তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা
কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে গতকাল কুষ্টিয়া শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে তোলা ছবি l প্রথম আলো |
তিন
থেকে চার ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে গতকাল বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া শহরে
জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি
হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে বাসিন্দারা।
পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, শহরের পানি বের করার জন্য ঢাকা সড়কের পাশে বড়পিঠখাল-সংলগ্ন বেশ কয়েকটি নালা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি থাকায় খালের সঙ্গে নালার সংযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।
গতকাল ভোর চারটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত কুষ্টিয়ায় টানা বৃষ্টি হয়। এতে শহরের বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের বড়বাজার, কোর্টপাড়া, কালিশংকরপুর, কাটাইখানা মোড়, আফু চেয়ারম্যানের গলি, মাহাতাব উদ্দীন সড়ক, কলকাকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল, প্রধান ডাকঘর, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস, আড়ুয়াপাড়া, হাউজিং এলাকার সবগুলো সড়কেই পানি জমে আছে। অনেক বাসা-বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরেও পানি ঢুকে গেছে।
মজমপুরে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কুষ্টিয়া বিভাগীয় কার্যালয়ের চারপাশে হাঁটুপানি। এই কার্যালয়ে কর্মরত তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, কার্যালয়ের নিচতলায় পানি চলে এসেছে। হাঁটুপানি ভেঙে কার্যালয়ে ঢুকতে হয়েছে। পাশে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর অবস্থাও একই।
কুষ্টিয়া পৌরসভা সূত্র জানায়, কয়েক বছর ধরে ভরাটে সংকুচিত হয়ে গেছে কুষ্টিয়া শহরের পানিনিষ্কাশনের প্রধান খাল বড়পিট। ফলে ভারী বর্ষণে কুষ্টিয়া শহর ও শহরতলির অধিকাংশ এলাকায় হাঁটুপানি জমে যায়। কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক সড়কের পাশে এই খালটি অবস্থিত।
পৌরসভার প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া শহরের দক্ষিণ দিক ঢালু। তাই শহরের ৮০ শতাংশ পানি সেদিকেই প্রবাহিত হয়। পানি পাকা নালার মাধ্যমে বড়পিট খালে যায়। খাল থেকে পানি পাঁচটি কালভার্টের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে জিকে ক্যানেলের জলকপাট দিয়ে মান্নানখালী খাল হয়ে কালী নদীতে পড়ে। ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কসংলগ্ন চৌড়হাস মোড় থেকে হরিশংকরপুর মৎস্য হ্যাচারি পর্যন্ত বড়পিট খালটি সম্পূর্ণভাবে নালা হিসেবে ব্যবহারের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়নি। ২০০৯ সালের দিকে খালটি উদ্ধার ও জমি অধিগ্রহণের জন্য পুনরায় জেলা প্রশাসনে আবেদন করা হয়। ২০১১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আবারও আবেদন করা হয়। কিন্তু এক ব্যক্তি অধিগ্রহণের বন্ধে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন।
কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ৪০ ফুট চওড়া জায়গা না পাওয়ায় বড়পিঠখালের সঙ্গে পাঁচটি নালার সংযোগ স্থাপন করা যাচ্ছে না। এতে পানিনিষ্কাশন বন্ধ হয়ে আছে। ৬ আগস্ট উচ্চ আদালতে রিটের শুনানি হবে।
পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, শহরের পানি বের করার জন্য ঢাকা সড়কের পাশে বড়পিঠখাল-সংলগ্ন বেশ কয়েকটি নালা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি থাকায় খালের সঙ্গে নালার সংযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।
গতকাল ভোর চারটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত কুষ্টিয়ায় টানা বৃষ্টি হয়। এতে শহরের বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের বড়বাজার, কোর্টপাড়া, কালিশংকরপুর, কাটাইখানা মোড়, আফু চেয়ারম্যানের গলি, মাহাতাব উদ্দীন সড়ক, কলকাকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল, প্রধান ডাকঘর, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস, আড়ুয়াপাড়া, হাউজিং এলাকার সবগুলো সড়কেই পানি জমে আছে। অনেক বাসা-বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরেও পানি ঢুকে গেছে।
মজমপুরে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কুষ্টিয়া বিভাগীয় কার্যালয়ের চারপাশে হাঁটুপানি। এই কার্যালয়ে কর্মরত তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, কার্যালয়ের নিচতলায় পানি চলে এসেছে। হাঁটুপানি ভেঙে কার্যালয়ে ঢুকতে হয়েছে। পাশে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর অবস্থাও একই।
কুষ্টিয়া পৌরসভা সূত্র জানায়, কয়েক বছর ধরে ভরাটে সংকুচিত হয়ে গেছে কুষ্টিয়া শহরের পানিনিষ্কাশনের প্রধান খাল বড়পিট। ফলে ভারী বর্ষণে কুষ্টিয়া শহর ও শহরতলির অধিকাংশ এলাকায় হাঁটুপানি জমে যায়। কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক সড়কের পাশে এই খালটি অবস্থিত।
পৌরসভার প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া শহরের দক্ষিণ দিক ঢালু। তাই শহরের ৮০ শতাংশ পানি সেদিকেই প্রবাহিত হয়। পানি পাকা নালার মাধ্যমে বড়পিট খালে যায়। খাল থেকে পানি পাঁচটি কালভার্টের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে জিকে ক্যানেলের জলকপাট দিয়ে মান্নানখালী খাল হয়ে কালী নদীতে পড়ে। ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কসংলগ্ন চৌড়হাস মোড় থেকে হরিশংকরপুর মৎস্য হ্যাচারি পর্যন্ত বড়পিট খালটি সম্পূর্ণভাবে নালা হিসেবে ব্যবহারের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়নি। ২০০৯ সালের দিকে খালটি উদ্ধার ও জমি অধিগ্রহণের জন্য পুনরায় জেলা প্রশাসনে আবেদন করা হয়। ২০১১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আবারও আবেদন করা হয়। কিন্তু এক ব্যক্তি অধিগ্রহণের বন্ধে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন।
কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ৪০ ফুট চওড়া জায়গা না পাওয়ায় বড়পিঠখালের সঙ্গে পাঁচটি নালার সংযোগ স্থাপন করা যাচ্ছে না। এতে পানিনিষ্কাশন বন্ধ হয়ে আছে। ৬ আগস্ট উচ্চ আদালতে রিটের শুনানি হবে।
No comments