কে এই ‘ত্রাস’? by ফেরদৌস রহমান
প্রথম শিকার। উড়ে গেল তামিমের স্টাম্প! ছবি: শামসুল হক |
ওয়ানডে
অভিষেকে ৫ উইকেট? এমন নয় যে ক্রিকেট বিশ্ব আগে দেখেনি। অভিষেকে
হ্যাটট্রিক, সেটাও তাইজুল দেখিয়ে দিয়েছেন গত জিম্বাবুয়ে সিরিজেই। কিন্তু
অভিষেকেই হ্যাটট্রিকসহ ৫ উইকেট নেওয়া। কিংবা আরও নির্দিষ্ট করে বললেন ৬
উইকেট, না, এমনটা দেখেনি কখনো ক্রিকেট বিশ্ব। এক দিনেই দুটো বিশ্ব রেকর্ড
গড়ে যাঁর যাত্রা শুরু, ক্রিকেট বিশ্ব নড়েচড়ে বসতে বাধ্য—কে এই কাগিসো
রাবাদা?
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এটা তাঁর প্রথম নয়। চারটি টি-টোয়েন্টি আগেও খেলেছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষেও প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ছিলেন। দুটো উইকেটও নিয়েছিলেন। কিন্তু তেমন করে চোখে পড়েনি। এবার পড়লেন ভালোমতোই। সবটুকু আলো কেড়ে নিয়ে। সেদিন ৩ ওভারেই ২৮ রান দেওয়া রাবাদা যে এবার ওয়ানডে অভিষেকে ৮ ওভারে দিলেন মাত্র ১৬ রান, সঙ্গে ৬ উইকেট।
আগমনবার্তা জানিয়েছে গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেই। মাত্র ৩.১৩ ইকোনমি রেট আর ১৪ উইকেট নিয়ে দলকে জিতিয়েছেন বিশ্বকাপ। এই পারফরম্যান্সেই জাতীয় দলে দ্বার খুলে দিয়েছে রাবাদার সামনে।
জোহানেসবার্গে বেড়ে ওঠা এ তরুণের শুরু সেইন্ট স্টিথিয়ান বয়েজ কলেজের হয়ে। শুরুতে নিজের পছন্দ ছিল রাগবি। কিন্তু কোচের জহুরি চোখ ঠিকই তাঁকে ক্রিকেট মাঠে পাঠিয়ে দেয়। তারপর বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলের সিঁড়ি বেয়ে এখন হাইভেল্ড লায়নস দলের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেন রাবাদা। লায়নদের সিংহ-শাবক হয়ে ওঠার সময় মাত্রই স্কুল ছেড়েছেন কি ছাড়েননি। তখনই পেশাদার ক্রিকেটে পা!
গত ডিসেম্বরেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছে। প্রথম ম্যাচে ৩ ওভারে ২৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। পরের তিনটি টি-টোয়েন্টিতেও দেদার রান দিলেন। মাত্র তিন উইকেট, গড় ৪০-এর কাছাকাছি। ইকোনমি রেট নয়ের ওপর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বড় কঠিন জায়গাই হয়তো মনে হচ্ছিল তাঁর। হঠাৎ করেই যেন সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট রাবাদার কাছে হাজির হলো সহজতম পাঠ হয়ে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথন শ্রেণির ক্রিকেটে একাই একবার প্রতিপক্ষকে ধসিয়ে দিয়েছিলেন ইনিংসে ৩৩ রানে ৯ উইকেট নিয়ে। বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটেও নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট দলেও আছেন। ওয়ানডে সিরিজে ভালো করলে কে জানে, টেস্ট অভিষেকটাও হয়ে যেতে পারে।
এর আগে অবশ্য ঘরোয়া ওয়ানডেতেও কখনো ম্যাচে ৫ উইকেট পাননি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই সেই অতৃপ্তি ঘোচালেন। নিজের ব্যক্তিগত নায়ক ডেল স্টেইন। তাঁর মতোই গতি। সঙ্গে নিখুঁত লাইন, লেংথ। বাড়তি অস্ত্র হিসেবে আছে সুইংও। ভবিষ্যতে কি হবে সেটা পরেই দেখা যাবে। কিন্তু ওয়ানডে অভিষেকে নিজের নায়ককে ছাড়িয়ে গেছেন। ছাড়িয়ে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের সবার নায়ক অ্যালান ডোনাল্ডকেও।
ভালো কথা। ক্রিকেট জড়িয়ে গেছেন বলেই কিন্তু নিজের পড়াশোনার কথা ভুলে যাননি রাবাদা। নিজেকে শুধুমাত্র ক্রিকেটার পরিচয়ে আটকে রাখতে চান না। আইনের ওপর পড়াশোনা করে একটা ডিগ্রিও নিতে চান। ‘রাবাদা’ ব্রাজিলিয়ান একটা খাবারের নাম। তবে অভিষেকেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, খাবার হতে নয়, ব্যাটসম্যানদের খাবার বানাতেই এসেছেন!
