অবশেষে সবচেয়ে বড় বিলবোর্ডের পতন
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে চট্টগ্রামের জিইসি মোড় এলাকার এই বিলবোর্ডটি অপসারণ করা হয় l ছবি: প্রথম আলো |
চট্টগ্রাম
সিটি করপোরেশনের নীতিমালা অনুযায়ী ৮০০ বর্গফুটের ওপর কোনো বিলবোর্ড
স্থাপনের সুযোগ নেই। কিন্তু চার বছর ধরে নগরের জিইসি মোড়ে ‘বীরদর্পে’
দাঁড়িয়ে ছিল ২ হাজার ৬২৫ বর্গফুটের বিশাল একটি বিলবোর্ড। বিভিন্ন সময়ে
বিলবোর্ড অপসারণে অভিযান চললেও কখনো এই বিলবোর্ডে কারও হাত পড়েনি। অবশেষে
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে অপসারণ করা হয়েছে বিলবোর্ডটি।
সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আহমদুল হক জানান, এটি নগরের সবচেয়ে বড় বিলবোর্ড। এই বিলবোর্ডের মালিকদের একজন চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। বিলবোর্ড অপসারণের সময় চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার আব্দুল জলিল মণ্ডল, অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম শহিদুর রহমান, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, অ্যাডফ্রেম ও অ্যাডওয়ে নামের দুটি প্রতিষ্ঠান ছয়টি বিলবোর্ড যুক্ত করে এই বিলবোর্ডটি স্থাপন করে। এটি অপসারণের জন্য মালিকপক্ষকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু তারা তা শোনেনি। গতকাল দুপুর ১২টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত বিলবোর্ডটি অপসারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসান। এ সময় হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে বিলবোর্ডটি অপসারণ না করার চেষ্টা করেন মালিকপক্ষের আইনজীবীরা।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মালিকপক্ষের আইনজীবীরা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম, আইন কর্মকর্তা সরওয়ার-ই-আলম ও নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম শহিদুর রহমানের কাছে বিলবোর্ড অপসারণে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে দাবি করেন। এ সময় তাঁদের সামনে বিভিন্ন কাগজপত্র উপস্থাপন করা হয়। তবে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা ছিলেন অনড়। দুপুর ১২টার দিকে বিলবোর্ড অপসারণের কার্যক্রম শুরু হয়।
অভিযান চলার সময় কথা হয় চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আরশাদুল আলমের মালিকানাধীন অ্যাডফ্রেমের আইনজীবী এ কে এম আজাহারুর হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বিলবোর্ডটি উচ্ছেদে আদালতের ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সব কাগজপত্র উপস্থাপনের পরও করপোরেশনের কর্মকর্তারা পাত্তা দিচ্ছেন না। আমরা এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের আশ্রয় নেব।’
অ্যাডওয়ের আইনজীবী মনজুরুল হক বলেন, ১৯৯২ সালে বিলবোর্ডটির অনুমোদন নেওয়ার পর নিয়মিত কর পরিশোধ করা হচ্ছে। তারপরও বিলবোর্ডটি অপসারণ করা হয়েছে।
তবে সিটি করপোরেশনের সচিব রশিদ আহমদ জানান, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে যাঁরা কর পরিশোধ করেছেন, তাঁদের বিলবোর্ড অপসারণে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু ২০১৫-১৬ অর্থবছরে করপোরেশন কারও কাছ থেকে কোনো কর নেয়নি এবং কোনো বিলবোর্ডেরও অনুমোদন নবায়ন করেনি। তাই বিলবোর্ডটি অপসারণে কোনো বাধা নেই।
সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন বলেন, এই বিলবোর্ডটি করপোরেশনের বিলবোর্ড নীতিমালার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, গতকালের অভিযানে ফুটপাত থেকে আরও দুটি বিলবোর্ড অপসারণ করা হয়। এর মধ্যে একটি বিলবোর্ডের আকার ছিল প্রায় ৮০০ বর্গফুট এবং অন্যটির আকার প্রায় ১২০০ বর্গফুট। অভিযানে অ্যাডফ্রেমকে ২০ হাজার টাকা এবং অ্যাডওয়েকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে তিনটি ক্রেন ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া প্রায় ১০০ শ্রমিক অভিযানে অংশ নেন।
গতকাল বিকেলে জিইসি মোড়-সংলগ্ন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের প্রাঙ্গণে স্থাপন করা বিলবোর্ডগুলোও অপসারণের উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন। তবে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের উপসহকারী প্রকৌশলী জামাল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে জানান, অনুমোদন নিয়ে বিলবোর্ডগুলো স্থাপন করা হয়েছে। পরে বিলবোর্ডগুলো অপসারণ না করলেও বিজ্ঞাপন খুলে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আহমদুল হক বলেন, নগরে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য সিটি করপোরেশনকে কর দিতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনো কর দেওয়া হয়নি।
সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আহমদুল হক জানান, এটি নগরের সবচেয়ে বড় বিলবোর্ড। এই বিলবোর্ডের মালিকদের একজন চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। বিলবোর্ড অপসারণের সময় চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার আব্দুল জলিল মণ্ডল, অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম শহিদুর রহমান, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, অ্যাডফ্রেম ও অ্যাডওয়ে নামের দুটি প্রতিষ্ঠান ছয়টি বিলবোর্ড যুক্ত করে এই বিলবোর্ডটি স্থাপন করে। এটি অপসারণের জন্য মালিকপক্ষকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু তারা তা শোনেনি। গতকাল দুপুর ১২টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত বিলবোর্ডটি অপসারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসান। এ সময় হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে বিলবোর্ডটি অপসারণ না করার চেষ্টা করেন মালিকপক্ষের আইনজীবীরা।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মালিকপক্ষের আইনজীবীরা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম, আইন কর্মকর্তা সরওয়ার-ই-আলম ও নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম শহিদুর রহমানের কাছে বিলবোর্ড অপসারণে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে দাবি করেন। এ সময় তাঁদের সামনে বিভিন্ন কাগজপত্র উপস্থাপন করা হয়। তবে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা ছিলেন অনড়। দুপুর ১২টার দিকে বিলবোর্ড অপসারণের কার্যক্রম শুরু হয়।
অভিযান চলার সময় কথা হয় চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আরশাদুল আলমের মালিকানাধীন অ্যাডফ্রেমের আইনজীবী এ কে এম আজাহারুর হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বিলবোর্ডটি উচ্ছেদে আদালতের ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সব কাগজপত্র উপস্থাপনের পরও করপোরেশনের কর্মকর্তারা পাত্তা দিচ্ছেন না। আমরা এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের আশ্রয় নেব।’
অ্যাডওয়ের আইনজীবী মনজুরুল হক বলেন, ১৯৯২ সালে বিলবোর্ডটির অনুমোদন নেওয়ার পর নিয়মিত কর পরিশোধ করা হচ্ছে। তারপরও বিলবোর্ডটি অপসারণ করা হয়েছে।
তবে সিটি করপোরেশনের সচিব রশিদ আহমদ জানান, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে যাঁরা কর পরিশোধ করেছেন, তাঁদের বিলবোর্ড অপসারণে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু ২০১৫-১৬ অর্থবছরে করপোরেশন কারও কাছ থেকে কোনো কর নেয়নি এবং কোনো বিলবোর্ডেরও অনুমোদন নবায়ন করেনি। তাই বিলবোর্ডটি অপসারণে কোনো বাধা নেই।
সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন বলেন, এই বিলবোর্ডটি করপোরেশনের বিলবোর্ড নীতিমালার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, গতকালের অভিযানে ফুটপাত থেকে আরও দুটি বিলবোর্ড অপসারণ করা হয়। এর মধ্যে একটি বিলবোর্ডের আকার ছিল প্রায় ৮০০ বর্গফুট এবং অন্যটির আকার প্রায় ১২০০ বর্গফুট। অভিযানে অ্যাডফ্রেমকে ২০ হাজার টাকা এবং অ্যাডওয়েকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে তিনটি ক্রেন ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া প্রায় ১০০ শ্রমিক অভিযানে অংশ নেন।
গতকাল বিকেলে জিইসি মোড়-সংলগ্ন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের প্রাঙ্গণে স্থাপন করা বিলবোর্ডগুলোও অপসারণের উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন। তবে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের উপসহকারী প্রকৌশলী জামাল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে জানান, অনুমোদন নিয়ে বিলবোর্ডগুলো স্থাপন করা হয়েছে। পরে বিলবোর্ডগুলো অপসারণ না করলেও বিজ্ঞাপন খুলে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আহমদুল হক বলেন, নগরে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য সিটি করপোরেশনকে কর দিতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনো কর দেওয়া হয়নি।
No comments