আমতলীতে মুখরিত তাঁতীপাড়া
বরগুনার তালতলীতে ঈদকে সামনে রেখে কাপড় বুননের জন্য বেড়ে গেছে তালতলীর রাখাইন পাড়ায় নারীদের কর্মব্যস্ততা। বছরের অধিকাংশ অলস সময় কাটালেও রাখাইন নারীদের এ কর্মব্যস্ততায় তারা কষ্টের পরিবর্তে আনন্দও পায়। এ কারণে পাড়ায় পাড়ায় তাঁতীদের কোলাহল আর কর্মব্যস্ততার পাশাপাশি বেড়েছে মনের আনন্দও। আর চোখে মুখে দেখা গেছে হাঁসির ঝিলিক। তাঁতীদের তাঁতে বিভিন্ন ধরনের কাপড় বুননের খট্ খট্ শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে তাঁত সমৃদ্ধ রাখাইনদের এই জনপদ তালতলীর রাখাইন পাড়াগুলো।
বার্মা থেকে আমদানীকৃত সুতা দিয়ে শীতের চাদর, শার্ট পিস, ব্যাগ, শাড়ি, লুঙ্গি, ও গামছা বুনে তাঁতীরা তাদের হস্তচালিত তাঁতবস্ত্রের উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। রাখাইন তাঁতীদের উৎপাদিত এ সকল বস্ত্রেরই কদর দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের সর্বত্রই রয়েছে। রাখাইনদের হস্তচালিত তাঁতে বিভিন্ন রঙ বেরঙের সুতা দিয়ে তৈরি লতা-পাতা ফুল ও বিভিন্ন কারু কাজে গড়া এ সকল তাঁতবস্ত্র যেন সকলের কাছে প্রিয়। সারা বছর এ সকল বস্ত্রের পুরো চাহিদা না থাকলেও শীত মওসুম, রমজানের ঈদ ও কোরবানিতে ব্যাপক চাহিদা দেখা যায়। আর সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই তাঁতীরা তাঁত কাপড় বুনন কাজে ব্যস্ত। তাদের কর্মব্যস্ততায় সরগরম হয়ে উঠেছে তালতলীর তাঁতীদের রাখাইন পাড়াগুলো। আগাঠাকুর পাড়ার উসিট মং জানান, তালতলীর বড়বগী ইউনিয়নের তালতলী পাড়া, ছাতন পাড়া, মনুখেপাড়া, আগাঠাকুর পাড়া, নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের সওদাগর পাড়া, তালুকদার পাড়া ও সোনাকাটা ইউনিয়নের কবিরাজ পাড়া, নামিষেপাড়া, লাউপাড়া ও অংকুজান পাড়ার রাখাইন পল্লীতে ১২ থেকে ১৪টি করে শতাধিক হস্তচালিত তাঁত রয়েছে। কোন কোন পাড়ায় একই পরিবারে ২-৩টিও তাঁত রয়েছে।
বিংশ শতাব্দীর পূর্বে তালতলীর এ তিনটি ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশত রাখাইন পাড়া ছিল। এবং প্রতিটি পাড়ায়ই ব্যাঙ্গের ছাতার মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল অসংখ্য তাঁত কারখানা। তখন কারখানা গুলোতে বস্ত্র উৎপাদনের কাজ চলতো পুরোদমে। আর সেকালে তাঁত বস্ত্রের উপরই নির্ভর ছিল পুরো রাখাইন পরিবার। সে সময় রাখাইন পরিবারের মধ্যে এমন প্রচলন ছিল যে মেয়েরা হস্তচালিত তাঁত শিল্পের কাজ না জানতো সে মেয়ের বিয়েও হতো না। আজ আর সে প্রচলন নেই রাখাইনদের মধ্যে। তখন তাঁত পরিচালনার কাঁচামালের অভাব ও ছিল খুব বেশি। বার্মা থেকে আনা তাঁতের সুতোসহ সকল কাঁচা মালের খরচ মিটিয়ে যা বিক্রি হতো তাতে অনেক সময় প্রায়ই লোকসান দিতে হতো তাঁতীদের। এমনিভাবে তাঁতীরা এ তাঁতবস্ত্র উৎপাদন করতে গিয়ে সারা বছর ঋণে জর্জরিত হয়ে যায়।
লোকসান গুনতে গুনতে প্রায় নিঃস্ব হয়ে যায় তাঁতীরা। কালক্রমে ঝিমিয়ে পড়ে তালতলীর রাখাইন তাঁত শিল্প। এমনিভাবে রাখাইনদের ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প প্রায় বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। অনেক রাখাইন সমপ্রদায় লোকসান দিতে দিতে তাদের জমি জমা বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার কারণে দেশ ত্যাগ করে মিয়ানমার চলে গেছেন। আর কিছু কিছু রাখাইন পল্লীতে পিতৃপেশা হিসেবে হস্তচালিত তাঁতের কারখানা এখনও চালু রেখেছে। সেই সমস্ত রাখাইন নারী-পুরুষ তাঁতীরা সামনে শীত মওসুমের কারণে ক্রেতাদের চাহিদা মেটানোর জন্য এবং নিজেদের বাড়তি আয়ের আশায় দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে মহাব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বর্তমানে তাঁতের মওসুম না হলেও শীত মওসুমের কারনে বাড়তি আয় হবে মনে করে ঝিমিয়ে পড়া তাঁতীরা আবার সচল হয়ে উঠেছেন। অতিরিক্ত পরিশ্রমেও ক্লান্তিবোধ করছেন না তারা।