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এটা তাঁর প্রথম নয়। চারটি টি-টোয়েন্টি আগেও খেলেছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষেও প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ছিলেন। দুটো উইকেটও নিয়েছিলেন। কিন্তু তেমন করে চোখে পড়েনি। এবার পড়লেন ভালোমতোই। সবটুকু আলো কেড়ে নিয়ে। সেদিন ৩ ওভারেই ২৮ রান দেওয়া রাবাদা যে এবার ওয়ানডে অভিষেকে ৮ ওভারে দিলেন মাত্র ১৬ রান, সঙ্গে ৬ উইকেট।
আগমনবার্তা জানিয়েছে গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেই। মাত্র ৩.১৩ ইকোনমি রেট আর ১৪ উইকেট নিয়ে দলকে জিতিয়েছেন বিশ্বকাপ। এই পারফরম্যান্সেই জাতীয় দলে দ্বার খুলে দিয়েছে রাবাদার সামনে।
জোহানেসবার্গে বেড়ে ওঠা এ তরুণের শুরু সেইন্ট স্টিথিয়ান বয়েজ কলেজের হয়ে। শুরুতে নিজের পছন্দ ছিল রাগবি। কিন্তু কোচের জহুরি চোখ ঠিকই তাঁকে ক্রিকেট মাঠে পাঠিয়ে দেয়। তারপর বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলের সিঁড়ি বেয়ে এখন হাইভেল্ড লায়নস দলের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেন রাবাদা। লায়নদের সিংহ-শাবক হয়ে ওঠার সময় মাত্রই স্কুল ছেড়েছেন কি ছাড়েননি। তখনই পেশাদার ক্রিকেটে পা!
গত ডিসেম্বরেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছে। প্রথম ম্যাচে ৩ ওভারে ২৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। পরের তিনটি টি-টোয়েন্টিতেও দেদার রান দিলেন। মাত্র তিন উইকেট, গড় ৪০-এর কাছাকাছি। ইকোনমি রেট নয়ের ওপর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বড় কঠিন জায়গাই হয়তো মনে হচ্ছিল তাঁর। হঠাৎ করেই যেন সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট রাবাদার কাছে হাজির হলো সহজতম পাঠ হয়ে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথন শ্রেণির ক্রিকেটে একাই একবার প্রতিপক্ষকে ধসিয়ে দিয়েছিলেন ইনিংসে ৩৩ রানে ৯ উইকেট নিয়ে। বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটেও নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট দলেও আছেন। ওয়ানডে সিরিজে ভালো করলে কে জানে, টেস্ট অভিষেকটাও হয়ে যেতে পারে।
এর আগে অবশ্য ঘরোয়া ওয়ানডেতেও কখনো ম্যাচে ৫ উইকেট পাননি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই সেই অতৃপ্তি ঘোচালেন। নিজের ব্যক্তিগত নায়ক ডেল স্টেইন। তাঁর মতোই গতি। সঙ্গে নিখুঁত লাইন, লেংথ। বাড়তি অস্ত্র হিসেবে আছে সুইংও। ভবিষ্যতে কি হবে সেটা পরেই দেখা যাবে। কিন্তু ওয়ানডে অভিষেকে নিজের নায়ককে ছাড়িয়ে গেছেন। ছাড়িয়ে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের সবার নায়ক অ্যালান ডোনাল্ডকেও।
ভালো কথা। ক্রিকেট জড়িয়ে গেছেন বলেই কিন্তু নিজের পড়াশোনার কথা ভুলে যাননি রাবাদা। নিজেকে শুধুমাত্র ক্রিকেটার পরিচয়ে আটকে রাখতে চান না। আইনের ওপর পড়াশোনা করে একটা ডিগ্রিও নিতে চান। ‘রাবাদা’ ব্রাজিলিয়ান একটা খাবারের নাম। তবে অভিষেকেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, খাবার হতে নয়, ব্যাটসম্যানদের খাবার বানাতেই এসেছেন!
No comments