ওয়ানডের শুরুতেও সেই অসহায় বাংলাদেশ
ডু প্লেসি-রুশো শেষ করে দিলেন ম্যাচ। মাশরাফিকে মুখ ভার করে জানাতেই হলো অভিনন্দন। ছবি: শামসুল হক |
মুস্তাফিজের
প্রথম বলটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেই কুইন্টন ডি কক হাত দিয়ে কী যেন
বোঝালেন আমলাকে। যার অর্থ হতে পারে, ‘মুস্তাফিজকে সমীহ করে খেলতে হবে।’
তেড়েফুঁড়ে খেলার কী দরকার! এ তরিকা মেনেই আজ প্রথম ওয়ানডেতে মাত্র ২ উইকেট
হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
মুস্তাফিজের প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ৯ রান। কেবল মুস্তাফিজ কেন, বাংলাদেশের প্রায় সব বোলারকেই খুব সাবধানে সামলাল দক্ষিণ আফ্রিকা। কোনো তাড়াহুড়া নেই, ঝুঁকি নেই। ধীর-লয়ে ১৬১ রানের লক্ষ্যটা পেরিয়ে গেল ৫৩ বল হাতে রেখে। ১৬০ রানের পুঁজি নিয়ে আর যা-ই হোক, লড়াই করা যায় না।
মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ বানিয়ে ১৪ রান করা প্রোটিয়া অধিনায়ক আমলাকে ফিরিয়ে খানিকটা আনন্দের উপলক্ষে এনে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে এমন আনন্দের উপলক্ষে ঘরের মাঠের দর্শকেরা খুব একটা পেলেন না। ৩৫ রান করা কুইন্টন ডি কককে ফিরিয়ে যা একটু হাসি এনে দিলেন সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ বোলার হয়ে ওঠা নাসির হোসেন। ব্যস, ওই পর্যন্তই। ম্যাচের বাকি গল্পটা কেবলই হতাশার। টি-টোয়েন্টিতে নিদারুণ ব্যর্থতার পর ওয়ানডেতেও বাংলাদেশের সেই অসহায় চেহারা। অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯৯ রান তুলে ম্যাচের পর্দা নামিয়ে দিলেন ফ্যাফ ডু প্লেসি ও রাইলি রুশো। ডু প্লেসি ৬৩ ও রুশো ৪৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
অথচ এ সংস্করণেই গত কয়েক মাস বাংলাদেশকে দেখা গিয়েছিল অন্য চেহারায়। বাংলাদেশ মেতেছিল একের পর এক জয়োৎসবে। প্রতিপক্ষ শিবির তখন হতাশাগ্রস্ত। দৃশ্যপট কেন এত দ্রুত বদলে গেল লাল-সবুজের দলের, সেটিই এখন প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে, টানা ক্রিকেটের ধকল কি নিতে পারছে না দল? সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কিংবা আশঙ্কাই বলা ভালো, টানা চারটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ হেরে আত্মবিশ্বাস তলানিতে গিয়ে ঠেকছে না তো মাশরাফিদের!
তবে আপাতত দিনের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—ভেজা কন্ডিশন, দুদিন কাভারে ঢাকা উইকেটেও কেন টসে জিতে ব্যাটিং নিলেন মাশরাফি? বাংলাদেশের এমন সিদ্ধান্তের ফায়দা নিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অভিষিক্ত পেসার রাবাদা। রাবাদার ঔজ্জ্বল্য ছড়ানো অভিষেকে বাংলাদেশ ডুবে গেল আঁধারে!
আট ব্যাটসম্যান খেলিয়েও ৪০ ওভারে নেমে আসা ম্যাচের পুরোটাও খেলতে পারল না মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ২১ বল আগেই অলআউট। সর্বোচ্চ ৪৮ করেছেন সাকিব আল হাসান। দলের ব্যর্থতার দিনে অবশ্য বাঁহাতি অলরাউন্ডার করেছেন একটি রেকর্ড। মিরপুরে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে করেছেন দুই হাজার রান। তবে দলীয় ব্যর্থতায় এসব ব্যক্তিগত সাফল্যের কীই বা মূল্য!
