স্বপ্ন থেকে বাস্তবে by ইশতিয়াক পারভেজ
সহজেই
বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল দক্ষিণ
আফ্রিকা। পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ ও ভারতকে সিরিজ হারিয়ে আকাশে স্বপ্নের
আকাশে উড়ছিল টাইগাররা। কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগারদের হোয়াইটওয়াশ করে
প্রোটিয়ারা সেই স্বপ্নের আকাশ থেকে ফিরিয়ে আনে ক্রিকেটের রুঢ় বাস্তবতায়।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশ ছুড়ে দিয়েছিল ১৬১
রানের সহজ টার্গেট। এই স্বল্প পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশের বোলারদের প্রতিরোধ
লড়াইয়ের তেমন কিছুই ছিল না, প্রোটিয়াদের দারুণ ব্যাটিংয়ের সামনে। তবুও তারা
প্রোটিয়াদের জয় আটকে রেখেছিল ৩১.১ ওভার পর্যন্ত। আগের দিনই প্রোটিয়া
অধিনায়ক হাশিম আমলা বলেছিলেন, ‘আমরা এই কন্ডিশন ও উইকেটে জয় পেতে সক্ষম।’
দলের ব্যাটসম্যান ও বোলাররা অধিনায়কের হুংকার মিথ্যা প্রমাণ হতে দেননি।
শুরুতেই অভিষিক্ত তরুণ পেসার ক্যাবিসো রাবাদা হ্যাট্রিক সহ ৬ উইকেট তুলে
নিয়ে গুড়িয়ে দেন দেয় টাইগারদের ব্যাটিং লাইন আপ। সেই সঙ্গে প্রবেশ করে
ওয়ানডে ইতিহাসের বিরল রেকের্ডের পাতায়ও। স্বাভাবিক ভাবেই ম্যাচ সেরাও হন
তিনি। জাবাব দিতে নেমে দুটি উইকেট হারালেও ফ্যাফ দা ডু প্লেসির ১৬তম ওয়ানডে
ফিফটিতে ভর করে পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে প্রোটিয়া। এটি দক্ষিণ আফ্রিকার
বিপক্ষে টাইগারদের ১৪তম হার।
১৬১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম উইকেট হারিয়েছিল মাত্র ২২ রানে। প্রোটিয়া অধিনায়ক হাশিম আমলাকে ড্রেসিং রুমের পথ দেখিয়ে লড়াইয়ের আশা দেখান টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। আমলা ১৪ রানের সময় মাশরাফির বল মারতে গেলে সেটি শর্ট ফাইন লেগে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ হয়ে ধরা পড়েন। এরপর ফ্যাফ এসে দলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। সঙ্গে ওপেনার ডি কক কে নিয়ে এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৩ রানের জুটিও গড়ে তোলেন তারা। কিন্তু ৪১ বলে ৩৫ রান করা ডি কককে কভারে সাব্বির রহমানের ক্যাচ বানিয়ে আবারও লড়াইয়ে ফেরার পথ দেখান অফ স্পিনার নাসির হোসেন। কিন্তু সেখানেই শেষ হয়ে যায় বোলারদের প্রতিরোধ। ফ্যাফ ব্যাট হাতে রুশুর সঙ্গে দলকে পৌঁছে দিতে থাকেন জয়ের বন্দরের দিকে। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ৯৯ রানের জুটি গড়ে প্রথম ওয়ানডেতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন এই দু’জন। ফ্যাফ ৭৫ বলে ৭টি চারের মারে করে ৬৩ রান। এছাড়াও রুশু ৫৩ বলে ৫টি চার ও একটি ছয়ের মারে করেন ৪৫ রান। মূলত টাইগারদের সল্প পুঁজির বিপক্ষে দুই উইকেট পতনের পর তাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের কাছে বোলাররা ছিলেন রীতিমত অসহায়।
অন্যদিকে বাংলাদেশের ব্যর্থতার শুরুটা হয়েছিল ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে। বাংলাওয়াশের স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমে ওয়ানডেতে টানা ১০ ম্যাচ জয়ের পর শুরু হয় পরাজয়ের যাত্রা। ভারতের দেয়া ৩১৭ টার্গেট তাড়া করতে নেমে টাইগাররা শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং ব্যর্থতায় আউট হয়েছিল ২৪০ রানে। গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাটিং সাফল্যে গ্রাফটাও নিচের দিকে ধাবিত হয়। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারায় মাত্র ১৬০ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যর্থতা কাটানোর উচ্চাবিলাস ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন উল্টো পথে হাটা শুরু করেছেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যাটিং ব্যর্থতার অযুহাত ছিল এই ফরমেটে কম খেলা। কিন্তু নিজেদের সাফল্যের সেরা ফরমেট ওয়ানডেতে সেই পুরানো দিনেই ফিরে গেল বাংলাদেশ। গতকাল সিরিজের প্রথম ওয়ানডে বৃষ্টি বাঁধায় শুরু হয় কার্টেল ওভারে। বিকেল তিনটার পরিবর্তে শেষ পর্যন্ত ৫.৪০ মিনিটে ৪০ ওভারের ম্যাচ নির্ধারিত হয়েছিল। দলের প্রথম ১৭ রানেই ক্যাবিসো রাবাদার অভিষেক হ্যাটট্রিকে খেই হারায় মাশরাফি বাহিনী। তামিম ইকবাল, লিটন দাস ও মাহমুদুল্লাহ তিন বলে ফিরেন যান ০ রানের অবদান রেখে। ৪০ রানে চতুর্থ ও ১২০ রানে ৭ম উইকেটে হারায় টাইগাররা। শেষ মুহুর্তে নাসির হোসেনের মান বাঁচানো ৩১ রান শেষ অরেকটি সর্বানিম্ন রানের লজ্জা থেকে রক্ষা করে। কিন্তু অভিষেকেই মাত্র ১৬ রানে হ্যাট্রিক সহ ৬টি উইকেট নিয়ে ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা বোলিং করেন রাবাদা।
