যৌনকর্মীরা ফিরেছেন তবে আতঙ্ক কাটেনি
এক বছর আগে টাঙ্গাইলের কান্দাপাড়ায় যৌনপল্লির বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল। এরপর একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ডিসেম্বরে হাইকোর্ট উচ্ছেদ হওয়া যৌনকর্মীদের কান্দাপাড়ায় ফিরে যাওয়ার পক্ষে রায় দেন। যৌনকর্মীরা সেখানে ফিরছেন। তবে এখনো তাঁদের আতঙ্ক কাটেনি।
যৌনকর্মীদের সংগঠন নারী মুক্তি সংঘ সূত্রে জানা গেছে, কান্দাপাড়া যৌনপল্লি প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো। গতবছর রমজানের শুরুতে স্থানীয় সাংসদ আমানুর রহমান খান (রানা) ও তাঁর ভাইয়েরা একটি গোষ্ঠীকে সামনে রেখে পল্লিটি উচ্ছেদের আন্দোলন শুরু করেন। ওই বছরের ১১ জুলাই সাংসদের ভাইদের সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে এই পল্লির সব বাসিন্দা চলে যেতে বাধ্য হন। এরপর সেখানে চলে লুটপাট। পরদিন শতাধিক শ্রমিক নিয়োগ করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় যৌনপল্লির সব স্থাপনা। যৌনকর্মীরা শহর ও আশপাশের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেন। সেখানেও তাঁদের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এভাবে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েন যৌনকর্মীরা।
পরে ডিসেম্বরে নারী মুক্তি সংঘের সভাপতি আকলিমা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক হাসি বেগম হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। হাইকোর্ট তাঁদের কান্দাপাড়ায় ফিরে বসতি স্থাপনে বাধা নেই বলে রায় দেন। পাশাপাশি জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে যৌনকর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশনা দেন। হাইকোর্টের রায়ের পর গত ১৫ ডিসেম্বর শতাধিক যৌনকর্মী পল্লিতে ফিরে আসেন। তাঁরা অস্থায়ীভাবে ঘর নির্মাণ করে সেখানে বসবাস শুরু করেন। তখন ওই গোষ্ঠীটি আন্দোলন শুরু করলেও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা যৌনকর্মীরা ফিরে আসতে শুরু করেন।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, পল্লির প্রায় ৯০ শতাংশ ঘর আবার গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে সাত শতাধিক যৌনকর্মী ফিরে এসেছেন। উচ্ছেদ হওয়ার সময় যেখানে সাড়ে নয় শ যৌনকর্মী ছিলেন।
এদিকে যৌনকর্মীরা ফিরে আসায় সেখানে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রকল্প তাদের এইচআইভি, এইডস প্রতিরোধ কার্যক্রম ও স্বাস্থ্যসেবা আবারও শুরু করেছে। যৌনপল্লি উচ্ছেদ হওয়ার পর প্রকল্পের লোকজনও এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।
নারী মুক্তি সংঘের সভাপতি আকলিমা বেগম আঁখি বলেন, ‘সন্ত্রাসী ও মৌলবাদীদের হুমকির মুখে আমরা উচ্ছেদ হলেও আবার ফিরে এসেছি। এই দেশে এটাই প্রথম যৌনপল্লি যেটা উচ্ছেদ হওয়ার পর পুনরায় স্থাপন করা হয়েছে।’
সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) টাঙ্গাইল শাখার সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরানী প্রামাণিক বলেন, উচ্ছেদের সময় লুটপাটের শিকার হয়ে যৌনকর্মীরা সর্বস্বান্ত হয়েছেন। তাই তাঁদের পুনর্বাসনে সরকারের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
মানবাধিকার কর্মী মাহমুদা বেগম শেলী বলেন, কোনো অপশক্তি যাতে যৌনকর্মীদের হয়রানি বা উচ্ছেদের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন।
যৌনকর্মীদের সংগঠন নারী মুক্তি সংঘ সূত্রে জানা গেছে, কান্দাপাড়া যৌনপল্লি প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো। গতবছর রমজানের শুরুতে স্থানীয় সাংসদ আমানুর রহমান খান (রানা) ও তাঁর ভাইয়েরা একটি গোষ্ঠীকে সামনে রেখে পল্লিটি উচ্ছেদের আন্দোলন শুরু করেন। ওই বছরের ১১ জুলাই সাংসদের ভাইদের সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে এই পল্লির সব বাসিন্দা চলে যেতে বাধ্য হন। এরপর সেখানে চলে লুটপাট। পরদিন শতাধিক শ্রমিক নিয়োগ করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় যৌনপল্লির সব স্থাপনা। যৌনকর্মীরা শহর ও আশপাশের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেন। সেখানেও তাঁদের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এভাবে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েন যৌনকর্মীরা।
পরে ডিসেম্বরে নারী মুক্তি সংঘের সভাপতি আকলিমা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক হাসি বেগম হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। হাইকোর্ট তাঁদের কান্দাপাড়ায় ফিরে বসতি স্থাপনে বাধা নেই বলে রায় দেন। পাশাপাশি জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে যৌনকর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশনা দেন। হাইকোর্টের রায়ের পর গত ১৫ ডিসেম্বর শতাধিক যৌনকর্মী পল্লিতে ফিরে আসেন। তাঁরা অস্থায়ীভাবে ঘর নির্মাণ করে সেখানে বসবাস শুরু করেন। তখন ওই গোষ্ঠীটি আন্দোলন শুরু করলেও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা যৌনকর্মীরা ফিরে আসতে শুরু করেন।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, পল্লির প্রায় ৯০ শতাংশ ঘর আবার গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে সাত শতাধিক যৌনকর্মী ফিরে এসেছেন। উচ্ছেদ হওয়ার সময় যেখানে সাড়ে নয় শ যৌনকর্মী ছিলেন।
এদিকে যৌনকর্মীরা ফিরে আসায় সেখানে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রকল্প তাদের এইচআইভি, এইডস প্রতিরোধ কার্যক্রম ও স্বাস্থ্যসেবা আবারও শুরু করেছে। যৌনপল্লি উচ্ছেদ হওয়ার পর প্রকল্পের লোকজনও এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।
নারী মুক্তি সংঘের সভাপতি আকলিমা বেগম আঁখি বলেন, ‘সন্ত্রাসী ও মৌলবাদীদের হুমকির মুখে আমরা উচ্ছেদ হলেও আবার ফিরে এসেছি। এই দেশে এটাই প্রথম যৌনপল্লি যেটা উচ্ছেদ হওয়ার পর পুনরায় স্থাপন করা হয়েছে।’
সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) টাঙ্গাইল শাখার সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরানী প্রামাণিক বলেন, উচ্ছেদের সময় লুটপাটের শিকার হয়ে যৌনকর্মীরা সর্বস্বান্ত হয়েছেন। তাই তাঁদের পুনর্বাসনে সরকারের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
মানবাধিকার কর্মী মাহমুদা বেগম শেলী বলেন, কোনো অপশক্তি যাতে যৌনকর্মীদের হয়রানি বা উচ্ছেদের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন।
No comments