একটি বড় অংশ কারাগারে আটক রয়েছেন। অন্য মুক্ত একটি অংশের বিরুদ্ধে দলের বিরুদ্ধে নানারকম কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সরকারের সঙ্গে তারা যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন এ অভিযোগও পুরনো। একাধিক সূত্রের দাবি, ওই অংশটি ভেতরে ভেতরে বিএনপিতে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কার্যক্রমের বিষয়টি অবগত হয়েই খালেদা জিয়া হঠাৎ করে সৌদি সফর স্থগিত করেন। এর আগে সোমবার দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন খালেদা জিয়া। দলে ভাঙন ধরানোর কোন রকম তৎপরতায় জড়িত না হতেও নেতাদের সতর্ক করে দেন তিনি। আন্দোলন কর্মসূচিতে তাদের ভূমিকা কি ছিল সে ব্যাপারেও জানতে চান খালেদা জিয়া। এসব প্রশ্নে বিএনপি নেতারা চুপ ছিলেন। ঈদের পর তাদের দল পুনর্গঠন কাজে মনোনিবেশ করার নির্দেশনা দেন বিএনপি নেত্রী। সম্প্রতি বিএনপির কয়েক নেতার ফাঁস হওয়া ফোনালাপে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের প্রতি একধরনের অনীহা প্রকাশিত হয়েছে। গুঞ্জন রয়েছে, আন্তর্জাতিক কিছু শক্তির চাওয়া অনুযায়ী একটি মধ্যবর্তী নির্বাচন হতে পারে। সে নির্বাচনের আগেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মামলার রায় হতে পারে। তারা যদি নির্বাচনের অযোগ্য হয়ে যান সে ক্ষেত্রে বিকল্প কোন বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা, সে প্রশ্নও আলোচিত হচ্ছে।
এদিকে, গত সাত বছর ধরেই সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শেখ হাসিনার পরে আওয়ামী লীগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছিলেন। সে আশরাফ কেন হঠাৎ করে দপ্তরবিহীন হয়ে গেলেন, সে প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ জবাব পেতে হয়তো আরও কিছু সময় লাগবে। সজ্জন আশরাফের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল তিনি মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত নন। কিন্তু আওয়ামী লীগের জন্য তার ত্যাগকে হয়তো সেভাবে বিবেচনায় নেয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সৈয়দ আশরাফের সে অর্থে কোন বিচ্ছেদ হয়নি। কারণ মন্ত্রিত্ব হারানোর দিনেও যুবলীগের ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়েছেন তিনি। অন্য অনেকের মতো নিজেকে গুটিয়ে নেননি সৈয়দ আশরাফ। তবে কেউ কেউ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, সৈয়দ আশরাফও সোহেল তাজের পথ অনুসরণ করেন কি-না? যদিও তেমন কোন সম্ভাবনা আপাতত নেই। তবে বিতর্কিত নেতাদের রেখে সৈয়দ আশরাফকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়টি আওয়ামী লীগের অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। যদিও তারা এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না। তবে আওয়ামী লীগের জন্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম পরিবারের আত্মত্যাগের বিষয়টি স্মরণ করছেন তারা।
ওদিকে, বিরোধী শিবিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একটি সিদ্ধান্তকে ঘিরে। ওমরাহ পালনের জন্য বুধবার তার সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রার কথা ছিল। সব প্রস্তুতিও ছিল সম্পন্ন। সৌদি আরবে বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গেও দেখা হওয়া কথা ছিল তার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে খালেদা জিয়া তার সৌদি যাত্রা স্থগিত করে দেন। এ সিদ্ধান্ত নিয়েও নানাগুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবি, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কিছু কারণেই খালেদা জিয়া এ সফর স্থগিত করেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কারামুক্তি নানা কারণে বিলম্বিত হচ্ছে। দলটির নেতাদের একটি বড় অংশ কারাগারে আটক রয়েছেন। অন্য মুক্ত একটি অংশের বিরুদ্ধে দলের বিরুদ্ধে নানারকম কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সরকারের সঙ্গে তারা যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন এ অভিযোগও পুরনো। একাধিক সূত্রের দাবি, ওই অংশটি ভেতরে ভেতরে বিএনপিতে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কার্যক্রমের বিষয়টি অবগত হয়েই খালেদা জিয়া হঠাৎ করে সৌদি সফর স্থগিত করেন। এর আগে সোমবার দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন খালেদা জিয়া। দলে ভাঙন ধরানোর কোন রকম তৎপরতায় জড়িত না হতেও নেতাদের সতর্ক করে দেন তিনি। আন্দোলন কর্মসূচিতে তাদের ভূমিকা কি ছিল সে ব্যাপারেও জানতে চান খালেদা জিয়া। এসব প্রশ্নে বিএনপি নেতারা চুপ ছিলেন। ঈদের পর তাদের দল পুনর্গঠন কাজে মনোনিবেশ করার নির্দেশনা দেন বিএনপি নেত্রী। সম্প্রতি বিএনপির কয়েক নেতার ফাঁস হওয়া ফোনালাপে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের প্রতি একধরনের অনীহা প্রকাশিত হয়েছে। গুঞ্জন রয়েছে, আন্তর্জাতিক কিছু শক্তির চাওয়া অনুযায়ী একটি মধ্যবর্তী নির্বাচন হতে পারে। সে নির্বাচনের আগেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মামলার রায় হতে পারে। তারা যদি নির্বাচনের অযোগ্য হয়ে যান সে ক্ষেত্রে বিকল্প কোন বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা, সে প্রশ্নও আলোচিত হচ্ছে।
এদিকে, গত সাত বছর ধরেই সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শেখ হাসিনার পরে আওয়ামী লীগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছিলেন। সে আশরাফ কেন হঠাৎ করে দপ্তরবিহীন হয়ে গেলেন, সে প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ জবাব পেতে হয়তো আরও কিছু সময় লাগবে। সজ্জন আশরাফের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল তিনি মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত নন। কিন্তু আওয়ামী লীগের জন্য তার ত্যাগকে হয়তো সেভাবে বিবেচনায় নেয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সৈয়দ আশরাফের সে অর্থে কোন বিচ্ছেদ হয়নি। কারণ মন্ত্রিত্ব হারানোর দিনেও যুবলীগের ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়েছেন তিনি। অন্য অনেকের মতো নিজেকে গুটিয়ে নেননি সৈয়দ আশরাফ। তবে কেউ কেউ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, সৈয়দ আশরাফও সোহেল তাজের পথ অনুসরণ করেন কি-না? যদিও তেমন কোন সম্ভাবনা আপাতত নেই। তবে বিতর্কিত নেতাদের রেখে সৈয়দ আশরাফকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়টি আওয়ামী লীগের অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। যদিও তারা এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না। তবে আওয়ামী লীগের জন্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম পরিবারের আত্মত্যাগের বিষয়টি স্মরণ করছেন তারা।
No comments