মিরপুরে তরুণীকে গলা কেটে হত্যা: রক্তাক্ত মেয়েটির বাঁচার আকুতি শুনল না কেউ
‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার করছিলেন
তরুণীটি। রক্তাক্ত অবস্থায় একবার ঘরের বারান্দায় আসছিলেন। পরক্ষণে
টেনেহিঁচড়ে ঘরের ভেতরে নেওয়া হচ্ছিল তাঁকে। বাইরে থেকে প্রতিবেশীদের
অনেকে ঘটনাটি দেখছিলেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি।
ঘটনাটি রাজধানীর মিরপুরের। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে রাইনখোলার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সেই বাসা থেকে নিস্তেজ তরুণীটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে হয়তো মেয়েটি বেঁচে যেত—এমন মন্তব্য করলেন পুলিশের মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মাসুদ আহমেদ।
নিহত তরুণীর নাম আমেনা আক্তার ওরফে রেশমা (১৮)। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন পরিচালিত মিরপুরের বিসিআইসি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন তিনি। আমেনা তাঁর মা-বাবার সঙ্গে মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের রাইনখোলার ‘চ’ ব্লকের ২ নম্বর সড়কের ২৬৫/২৬৬ নম্বর বাড়ির দোতলায় নিজেদের ফ্ল্যাটে থাকতেন। তাঁর বাবা মো. আলমগীর মতিঝিলের বিসিআইসির চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। তিনি আমেনার সৎবাবা।
তরুণীর পারিবারিক সূত্র জানায়, সকালে আলমগীর কর্মস্থলে চলে যান। এরপর মা মরিয়ম বের হন। তখন আমেনা বাসায় একা ছিলেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে মরিয়ম ফিরে এসে দেখেন মূল দরজা ভেজানো। ভেতরে ঢুকে তাঁর (মরিয়ম) শোয়ারঘরের খাটের পাশে আমেনার গলাকাটা নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খাটের ওপর ছিল রক্তমাখা বঁটি।
মিরপুর থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় আমেনাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পাশের বাড়ির দ্বিতীয় তলার বাসিন্দা রোকসানা বেগম বলেন, সকাল ১০টার দিকে আমেনাদের ফ্ল্যাট থেকে চিৎকার ও চেঁচামেচি শুনতে পান তিনি। এ সময় ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার করছিল কেউ। কিন্তু বৃষ্টি থাকায় বাসা থেকে বের হতে পারেননি তিনি।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের এডিসি মাসুদ আহমেদ বলেন, কয়েকজন প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় আমেনাকে বারান্দায় এসে তাঁরা চিৎকার করতে দেখেছেন। সেখান থেকে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে আবার ভেতরে নেওয়া হয়েছে। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তাঁরা দেখেননি।
এডিসি মাসুদ আহমেদ আরও বলেন, আমেনার মা-বাবার কথাবার্তা অসংলগ্ন ও সন্দেহজনক। দুজনই বাসা থেকে একজন অন্যজনের আগে বের হয়েছেন বলে দাবি করছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
মরিয়ম আক্তার বলেন, গত বছরের আগস্টে তাঁর মেয়ের নামে ফ্ল্যাটটি কেনেন। তিনি জানান, তাঁর আরও দুই সতীন রয়েছে। তাঁর দেবর, বড় সতিনের ছেলেরা ও ছোট সতিন ওই ফ্ল্যাটের অংশীদার হতে তাঁকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ করেন মরিয়ম।
ঘটনাটি রাজধানীর মিরপুরের। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে রাইনখোলার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সেই বাসা থেকে নিস্তেজ তরুণীটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে হয়তো মেয়েটি বেঁচে যেত—এমন মন্তব্য করলেন পুলিশের মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মাসুদ আহমেদ।
নিহত তরুণীর নাম আমেনা আক্তার ওরফে রেশমা (১৮)। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন পরিচালিত মিরপুরের বিসিআইসি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন তিনি। আমেনা তাঁর মা-বাবার সঙ্গে মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের রাইনখোলার ‘চ’ ব্লকের ২ নম্বর সড়কের ২৬৫/২৬৬ নম্বর বাড়ির দোতলায় নিজেদের ফ্ল্যাটে থাকতেন। তাঁর বাবা মো. আলমগীর মতিঝিলের বিসিআইসির চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। তিনি আমেনার সৎবাবা।
তরুণীর পারিবারিক সূত্র জানায়, সকালে আলমগীর কর্মস্থলে চলে যান। এরপর মা মরিয়ম বের হন। তখন আমেনা বাসায় একা ছিলেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে মরিয়ম ফিরে এসে দেখেন মূল দরজা ভেজানো। ভেতরে ঢুকে তাঁর (মরিয়ম) শোয়ারঘরের খাটের পাশে আমেনার গলাকাটা নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খাটের ওপর ছিল রক্তমাখা বঁটি।
মিরপুর থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় আমেনাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পাশের বাড়ির দ্বিতীয় তলার বাসিন্দা রোকসানা বেগম বলেন, সকাল ১০টার দিকে আমেনাদের ফ্ল্যাট থেকে চিৎকার ও চেঁচামেচি শুনতে পান তিনি। এ সময় ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার করছিল কেউ। কিন্তু বৃষ্টি থাকায় বাসা থেকে বের হতে পারেননি তিনি।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের এডিসি মাসুদ আহমেদ বলেন, কয়েকজন প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় আমেনাকে বারান্দায় এসে তাঁরা চিৎকার করতে দেখেছেন। সেখান থেকে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে আবার ভেতরে নেওয়া হয়েছে। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তাঁরা দেখেননি।
এডিসি মাসুদ আহমেদ আরও বলেন, আমেনার মা-বাবার কথাবার্তা অসংলগ্ন ও সন্দেহজনক। দুজনই বাসা থেকে একজন অন্যজনের আগে বের হয়েছেন বলে দাবি করছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
মরিয়ম আক্তার বলেন, গত বছরের আগস্টে তাঁর মেয়ের নামে ফ্ল্যাটটি কেনেন। তিনি জানান, তাঁর আরও দুই সতীন রয়েছে। তাঁর দেবর, বড় সতিনের ছেলেরা ও ছোট সতিন ওই ফ্ল্যাটের অংশীদার হতে তাঁকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ করেন মরিয়ম।
No comments