ছাত্রলীগের খাই খাই দশা- খাওয়ার জন্য ‘ফাউ’, খরচের জন্য চাঁদা!
বিভিন্ন
স্থানে ছাত্রলীগের খাদ্যসংকট দেখা যাচ্ছে। তিতুমীর কলেজ থেকে বুয়েটের
ক্যানটিন—কোথাও যেন তাদের কিনে খাওয়ার অবস্থা নেই। কোথাও বাকির নামে
ফাঁকি আর কোথাও মাগনা ভোজনের দাবি তুলে ছাত্রলীগ তার ‘গৌরবের ঐতিহ্যকে’
যে ধুলায় লুটাচ্ছে, তা কি দেখার কেউ নেই? অনাহারে থেকে থেকে তারা কি এতই
দুর্বল হয়ে গেছে যে রেস্তোরাঁয় মার খেয়ে পালিয়ে এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা
নিরীহ গাড়ি ভাঙচুর করে ঝাল মেটাচ্ছেন।
গত রোববারের প্রথম আলোর দুটি সংবাদই ছাত্রলীগের মর্মান্তিক দুর্দিনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বুয়েটের মতো মর্যাদাবান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়েও, সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদভারে ভারী হয়েও তারা যদি কুখ্যাত চাঁদাবাজদের মতো আচরণ করে, তাহলে লজ্জাই পেতে হয়। এদিকে তিতুমীর কলেজের ছাত্রলীগের দুই নেতা নিকটবর্তী একটি রেস্তোরাঁয় উদরপূর্তির পর বিল পরিশোধ না করায় পিটুনির কবলে পড়েন। যাকে বলে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে, তেমনি করে সেই প্রহারের শোধ নিতে দলবল নিয়ে তাঁরা কলেজের সামনের সড়কে গাড়ি ভাঙচুর চালান। নিজের দোষে অন্যের ক্ষতি করা, তথা রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙচুর করায় তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের কোনো জুড়ি নেই।
ঈদ এলেই দরিদ্র ও পরনির্ভরশীল মানুষেরা জাকাত সংগ্রহ ও দানখয়রাত সংগ্রহে নেমে পড়েন। ছাত্রলীগের মধ্যে এ ধরনের ছাত্রনেতা-কর্মীদের সংখ্যা মনে হয় আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। তাঁরা ঈদের খরচের জন্য যত্রতত্র চাঁদা দাবি করছেন—বুয়েটের ক্যানটিন থেকে চার লাখ টাকা চাঁদা চাওয়া তারই অংশ।
নেতা চাঁদা চান কর্মীদের ঈদ খরচ চালাতে, কর্মী নেতার নামে চাঁদার আবদার নিয়ে আসেন। কিছু হলেই গাড়ি ভাঙচুরের যে রেওয়াজ তথাকথিত ‘বিক্ষুব্ধ’রা চর্চা করেন, ছাত্রলীগ সে ব্যাপারেও এক নম্বরে। ছাত্রলীগকে এই দুরবস্থাজনিত ‘ফাউ’ খাওয়া বা চাঁদাবাজি ও না পেলে ভাঙচুরের ‘দুষ্টুমি’ থেকে উদ্ধার করবে কে?
গত রোববারের প্রথম আলোর দুটি সংবাদই ছাত্রলীগের মর্মান্তিক দুর্দিনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বুয়েটের মতো মর্যাদাবান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়েও, সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদভারে ভারী হয়েও তারা যদি কুখ্যাত চাঁদাবাজদের মতো আচরণ করে, তাহলে লজ্জাই পেতে হয়। এদিকে তিতুমীর কলেজের ছাত্রলীগের দুই নেতা নিকটবর্তী একটি রেস্তোরাঁয় উদরপূর্তির পর বিল পরিশোধ না করায় পিটুনির কবলে পড়েন। যাকে বলে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে, তেমনি করে সেই প্রহারের শোধ নিতে দলবল নিয়ে তাঁরা কলেজের সামনের সড়কে গাড়ি ভাঙচুর চালান। নিজের দোষে অন্যের ক্ষতি করা, তথা রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙচুর করায় তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের কোনো জুড়ি নেই।
ঈদ এলেই দরিদ্র ও পরনির্ভরশীল মানুষেরা জাকাত সংগ্রহ ও দানখয়রাত সংগ্রহে নেমে পড়েন। ছাত্রলীগের মধ্যে এ ধরনের ছাত্রনেতা-কর্মীদের সংখ্যা মনে হয় আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। তাঁরা ঈদের খরচের জন্য যত্রতত্র চাঁদা দাবি করছেন—বুয়েটের ক্যানটিন থেকে চার লাখ টাকা চাঁদা চাওয়া তারই অংশ।
নেতা চাঁদা চান কর্মীদের ঈদ খরচ চালাতে, কর্মী নেতার নামে চাঁদার আবদার নিয়ে আসেন। কিছু হলেই গাড়ি ভাঙচুরের যে রেওয়াজ তথাকথিত ‘বিক্ষুব্ধ’রা চর্চা করেন, ছাত্রলীগ সে ব্যাপারেও এক নম্বরে। ছাত্রলীগকে এই দুরবস্থাজনিত ‘ফাউ’ খাওয়া বা চাঁদাবাজি ও না পেলে ভাঙচুরের ‘দুষ্টুমি’ থেকে উদ্ধার করবে কে?
‘ফাউ’ খেতে গিয়ে গতকাল মারধরের শিকার হন তিতুমীর কলেজের ছাত্রলীগের দুই কর্মী। এর জের ধরে তাঁদের তাণ্ডব প্রতিরোধে রাস্তায় নামেন ব্যবসায়ীরা। কলেজের সামনে পুলিশি পাহারা (ইনসেটে) l ছবি: প্রথম আলো |
No comments