এক সময় তো মনে হচ্ছিল, ১৫০-ই বুঝি হবে না। বাংলাদেশের ইনিংস ১৫০ পেরিয়েছে মূলত আটে নামা নাসিরের সৌজন্যে। করেছেন ৩১ রান। এ ছাড়া সৌম্যের ব্যাট থেকে এসেছে ২৭ আর মুশফিক করেছেন ২৪ রান। বাংলাদেশের সাত ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। এর মধ্যে চারজনের নামের পাশে মূল্য। মুস্তাফিজ অবশ্য ছিলেন নটআউট। আউটের ধরনও বলে দিচ্ছে প্রোটিয়া বোলারদের তোপে কতটা অসহায় ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। চারজন হয়েছেন বোল্ড, দুজন এলবিডব্লু। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের লাইনই বুঝতে পারেননি বেশির ভাগ ব্যাটসম্যান।
অবশ্য বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে কিন্তু রাবাদার কৃতিত্ব খাটো করা ঠিক হবে না। ২০ বছর বয়সী এ তরুণ পেসার বেশির ভাগ উইকেট তুলে নিয়েছেন দারুণ সব ডেলিভারিতে। ওয়ানডে অভিষেকে দুই বিশ্ব রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন। অভিষেকে হ্যাটট্রিক করা দ্বিতীয় বোলার। আর অভিষেকে সেরা বোলিংয়ের নতুন রেকর্ড।
এমন ব্যর্থ দিনের পর বাংলাদেশ নিশ্চয় দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে রাবাদাকে নিয়ে নিশ্চয় ভালো করেই হোমওয়ার্ক করবে বাংলাদেশ। নিজেদের ভুলগুলো শুধরে আগের চেহারায় ফিরবে। আত্মবিশ্বাস আর ছন্দ ফিরে পাওয়াটাই সবচেয়ে জরুরি।
মুস্তাফিজের প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ৯ রান। কেবল মুস্তাফিজ কেন, বাংলাদেশের প্রায় সব বোলারকেই খুব সাবধানে সামলাল দক্ষিণ আফ্রিকা। কোনো তাড়াহুড়া নেই, ঝুঁকি নেই। ধীর-লয়ে ১৬১ রানের লক্ষ্যটা পেরিয়ে গেল ৫৩ বল হাতে রেখে। ১৬০ রানের পুঁজি নিয়ে আর যা-ই হোক, লড়াই করা যায় না।
মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ বানিয়ে ১৪ রান করা প্রোটিয়া অধিনায়ক আমলাকে ফিরিয়ে খানিকটা আনন্দের উপলক্ষে এনে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে এমন আনন্দের উপলক্ষে ঘরের মাঠের দর্শকেরা খুব একটা পেলেন না। ৩৫ রান করা কুইন্টন ডি কককে ফিরিয়ে যা একটু হাসি এনে দিলেন সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ বোলার হয়ে ওঠা নাসির হোসেন। ব্যস, ওই পর্যন্তই। ম্যাচের বাকি গল্পটা কেবলই হতাশার। টি-টোয়েন্টিতে নিদারুণ ব্যর্থতার পর ওয়ানডেতেও বাংলাদেশের সেই অসহায় চেহারা। অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯৯ রান তুলে ম্যাচের পর্দা নামিয়ে দিলেন ফ্যাফ ডু প্লেসি ও রাইলি রুশো। ডু প্লেসি ৬৩ ও রুশো ৪৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
অথচ এ সংস্করণেই গত কয়েক মাস বাংলাদেশকে দেখা গিয়েছিল অন্য চেহারায়। বাংলাদেশ মেতেছিল একের পর এক জয়োৎসবে। প্রতিপক্ষ শিবির তখন হতাশাগ্রস্ত। দৃশ্যপট কেন এত দ্রুত বদলে গেল লাল-সবুজের দলের, সেটিই এখন প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে, টানা ক্রিকেটের ধকল কি নিতে পারছে না দল? সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কিংবা আশঙ্কাই বলা ভালো, টানা চারটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ হেরে আত্মবিশ্বাস তলানিতে গিয়ে ঠেকছে না তো মাশরাফিদের!
তবে আপাতত দিনের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—ভেজা কন্ডিশন, দুদিন কাভারে ঢাকা উইকেটেও কেন টসে জিতে ব্যাটিং নিলেন মাশরাফি? বাংলাদেশের এমন সিদ্ধান্তের ফায়দা নিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অভিষিক্ত পেসার রাবাদা। রাবাদার ঔজ্জ্বল্য ছড়ানো অভিষেকে বাংলাদেশ ডুবে গেল আঁধারে!
আট ব্যাটসম্যান খেলিয়েও ৪০ ওভারে নেমে আসা ম্যাচের পুরোটাও খেলতে পারল না মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ২১ বল আগেই অলআউট। সর্বোচ্চ ৪৮ করেছেন সাকিব আল হাসান। দলের ব্যর্থতার দিনে অবশ্য বাঁহাতি অলরাউন্ডার করেছেন একটি রেকর্ড। মিরপুরে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে করেছেন দুই হাজার রান। তবে দলীয় ব্যর্থতায় এসব ব্যক্তিগত সাফল্যের কীই বা মূল্য!
এক সময় তো মনে হচ্ছিল, ১৫০-ই বুঝি হবে না। বাংলাদেশের ইনিংস ১৫০ পেরিয়েছে মূলত আটে নামা নাসিরের সৌজন্যে। করেছেন ৩১ রান। এ ছাড়া সৌম্যের ব্যাট থেকে এসেছে ২৭ আর মুশফিক করেছেন ২৪ রান। বাংলাদেশের সাত ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। এর মধ্যে চারজনের নামের পাশে মূল্য। মুস্তাফিজ অবশ্য ছিলেন নটআউট। আউটের ধরনও বলে দিচ্ছে প্রোটিয়া বোলারদের তোপে কতটা অসহায় ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। চারজন হয়েছেন বোল্ড, দুজন এলবিডব্লু। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের লাইনই বুঝতে পারেননি বেশির ভাগ ব্যাটসম্যান।
অবশ্য বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে কিন্তু রাবাদার কৃতিত্ব খাটো করা ঠিক হবে না। ২০ বছর বয়সী এ তরুণ পেসার বেশির ভাগ উইকেট তুলে নিয়েছেন দারুণ সব ডেলিভারিতে। ওয়ানডে অভিষেকে দুই বিশ্ব রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন। অভিষেকে হ্যাটট্রিক করা দ্বিতীয় বোলার। আর অভিষেকে সেরা বোলিংয়ের নতুন রেকর্ড।
এমন ব্যর্থ দিনের পর বাংলাদেশ নিশ্চয় দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে রাবাদাকে নিয়ে নিশ্চয় ভালো করেই হোমওয়ার্ক করবে বাংলাদেশ। নিজেদের ভুলগুলো শুধরে আগের চেহারায় ফিরবে। আত্মবিশ্বাস আর ছন্দ ফিরে পাওয়াটাই সবচেয়ে জরুরি।
No comments