রাখাইন সমপ্রদায়ের তাঁত কারখানায় লতা-পাতা, ফুল-ফল ও প্রাণী জগতের কারু কাজে তৈ িতাঁতবস্ত্র তালতলী শহরের অনেক দোকান-পাটে পাওয়া যাচ্ছে। রাখাইনদের তাঁতবস্ত্র ক্রয় করতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে আসেন এখানে। এগুলো সকল সমপ্রদায়রা সৌখিন হিসাবে ক্রয় করে কেউ নিজে ব্যবহার করে আবার কেউ বা উপঢোকন হিসেবে প্রিয়জনকে উপহার দেয়। উপহার দেয় উপরস্থ কাউকে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্যও।
বার্মা থেকে আমদানীকৃত সুতা দিয়ে শীতের চাদর, শার্ট পিস, ব্যাগ, শাড়ি, লুঙ্গি, ও গামছা বুনে তাঁতীরা তাদের হস্তচালিত তাঁতবস্ত্রের উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। রাখাইন তাঁতীদের উৎপাদিত এ সকল বস্ত্রেরই কদর দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের সর্বত্রই রয়েছে। রাখাইনদের হস্তচালিত তাঁতে বিভিন্ন রঙ বেরঙের সুতা দিয়ে তৈরি লতা-পাতা ফুল ও বিভিন্ন কারু কাজে গড়া এ সকল তাঁতবস্ত্র যেন সকলের কাছে প্রিয়। সারা বছর এ সকল বস্ত্রের পুরো চাহিদা না থাকলেও শীত মওসুম, রমজানের ঈদ ও কোরবানিতে ব্যাপক চাহিদা দেখা যায়। আর সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই তাঁতীরা তাঁত কাপড় বুনন কাজে ব্যস্ত। তাদের কর্মব্যস্ততায় সরগরম হয়ে উঠেছে তালতলীর তাঁতীদের রাখাইন পাড়াগুলো। আগাঠাকুর পাড়ার উসিট মং জানান, তালতলীর বড়বগী ইউনিয়নের তালতলী পাড়া, ছাতন পাড়া, মনুখেপাড়া, আগাঠাকুর পাড়া, নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের সওদাগর পাড়া, তালুকদার পাড়া ও সোনাকাটা ইউনিয়নের কবিরাজ পাড়া, নামিষেপাড়া, লাউপাড়া ও অংকুজান পাড়ার রাখাইন পল্লীতে ১২ থেকে ১৪টি করে শতাধিক হস্তচালিত তাঁত রয়েছে। কোন কোন পাড়ায় একই পরিবারে ২-৩টিও তাঁত রয়েছে।
বিংশ শতাব্দীর পূর্বে তালতলীর এ তিনটি ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশত রাখাইন পাড়া ছিল। এবং প্রতিটি পাড়ায়ই ব্যাঙ্গের ছাতার মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল অসংখ্য তাঁত কারখানা। তখন কারখানা গুলোতে বস্ত্র উৎপাদনের কাজ চলতো পুরোদমে। আর সেকালে তাঁত বস্ত্রের উপরই নির্ভর ছিল পুরো রাখাইন পরিবার। সে সময় রাখাইন পরিবারের মধ্যে এমন প্রচলন ছিল যে মেয়েরা হস্তচালিত তাঁত শিল্পের কাজ না জানতো সে মেয়ের বিয়েও হতো না। আজ আর সে প্রচলন নেই রাখাইনদের মধ্যে। তখন তাঁত পরিচালনার কাঁচামালের অভাব ও ছিল খুব বেশি। বার্মা থেকে আনা তাঁতের সুতোসহ সকল কাঁচা মালের খরচ মিটিয়ে যা বিক্রি হতো তাতে অনেক সময় প্রায়ই লোকসান দিতে হতো তাঁতীদের। এমনিভাবে তাঁতীরা এ তাঁতবস্ত্র উৎপাদন করতে গিয়ে সারা বছর ঋণে জর্জরিত হয়ে যায়।
লোকসান গুনতে গুনতে প্রায় নিঃস্ব হয়ে যায় তাঁতীরা। কালক্রমে ঝিমিয়ে পড়ে তালতলীর রাখাইন তাঁত শিল্প। এমনিভাবে রাখাইনদের ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প প্রায় বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। অনেক রাখাইন সমপ্রদায় লোকসান দিতে দিতে তাদের জমি জমা বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার কারণে দেশ ত্যাগ করে মিয়ানমার চলে গেছেন। আর কিছু কিছু রাখাইন পল্লীতে পিতৃপেশা হিসেবে হস্তচালিত তাঁতের কারখানা এখনও চালু রেখেছে। সেই সমস্ত রাখাইন নারী-পুরুষ তাঁতীরা সামনে শীত মওসুমের কারণে ক্রেতাদের চাহিদা মেটানোর জন্য এবং নিজেদের বাড়তি আয়ের আশায় দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে মহাব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বর্তমানে তাঁতের মওসুম না হলেও শীত মওসুমের কারনে বাড়তি আয় হবে মনে করে ঝিমিয়ে পড়া তাঁতীরা আবার সচল হয়ে উঠেছেন। অতিরিক্ত পরিশ্রমেও ক্লান্তিবোধ করছেন না তারা।
রাখাইন সমপ্রদায়ের তাঁত কারখানায় লতা-পাতা, ফুল-ফল ও প্রাণী জগতের কারু কাজে তৈ িতাঁতবস্ত্র তালতলী শহরের অনেক দোকান-পাটে পাওয়া যাচ্ছে। রাখাইনদের তাঁতবস্ত্র ক্রয় করতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে আসেন এখানে। এগুলো সকল সমপ্রদায়রা সৌখিন হিসাবে ক্রয় করে কেউ নিজে ব্যবহার করে আবার কেউ বা উপঢোকন হিসেবে প্রিয়জনকে উপহার দেয়। উপহার দেয় উপরস্থ কাউকে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্যও।
No comments