কলের লাঙলে ভর্তুকি: সাংবাদিকদের স্মারকলিপি, মানববন্ধন
ঝিনাইদহে
প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আজাদ রহমানসহ দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা
মামলা দায়েরের প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা সদর ও তিন উপজেলার
সাংবাদিকেরা বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন। ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব জেলা
প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দিয়েছে। প্রেসক্লাব শৈলকুপা উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি
দিয়েছে।
দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার ও পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের কাছে স্মারকলিপি দেয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়, সরকারের ভর্তুকির টাকায় বিতরণ করা কলের লাঙল কেনা নিয়ে অনিয়মের খবর প্রকাশ করায় আজাদ রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তিনি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এমনকি তাঁর পরিবারও নিরাপত্তার অভাববোধ করছে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, প্রথম আলোর খবর ‘সত্য নয়’ দাবি করে সংসদে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর তিন দফা বিবৃতি দেওয়ার পর লাঙল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান রাফি এন্টারপ্রাইজের মালিক আসাদুল ইসলাম ওরফে লিটু সাংবাদিক আজাদ রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। মামলায় আজাদ রহমান ছাড়াও কোটচাঁদপুরের স্থানীয় সাংবাদিক সুব্রত সরকারকে আসামি করা হয়। এর আগে কোটচাঁদপুর থানায় তাঁর নামে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন লাঙলের জন্য নির্বাচিত ১০ জন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে আসাদুল সেখানে সাক্ষী হিসেবে আছেন।
পৃথক ঘটনায় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক যুগান্তর ও এনটিভির প্রতিনিধি মিজানুর রহমান ও সহসভাপতি আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধেও আরেকটি চাঁদাবাজির মামলা দেওয়া হয়েছে ঝিনাইদহ সদর থানায়। স্মারকলিপিতে তারও প্রতিবাদ জানানো হয়।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, তাঁর অবস্থানে থেকে সাংবাদিকদের জন্য যা করার, তা-ই করবেন। পরে পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের কাছে স্মারকলিপি দেয় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব। তিনি সাংবাদিকদের সহায়তার আশ্বাস দিয়ে বলেন, মিথ্যা তথ্যে সাংবাদিকেরা যাতে হয়রানির শিকার না হন, তা তদন্ত করে দেখবেন।
দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার ও পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের কাছে স্মারকলিপি দেয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়, সরকারের ভর্তুকির টাকায় বিতরণ করা কলের লাঙল কেনা নিয়ে অনিয়মের খবর প্রকাশ করায় আজাদ রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তিনি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এমনকি তাঁর পরিবারও নিরাপত্তার অভাববোধ করছে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, প্রথম আলোর খবর ‘সত্য নয়’ দাবি করে সংসদে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর তিন দফা বিবৃতি দেওয়ার পর লাঙল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান রাফি এন্টারপ্রাইজের মালিক আসাদুল ইসলাম ওরফে লিটু সাংবাদিক আজাদ রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। মামলায় আজাদ রহমান ছাড়াও কোটচাঁদপুরের স্থানীয় সাংবাদিক সুব্রত সরকারকে আসামি করা হয়। এর আগে কোটচাঁদপুর থানায় তাঁর নামে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন লাঙলের জন্য নির্বাচিত ১০ জন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে আসাদুল সেখানে সাক্ষী হিসেবে আছেন।
পৃথক ঘটনায় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক যুগান্তর ও এনটিভির প্রতিনিধি মিজানুর রহমান ও সহসভাপতি আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধেও আরেকটি চাঁদাবাজির মামলা দেওয়া হয়েছে ঝিনাইদহ সদর থানায়। স্মারকলিপিতে তারও প্রতিবাদ জানানো হয়।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, তাঁর অবস্থানে থেকে সাংবাদিকদের জন্য যা করার, তা-ই করবেন। পরে পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের কাছে স্মারকলিপি দেয় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব। তিনি সাংবাদিকদের সহায়তার আশ্বাস দিয়ে বলেন, মিথ্যা তথ্যে সাংবাদিকেরা যাতে হয়রানির শিকার না হন, তা তদন্ত করে দেখবেন।
স্মারকলিপি দেওয়ার সময় ঝিনাইদহ
প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান, সহসভাপতি আবদুল হাই, ভারপ্রাপ্ত
সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, সাংবাদিক বিমল সাহা, আমিনুর রহমান, এম সাইফুল
মাবুদ, এম রায়হান, আলাউদ্দীন আজাদসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক
মিডিয়ার সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত চিহ্নিত গোষ্ঠীকে খুঁজে বের করে বিচার ও শাস্তির আওতায় আনা এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
এদিকে আজাদ রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে প্রেসক্লাব শৈলকুপা মানববন্ধন করেছে। পরে সাংবাদিকেরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন। বেলা ১১টায় শৈলকুপা চৌরাস্তা মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচিতে সাংবাদিক শামীম বিন সাত্তার, আলমগীর অরণ্য, শাহীন আক্তার পলাশ, সুজন বিপ্লব বিশ্বাস, মনিরুজ্জামান সুমন, এইচ এম ইমরান, এ এস এম আলীমুজ্জামান প্রমুখ বক্তৃতা করেন। সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন শৈলকুপা পাবলিক হল ও লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক স্বপন বাগচীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা।
দুপুর ১২টায় মহেশপুর উপজেলা শহরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে সাংবাদিক আবুল হোসেন লিটন, ওবাইদুল হক, আবদুস সেলিম, অসীম মোদক, জিয়াউর রহমান জিয়া, অধীর সরকার প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
স্মারকলিপিতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত চিহ্নিত গোষ্ঠীকে খুঁজে বের করে বিচার ও শাস্তির আওতায় আনা এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
এদিকে আজাদ রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে প্রেসক্লাব শৈলকুপা মানববন্ধন করেছে। পরে সাংবাদিকেরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন। বেলা ১১টায় শৈলকুপা চৌরাস্তা মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচিতে সাংবাদিক শামীম বিন সাত্তার, আলমগীর অরণ্য, শাহীন আক্তার পলাশ, সুজন বিপ্লব বিশ্বাস, মনিরুজ্জামান সুমন, এইচ এম ইমরান, এ এস এম আলীমুজ্জামান প্রমুখ বক্তৃতা করেন। সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন শৈলকুপা পাবলিক হল ও লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক স্বপন বাগচীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা।
দুপুর ১২টায় মহেশপুর উপজেলা শহরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে সাংবাদিক আবুল হোসেন লিটন, ওবাইদুল হক, আবদুস সেলিম, অসীম মোদক, জিয়াউর রহমান জিয়া, অধীর সরকার প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
No comments