প্রথম স্পেলে রাবাদা ৫ ওভার বল করে ১৪ রান খরচ করে নেন ৪টি উইকেট। পরের স্পেলে ফিরে আরও তিন ওভার বল করে মাত্র ২ রান দিয়ে আরও দুটি উইকেট তুলে নেন। বাংলাদেশর পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন সাকিব আল হাসান। ১৩৩ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর নাসির হোসেনের ৪৪ বলে করা ৩১ রান করেন। এমনকি বাংলাদেশের ইনিংসে একমাত্র ছয়ের মারটিও আসে তার ব্যাট থেকে। এছাড়াও ওপেনার সৌম্য সরকার ২৭ ও মুশফিকুর রহীম করেন ২৪ রান। বাকিরা রান পেলেও পৌঁছাতে পরেননি দুই অংকে।
১৬১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম উইকেট হারিয়েছিল মাত্র ২২ রানে। প্রোটিয়া অধিনায়ক হাশিম আমলাকে ড্রেসিং রুমের পথ দেখিয়ে লড়াইয়ের আশা দেখান টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। আমলা ১৪ রানের সময় মাশরাফির বল মারতে গেলে সেটি শর্ট ফাইন লেগে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ হয়ে ধরা পড়েন। এরপর ফ্যাফ এসে দলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। সঙ্গে ওপেনার ডি কক কে নিয়ে এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৩ রানের জুটিও গড়ে তোলেন তারা। কিন্তু ৪১ বলে ৩৫ রান করা ডি কককে কভারে সাব্বির রহমানের ক্যাচ বানিয়ে আবারও লড়াইয়ে ফেরার পথ দেখান অফ স্পিনার নাসির হোসেন। কিন্তু সেখানেই শেষ হয়ে যায় বোলারদের প্রতিরোধ। ফ্যাফ ব্যাট হাতে রুশুর সঙ্গে দলকে পৌঁছে দিতে থাকেন জয়ের বন্দরের দিকে। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ৯৯ রানের জুটি গড়ে প্রথম ওয়ানডেতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন এই দু’জন। ফ্যাফ ৭৫ বলে ৭টি চারের মারে করে ৬৩ রান। এছাড়াও রুশু ৫৩ বলে ৫টি চার ও একটি ছয়ের মারে করেন ৪৫ রান। মূলত টাইগারদের সল্প পুঁজির বিপক্ষে দুই উইকেট পতনের পর তাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের কাছে বোলাররা ছিলেন রীতিমত অসহায়।
অন্যদিকে বাংলাদেশের ব্যর্থতার শুরুটা হয়েছিল ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে। বাংলাওয়াশের স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমে ওয়ানডেতে টানা ১০ ম্যাচ জয়ের পর শুরু হয় পরাজয়ের যাত্রা। ভারতের দেয়া ৩১৭ টার্গেট তাড়া করতে নেমে টাইগাররা শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং ব্যর্থতায় আউট হয়েছিল ২৪০ রানে। গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাটিং সাফল্যে গ্রাফটাও নিচের দিকে ধাবিত হয়। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারায় মাত্র ১৬০ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যর্থতা কাটানোর উচ্চাবিলাস ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন উল্টো পথে হাটা শুরু করেছেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যাটিং ব্যর্থতার অযুহাত ছিল এই ফরমেটে কম খেলা। কিন্তু নিজেদের সাফল্যের সেরা ফরমেট ওয়ানডেতে সেই পুরানো দিনেই ফিরে গেল বাংলাদেশ। গতকাল সিরিজের প্রথম ওয়ানডে বৃষ্টি বাঁধায় শুরু হয় কার্টেল ওভারে। বিকেল তিনটার পরিবর্তে শেষ পর্যন্ত ৫.৪০ মিনিটে ৪০ ওভারের ম্যাচ নির্ধারিত হয়েছিল। দলের প্রথম ১৭ রানেই ক্যাবিসো রাবাদার অভিষেক হ্যাটট্রিকে খেই হারায় মাশরাফি বাহিনী। তামিম ইকবাল, লিটন দাস ও মাহমুদুল্লাহ তিন বলে ফিরেন যান ০ রানের অবদান রেখে। ৪০ রানে চতুর্থ ও ১২০ রানে ৭ম উইকেটে হারায় টাইগাররা। শেষ মুহুর্তে নাসির হোসেনের মান বাঁচানো ৩১ রান শেষ অরেকটি সর্বানিম্ন রানের লজ্জা থেকে রক্ষা করে। কিন্তু অভিষেকেই মাত্র ১৬ রানে হ্যাট্রিক সহ ৬টি উইকেট নিয়ে ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা বোলিং করেন রাবাদা।
প্রথম স্পেলে রাবাদা ৫ ওভার বল করে ১৪ রান খরচ করে নেন ৪টি উইকেট। পরের স্পেলে ফিরে আরও তিন ওভার বল করে মাত্র ২ রান দিয়ে আরও দুটি উইকেট তুলে নেন। বাংলাদেশর পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন সাকিব আল হাসান। ১৩৩ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর নাসির হোসেনের ৪৪ বলে করা ৩১ রান করেন। এমনকি বাংলাদেশের ইনিংসে একমাত্র ছয়ের মারটিও আসে তার ব্যাট থেকে। এছাড়াও ওপেনার সৌম্য সরকার ২৭ ও মুশফিকুর রহীম করেন ২৪ রান। বাকিরা রান পেলেও পৌঁছাতে পরেননি দুই অংকে।
No comments