সাংবাদিক সায়েম হত্যাকাণ্ড: আগে থেকেই অবস্থান করছিল খুনি
সাংবাদিক সায়েম |
সাংবাদিক
সায়েম খুনের মামলায় গ্রেপ্তার রাজিব সরকার ঘটনার এক সপ্তাহ আগে থেকে
এলাকায় অবস্থান করছিল। সে সায়েমের চলাফেরার ওপর নজরদারি করছিল। সায়েমের
বাবা বাউল তরিকার হওয়ায় রাজিবও বাউলের বেশ ধরে লাল সালু পরে এলাকায়
ঘোরাফেরা করতে থাকে।
এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন জানান, ঘটনার দুই দিন আগে সায়েমদের বাড়িতে যায় রাজিব। অসহায় ভেবে সায়েমের মা তাঁকে নিজ হাতে খেতে দেন। ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকেও একবার দোতলায় উঠেছিল রাজিব। ওই সময় সায়েমের স্ত্রী বকা দিলে সে নেমে যায়। সায়েমের মা আমেনা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘যারে দুই দিন আগে যত্ন করে খাওয়ালাম, সেই শেষ পইযন্ত কলজেতে ছুরি ঢুকাইলো।’
গতকাল দুপুরে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন সায়েমের স্ত্রী আফরোজা খাতুন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, মৃত্যুর আগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সায়েম তাঁকে খুনের পরিকল্পনাকারীর পরিচয় ও কারণ বলে গেছেন। সেই এজাহারের উদ্ধৃতি দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জীবননগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লুৎফুল কবীর বলেন, এজাহারে উল্লিখিত অভিযোগ ও অভিযুক্তের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু হয়েছে। এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া রাজিব আহম্মেদ ওরফে রাজিব সরকারকে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে নিতে আজ শুক্রবার আদালতে আবেদন করা হবে।
পেয়ারাতলা গ্রামের বাড়ির দোতলায় ডাইনিং রুমে গিয়ে দেখা যায়, মেঝেতে ও দেয়ালে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। এখানেই মঙ্গলবার রাতে ঘাতকের ছুরিকাঘাতে ক্ষতবিক্ষত হন সাংবাদিক সায়েম। দোতলায় ডাইনিং স্পেস ছাড়া দুটি কক্ষ ও একটি বাথরুম রয়েছে। ঘটনার রাতে দক্ষিণ প্রান্তের কক্ষে সায়েম, তাঁর স্ত্রী আফরোজা খাতুন ও ছোট ছেলে রনক শুয়ে ছিলেন। উত্তর প্রান্তের কক্ষটি ছিল ফাঁকা।
আফরোজা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনার দিন রাত ১১টার দিকে আমি বাথরুমে যাই। বাথরুম থেকে বের হয়েই বুকে বালিশ ও ছুরি হাতে একজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিই। চিৎকার শুনে সায়েম ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। সঙ্গে সঙ্গে সায়েমকে মেঝেতে ফেলে দিয়ে বুকের ওপর ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকে ওই ব্যক্তি। আমাদের দুজনের চিৎকার শুনে নিচ থেকে শ্বশুরসহ বাড়ির অন্যরা ছুটে আসেন।’
নিহত সায়েমের বাবা আবুল খায়ের ওরফে বাচ্চু মোল্লা জানান, দোতলায় উঠে তিনি ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেন এবং ঘাতককে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এ সময় ঘাতক দোতলা থেকে দ্রুত ঝাঁপ দিয়ে সিঁড়ি এবং সিঁড়ি থেকে নিচে চলে যায়। যাবার আগে তাঁর (বাচ্চু মোল্লার) বাঁ কপালেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে।
নিহত সাংবাদিকের ভগ্নিপতি সাইফুল ইসলাম জানান, দোতলা বাড়ির ছাদের ময়লা পরিষ্কারের জন্য বাঁশের তৈরি মই সিঁড়িঘরের সঙ্গে ভেড়ানো ছিল। ওই মই বেয়েই ঘাতক দোতলায় উঠে নৃশংসতা চালায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সায়েমের কয়েকজন নিকটাত্মীয় প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার রাজিব ভাড়াটে খুনি। পেছনে অনেক রাঘববোয়াল রয়েছে। খুনের আগে মোটরসাইকেলে করে খুনিকে বাড়ির পাশে নামিয়ে দিয়ে যাওয়া হয়।
সায়েমের পরিবারের ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র জানায়, সায়েমের পারিবারিক ধানচালের ব্যবসা ছাড়াও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে। সম্প্রতি তিনি ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ জন্য এক রাজনৈতিক নেতাকে কয়েক লাখ টাকাও দিয়েছিলেন। ঋণ মঞ্জুর না হওয়ায় ওই নেতার কাছ থেকে টাকা ফেরত চাইছিলেন। কিন্তু তিনি দিতে না চাওয়ায় মন-কষাকষি চলছিল। তদন্তকালে এ বিষয়টিও ভেবে দেখা দরকার বলে অনেকেই মনে করেন।
এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন জানান, ঘটনার দুই দিন আগে সায়েমদের বাড়িতে যায় রাজিব। অসহায় ভেবে সায়েমের মা তাঁকে নিজ হাতে খেতে দেন। ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকেও একবার দোতলায় উঠেছিল রাজিব। ওই সময় সায়েমের স্ত্রী বকা দিলে সে নেমে যায়। সায়েমের মা আমেনা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘যারে দুই দিন আগে যত্ন করে খাওয়ালাম, সেই শেষ পইযন্ত কলজেতে ছুরি ঢুকাইলো।’
গতকাল দুপুরে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন সায়েমের স্ত্রী আফরোজা খাতুন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, মৃত্যুর আগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সায়েম তাঁকে খুনের পরিকল্পনাকারীর পরিচয় ও কারণ বলে গেছেন। সেই এজাহারের উদ্ধৃতি দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জীবননগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লুৎফুল কবীর বলেন, এজাহারে উল্লিখিত অভিযোগ ও অভিযুক্তের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু হয়েছে। এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া রাজিব আহম্মেদ ওরফে রাজিব সরকারকে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে নিতে আজ শুক্রবার আদালতে আবেদন করা হবে।
পেয়ারাতলা গ্রামের বাড়ির দোতলায় ডাইনিং রুমে গিয়ে দেখা যায়, মেঝেতে ও দেয়ালে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। এখানেই মঙ্গলবার রাতে ঘাতকের ছুরিকাঘাতে ক্ষতবিক্ষত হন সাংবাদিক সায়েম। দোতলায় ডাইনিং স্পেস ছাড়া দুটি কক্ষ ও একটি বাথরুম রয়েছে। ঘটনার রাতে দক্ষিণ প্রান্তের কক্ষে সায়েম, তাঁর স্ত্রী আফরোজা খাতুন ও ছোট ছেলে রনক শুয়ে ছিলেন। উত্তর প্রান্তের কক্ষটি ছিল ফাঁকা।
আফরোজা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনার দিন রাত ১১টার দিকে আমি বাথরুমে যাই। বাথরুম থেকে বের হয়েই বুকে বালিশ ও ছুরি হাতে একজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিই। চিৎকার শুনে সায়েম ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। সঙ্গে সঙ্গে সায়েমকে মেঝেতে ফেলে দিয়ে বুকের ওপর ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকে ওই ব্যক্তি। আমাদের দুজনের চিৎকার শুনে নিচ থেকে শ্বশুরসহ বাড়ির অন্যরা ছুটে আসেন।’
নিহত সায়েমের বাবা আবুল খায়ের ওরফে বাচ্চু মোল্লা জানান, দোতলায় উঠে তিনি ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেন এবং ঘাতককে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এ সময় ঘাতক দোতলা থেকে দ্রুত ঝাঁপ দিয়ে সিঁড়ি এবং সিঁড়ি থেকে নিচে চলে যায়। যাবার আগে তাঁর (বাচ্চু মোল্লার) বাঁ কপালেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে।
নিহত সাংবাদিকের ভগ্নিপতি সাইফুল ইসলাম জানান, দোতলা বাড়ির ছাদের ময়লা পরিষ্কারের জন্য বাঁশের তৈরি মই সিঁড়িঘরের সঙ্গে ভেড়ানো ছিল। ওই মই বেয়েই ঘাতক দোতলায় উঠে নৃশংসতা চালায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সায়েমের কয়েকজন নিকটাত্মীয় প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার রাজিব ভাড়াটে খুনি। পেছনে অনেক রাঘববোয়াল রয়েছে। খুনের আগে মোটরসাইকেলে করে খুনিকে বাড়ির পাশে নামিয়ে দিয়ে যাওয়া হয়।
সায়েমের পরিবারের ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র জানায়, সায়েমের পারিবারিক ধানচালের ব্যবসা ছাড়াও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে। সম্প্রতি তিনি ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ জন্য এক রাজনৈতিক নেতাকে কয়েক লাখ টাকাও দিয়েছিলেন। ঋণ মঞ্জুর না হওয়ায় ওই নেতার কাছ থেকে টাকা ফেরত চাইছিলেন। কিন্তু তিনি দিতে না চাওয়ায় মন-কষাকষি চলছিল। তদন্তকালে এ বিষয়টিও ভেবে দেখা দরকার বলে অনেকেই মনে করেন।
No comments